ক্রিকফ্রেঞ্জি লকডাউন লাইভ

অন্য দেশ হলে আমি অধিনায়কত্বও করতে পারতাম: আশরাফুল

তামজিদুর রহমান

তামজিদুর রহমান
প্রকাশের তারিখ: 13:09 শনিবার, 20 জুন, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

একটা সময় দেশের ক্রিকেটে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে গণ্য করা হতো মোহাম্মদ আশরাফুলকে। বিশেষ করে ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক সেঞ্চুরির পর কোটি ক্রিকেট ভক্তের মধ্যমণিতে পরিণত হন তিনি। কিন্তু ২০১৩ সালে নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে আনেন সম্ভাবনাময় এই ক্রিকেটার। 

যে অমিত প্রতিভার আতিশয্যে বারংবার নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন, হয়ে উঠেছিলেন সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্ব-সেই প্রতিভাই এক লহমায় উড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে (২০১৩) ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় জড়িয়ে ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা পান আশরাফুল। পরবর্তীতে তাঁর শাস্তির মেয়াদ ৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়।

অথচ সেবছরেই সর্বশেষ টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলেছিলেন আশরাফুল, অর্থাৎ নির্বাচকদের পছন্দের তালিকাতেই ছিলেন তিনি। এরপর কেটে গেছে বেশ কয়েকটি বছর। এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সিতে কি আবারো ফিরতে পারবেন তিনি? এই ব্যাপারে কি ভাবছেন আশরাফুল?

এসকল প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন ক্রিকফ্রেঞ্জি লকডাউন লাইভে। জানিয়েছেন বাংলাদেশ বলেই কাজটি বেশ কঠিন। কারণ দীর্ঘ দিন পর ৩৫ বছর (আশরাফুলের) বয়সে জাতীয় দলে আবারো ফেরাটা অনেকটা অসম্ভবপরই বলতে হবে। তবে অন্য দেশ হলে বয়স কোনো ব্যাপার ছিল না বলে উল্লেখ করেন আশরাফুল।  

প্রোগ্রাম সঞ্চালক কাজী সাবির জানতে চেয়েছিলেন আশরাফুলের কাছে, 'আপনি এখন অনেক ফিট। তবে আপনার কি মনে হয় যে বয়স আছে, একটা গ্যাপও হয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ফেরা কতটা বাস্তবসম্মত?' 

আশরাফুল বলেছেন, 'আমাদের এখানে কালচারটি তৈরি হয়নি। অন্য দেশে হলে আমি বলতাম যে অধিনায়কত্ব করারও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি সম্ভব বলে আমি মনে করি। আল্লাহ্‌ চাইলে সব সম্ভব। আমি আসলে সবসময় ঢুকতে চাই এক্সট্রাঅর্ডিনারি পারফরম্যান্স করেই। আমার রেকর্ড হয়তো বলবে না যে আমি খুব বেশি গ্রেট ক্রিকেটার ছিলাম। আমার চেয়ে ভালো কেউ ছিল না বলেই কিন্তু আমি খেলেছি সবসময়।'

অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বেশি বয়সে জাতীয় দলে ফেরার কালচার তৈরি করতে চান সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আশরাফুল। পাকিস্তানের শোয়েব মালিকের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, 'আমার কাছে মনে হয় অনেক ব্যাটসম্যানই ৩৯ কিংবা ৪০ বছর পর্যন্ত খেলেছে। আপনি শোয়েব মালিককে দেখেন, তার ১৯৯৯ সালে অভিষেক হয়েছে, এখনও ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছে। এই কালচারটি যদি তৈরি করতে পারি তাহলে এটাই হবে আমাদের বয়সী ক্রিকেটারদের জন্য একটি বার্তা। এর জন্যই কিন্তু আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।'