আইসিসি টুর্নামেন্ট

আইসিসির ৮ টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহী ১৭ দেশ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:55 সোমবার, 05 জুলাই, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে আয়োজিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। এরপর ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) মোট ৮টি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে।

যার মধ্যে রয়েছে ছেলেদের দুটি ক্রিকেট বিশ্বকাপ, চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই সময়টায় আয়োজিত হতে যাওয়া টুর্নামেন্টগুলো এককভাবে কিংবা যৌথভাবে আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান।

এদিকে ওই টুর্নামেন্টগুলো আয়োজনে আইসিসির কাছে প্রাথমিক ভাবে প্রস্তাব দিয়েছে আইসিসির আওতাধীন আরো ১৫টি দেশ। যার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, আয়ারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওমান, স্কটল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিম্বাবুয়ে।

এদিকে আইসিসি জানিয়েছে, ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও নারীদের অনুর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ নির্ধারণে নতুন পন্থা অবলম্বন করা হবে। তবে সেটির বন্দোবস্ত হবে এই বছরের শেষের দিকে। আগামী সেপ্টেম্বরে আইসিসির কাছে বিস্তারিত চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা দেবে এফটিপি সূচির টুর্নামেন্টগুলো আয়োজক হতে ইচ্ছুক ১৭টি দেশ। পরে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আইসিসি।

ইতোমধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, ভবিষ্যৎ সূচিতে আইসিসির ছয়টি ইভেন্ট আয়োজনে তারা ইচ্ছুক। সেই সঙ্গে তারা ইভেন্টগুলো আয়োজনের দায়িত্ব পাবে বলেও আশাবাদী তারা। অবশ্য ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। আর শুল্ক ছাড়ের বিষয়ে আশ্বাস পেলে ভবিষ্যৎ সূচির মোট তিনটি ইভেন্ট আয়োজনের ইচ্ছা রয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই)।

এ প্রসঙ্গে আইসিসির ভারপ্রাপ্ত চিফ এক্সিকিউটিভ জিওফ এলারডাইস বলেন, ‘২০২৩ সালের পরে আইসিসির আওতাধীন পুরুষদের সাদা বল ইভেন্টের হোস্টিংয়ের জন্য আমাদের সদস্যরা যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে আমরা আনন্দিত। এই প্রক্রিয়াটি আমাদের স্বাগতিকদের পরিধি বাড়ানোর এবং বিশ্বব্যাপি ক্রিকেটে আগ্রহ বাড়ানোর সুযোগ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী উত্তরাধিকার তৈরি ও আরও ভক্তদের কাছে খেলাটিকে পৌঁছে দিতে বেশ কার্যকরী।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বব্যাপি এক বিলিয়নেরও বেশি ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থক রয়েছে। এছাড়া আইসিসির ইভেন্টগুলোর আয়োজক দেশগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতির করার প্রমাণ রয়েছে। এই ইভেন্টগুলো আয়োজকদের স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া স্থানীয়দের খেলাটিকে উন্নয়নের সহায়তা করে যতক্ষণ না অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের দিক দিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে।’