বর্ণবাদ ইস্যু

বর্ণবাদ বিরোধী প্রতিবাদ বন্ধ হওয়ায় সোচ্চার হোল্ডিং

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:45 রবিবার, 13 সেপ্টেম্বর, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডকে নির্মমভাবে হত্যার পর বেশ কিছুদিন বর্ণবাদ ইস্যু নিয়ে উত্তাল ছিল গোটা বিশ্ব। ক্রিকেট অঙ্গনেও সমানভাবে এর আঁচ লেগেছিল। যার দরুন ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট সিরিজে হাঁটু মুড়ে বসে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা।

একই সঙ্গে জার্সিতে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' স্লোগান নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়েরা। অথচ ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মধ্যকার সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে এসবের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। এমনকি চলমান ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিরিজেও বর্ণবৈষম্য নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়নি। 

সাবেক কিংবদন্তী ক্রিকেটার এবং জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার মাইকেল হোল্ডিংও এই বিষয়টিতে বেশ মর্মাহত। একটা সময় বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়া হোল্ডিং স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্য দেয়ার সময় নিজের ক্ষোভ ঝেড়েছেন। বর্ণবাদ ইস্যু এখন শুধু কালো এবং সাদা মানুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই বলে মনে করেন তিনি।

হোল্ডিং বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল চলে গিয়েছে মানে এই নয় যে, স্লোগানটা ভুলে যেতে হবে। বা বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে চুপ করে যেতে হবে। হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্যের প্রভাব অনেক বেশি প্রকট। কিন্তু সারা বিশ্বের মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। পৃথিবীর সর্বত্র সাম্য প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে। এটা আর সাদা বনাম কালোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ইংল্যান্ড যখন পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছে, তখন কেউ হাঁটু মুড়ে বসেনি। এই সিরিজেও কেউ সেটা করছে না। আর তা না করার পিছনে খুব অসাড় যুক্তিও দেওয়া হচ্ছে।'

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ হাঁটু মুড়ে বসতে অস্বীকৃতি জানান। প্রতিবাদের চেয়ে সঠিক শিক্ষাকে জরুরী হিসেবে দাবি করেন তিনি। ফিঞ্চ বলেছিলেন,  'প্রতিবাদের চেয়েও জরুরি হচ্ছে সঠিক শিক্ষা দেওয়া। তাই আমার দল হাঁটু মুড়ে বসবে না।'

অজি দলপতির বক্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন হোল্ডিং। বর্ণবৈষম্য কমানোর একমাত্র উপায় শিক্ষা নয়, বরং প্রতিবাদ অব্যাহত রাখাকেও অন্যতম উপায় হিসেবে গণ্য করেন তিনি। হোল্ডিংয়ের ভাষ্যমতে,  'সে (ফিঞ্চ) বলতে চাইছে, ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেখানে বর্ণের জন্য কাউকে আটকানো হয় না। কোনো খেলাতেই তো সেটা হয় না। কাউকে জোর করে এই প্রতিবাদে যুক্ত করা যাবে না। এ ব্যাপারে অবশ্যই মানুষকে শিক্ষিত করার প্রয়োজন আছে। এই প্রতিবাদ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। ইংল্যান্ড ফুটবল দল এবং সারা বিশ্বে প্রতিবাদ চলছে। তাহলে ক্রিকেট দল এটা বন্ধ করল কেন? একটা প্রতিবাদ ২-৩ সপ্তাহ চালিয়ে বলে দেওয়া ঠিক না যে আমার কাজ শেষ। যদি এটাই মনোভাব হয়, তা হলে এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই।'