দক্ষিণ আফ্রিকা

সতীর্থদের দ্বারা বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন প্রিন্স

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:42 শনিবার, 07 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ক্রীড়াঙ্গণে প্রতিপক্ষকে হেয় করতে অনেক সময় বর্ণবাদমূলক আচরণ করে থাকেন অনেকে। খেলার মাঠে যেটিকে খুব কঠোরভাবে প্রতিহত করা হয়। তবে নিজ দলের সতীর্থ দ্বারা কোনো খেলোয়াড় বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন, এটা খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু নিজ দলের খেলোয়াড়দের কাছেই বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়াল প্রিন্স।

দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলে শ্বেত ও কালো উভয় ক্রিকেটাররাই খেলে থাকেন। তাই দলের মধ্যে কেউ যেন বর্ণবাদী বৈষম্য কিংবা আচরণের শিকার না হন, সে কথা মাথায় রেখে সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড ন্যাশন বিল্ডিং (এসজেএন) প্রজেক্ট চালু করেছিল ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। এই প্রজেক্টে চলা এক মাসের শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন বেশ কিছু খেলোয়াড়।

এসজেএন শুনানিতে নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানাতে শুরু করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাবেক ক্রিকেটাররাও। নানা সময়ে দলের অভ্যন্তরে কিভাবে বর্ণবাদের শিকার তা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন প্রিন্স, অ্যারন ফাঙ্গিসো, পল অ্যাডামস ও থামি টিসোলেকিলেরা। দলটির সাবেক ক্রিকেটার প্রিন্স জানিয়েছেন, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সতীর্থ ও দলের কোচদের থেকেও নানাভাবে বর্ণবাদের শিকার হতেন তারা।

তিনি বলেন, ‘ধরুন আপনি আপনার দেশের জন্য খেলছেন, এটা সবারই সারাজীবনের স্বপ্ন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেই স্বপ্ন সুখকর ছিল না। একবার আমি আমার পরিবারের দিকে ব্যাট উচিয়ে ধরেছিলাম। তারপর স্টেডিয়ামের অন্যপ্রান্তে থাকা আমার স্ত্রীর দিকে ব্যাট তুলেছিলাম। শেষে অনিচ্ছা সত্ত্বে আমার সতীর্থদের উদ্দেশ্য করে ব্যাট উচিয়ে ধরেছিলাম।’

যে সময় সুযোগ থাকলে দলের ক্রিকেটারদের প্রতি ব্যাট তুলে ধরতেন না বলেও জানান প্রিন্স। কেননা সে সময় দলে নাকি কোনো ভাতৃত্ব বোধই ছিল না। তার কথায় ,‘যদি আমার পক্ষে সুযোগ থাকতো, তাহলে আমি আমার ব্যাটটি সতীর্থদের উদ্দেশ্যে কখনোই তুলে ধরতাম না। আমাদের দলে আসলে কোনো ভাতৃত্ববোধ ছিল না।’

২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রোটিয়া দলের হয়ে মোট ১১৯টি ম্যাচ খেলেছেন প্রিন্স। ক্রিকেট ছাড়ার পর কাজ করেছেন দলটির প্রধান কোচ হিসেবেও। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। শুধুমাত্র জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য তাকে নিয়ে দেওয়া হলেও ব্যাটিং ইউনিটে সাফল্য আসায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাকে রেখে দিতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।