ভারতীয় ক্রিকেট

ভাগ্যক্রমে অলরাউন্ডার হয়েছেন হার্দিক!

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:47 বৃহস্পতিবার, 09 সেপ্টেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

হালের ক্রিকেটে পেস বোলিং অলরাউন্ডারদের অন্যতম একজন হার্দিক পান্ডিয়া। লোয়ার মিডল অর্ডারে হার্ড হিটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতি মিডিয়াম পেসেও ভারতকে বেশ কিছু ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। অথচ অনুর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার আগে তিনি কোনো দিন বলও হাতে নেননি, ছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান! ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের এই গল্প নিজেই শুনিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী হার্দিক।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নিয়মিত তিন নম্বরে ব্যাটিং করতেন হার্দিক। ছিলেন বিশেষজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময় দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে বল করতে হতো তাকে। আর সেই সুযোগে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের তকমা ছাপিয়ে হয়ে ওঠেন অলরাউন্ডার।

নিজের ক্যারিয়ারের মোড় বদলের কথা জানিয়ে হার্দিক বলেন, ‘আমি ভাগ্যক্রমে অলরাউন্ডার হয়ে গিয়েছি। ১৯ বছর বয়সে এসে আমার খেলায় পরিবর্তন ঘটে। জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার সম্ভবত এক বছর আগে থেকে আমি বোলিং করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মূল বোলারদের বিকল্প হিসেবে অনুর্ধ্ব-১৯ দলে বোলিং করতাম। আমি একজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলাম এবং নিয়মিত তিন নম্বরে ব্যাটিং করতাম। পেস বোলিং করার জন্য আমার নিজস্ব জুতা ছিলনা, দলের অন্যান্য বোলারদের জুতা পড়ে বোলিং করাতাম।’

হার্দিকের অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার গল্পের নেপথ্যে ছিলেন কোচ শরৎ কুমার। ঘরোয়া আসরের এক ম্যাচে তার বোলিং পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হন এই কোচ। এরপর তাকে সুযোগ করে দেন রঞ্জি ট্রফিতে, যেখানে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে তিনি জায়গা করে নেন ভারতের জাতীয় দলে।

নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে হার্দিক আরও বলেন, ‘অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে অনুশীলন করার সময় শরৎ স্যার ২০০ মিটার দূরে দাড়িয়ে দেখছিলেন। পরের দিন আমি ঘরোয়া আসরের ম্যাচে কিরণ মোরে অ্যাকাডেমির হয়ে খেলছিলাম এবং সেই ম্যাচ তিনি মাঠে বসে দেখেন। ম্যাচের উইকেট ছিল সবুজাভ এবং একাদশে পেসারের সংকট থাকর ফলে, আমি বল করার সুযোগ পায় এবং পাঁচ উইকেট শিকার করি। এমন পারফর্ম্যান্সের পর শরৎ স্যার আমাকে রঞ্জি ট্রফিতে সুযোগ করে দেয় এবং সেখানে নিয়মিত বোলিং করি। এজন্যই বলেছি আমি ভাগ্যক্রমে অলরাউন্ডার হয়ে গেছি।’