|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লম্বা সময় পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেও ব্যাট হাতে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি তামিম ইকবাল। ভাইরাহাওয়ার গ্লাডিয়েটর্সের প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। তামিম রান না পেলেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন উপুল থারাঙ্গা।
শ্রীলঙ্কার সাবেক এই ব্যাটসম্যানের দারুণ ব্যাটিংয়ে জিততে না পারলেও শেষ পর্যন্ত টাই করেছে তাঁরা। ললিতপুর প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভাইরাহাওয়া থামে ১৭৭ রানে। এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচে জয় পেয়েছেন তামিমরা।
জয়ের জন্য ১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ভাইরাহাওয়া। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফেরেন প্রদীপ আইরি। পরের ওভারে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন তামিমও। ভাইরাহাওয়ার হয়ে প্রথম ম্যাচে একটি করে ছক্কা ও চার মারলেও ব্যাটিং জমাতে পারেননি তিনি।
রামনরেস গিরির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে করেছিলেন ১৩ বলে ১২ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭৮ রানের লক্ষ্য তাঁড়া করতে নেমে এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের এই ওপেনার। শুরু থেকেই ধীরগতিতে ব্যাট করতে থাকেন তামিম। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে।
ধাকারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ১৬ বলে ১৪ রান করে ফেরেন তমিম। ইনিংসটি খেলতে তিনটি চার মেরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। রোহিত পাডোওয়ালা ফিরলেও দলের হাল ধরেন থারাঙ্গা ও আরিফ শেখ। তাঁদের দুজনের জুটি থেকে আসে ৮৪ রান।
আরিফ ২৮ রান করে ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি। শেষ দিকে কুশল মাল্লা করেছেন ৩৫ রান। তবে দলকে জেতাতে পারেননি তাঁরা। ম্যাচ ড্র হলেও থারাঙ্গা অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে। ললিতপুরের হয়ে রশিদ খান তিনটি ও রিজান ধাকাল দিয়েছেন দুটি উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে ললিতপুর প্যাট্রিয়টস। এদিন দলটির হয়ে সান্দুন ওয়ারকাবদি ৫৮, আজমতউল্লাহ উমরজাই ৪২ এবং সন্দীপ জরা করেছেন ৩৮ রান। ভাইরাহাওয়ার হয়ে দুটি উইকেট নিয়ছেন অবিনাশ ভোহরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ললিতপুর প্যাট্রিয়টস - ১৭৭/৭ (ওভার ২০) ( ওয়ারকাবদি ৫৮, আজমতউল্লাহ, সন্দীপ ৩৮, অবিনাশ ২/৪৭)
ভাইরাহাওয়া গ্লাডিয়েটর্স - ১৭৭/৫ (ওভার ২০) (থারাঙ্গা ৬৭*, কুশল ৩৫, আরিফ ২৮, তামিম ১৪, রশিদ ৩/৩৪)