রুবেলের আক্ষেপ

মাঠ থেকে বিদায় নিতে চান জীবন যুদ্ধে জয়ী রুবেল

তামজিদুর রহমান

তামজিদুর রহমান
প্রকাশের তারিখ: 14:33 শনিবার, 09 মে, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

একটা সময় দেশের ক্রিকেটের অতি পরিচিত মুখ ছিলেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। দেশের হয়ে মাত্র ৫টি ওয়ানডে খেললেও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিয়মিত ছিলেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু হুট করেই যেন ঝড় বয়ে গেল তাঁর জীবনে।

গত বছরের ১০ মার্চ ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে রুবেলের। এর চারদিন পর অর্থাৎ ১৪ মার্চ অস্ত্রোপচারের জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। হাসপাতালের বিখ্যাত নিউরো সার্জন এলভিন হংয়ের তত্বাবধানে ১৯ মার্চ রুবেলের সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।

জীবনযুদ্ধে লড়াই করা রুবেল এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অনেকটা। এক বছর পর আবারো মাঠে ফেরার আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। অন্তত ক্যারিয়ারের শেষটি যেন মাঠ থেকে হয় এটাই চাওয়া ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের। দেশের বাংলা দৈনিক মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন রুবেল। 

রুবেল বলেন, ‘যেখান থেকে ফিরে এসেছি আমার অনেক কিছুই হতে পারতো। আমি মারাও যেতে পারতাম। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ফিরেছি। আমার বিশ্বাস আমি আবারো মাঠে নামতে পারবো।নিজের যোগ্যতা ও ফিটনেস প্রমাণ দিয়ে মাঠে ফিরতে চাই। যদি না হয় তাহলে ভেবে নেবো ভাগ্যে ছিলনা। কিন্তু আমার ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স, অতীত সব দেখে সুযোগ আমাকে দিতেই পারে। আমি যেন মাঠ থেকেই বিদায় নিতে পারি। ’

২০ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের হয়ে তেমন খেলার সুযোগ পাননি রুবেল। মাঝে নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইসিএল) নাম লিখিয়ে সমালোচিত হন তিনি। এরপর ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আট বছর পর প্রত্যাবর্তন হয় রুবেলের। একই বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডেটি খেলেন এই অলরাউন্ডার।  

১১২টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা রুবেল আক্ষেপ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি যে ৫টি ওয়ানডে খেলেছি সেখানে আমার ইকোনমি মাত্র ৪.০৫। একবার সুযোগ পেলাম এরপর সবাই ভুলে গেল আমাকে। ৮ বছর পর আবার দলে নেয়া হলো। শততম ওয়ানডে জয়ের ম্যাচে ৩ উইকেট নিলাম। এরপর খেললাম মাত্র একটি ম্যাচ।'

অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতো এত সুযোগ দেয়া হয়নি রুবেলকে। এটি নিয়েই মূলত আক্ষেপ রয়ে গেছে তাঁর। রুবেলের ভাষায়, 'আমি আসলে কাউকে দোষ দিবোনা। শুধু একটা কথাই বলবো অন্য ক্রিকেটাররা যে ভাবে সুযোগ পেয়েছে আমি তেমনটা পাইনি। ১১২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২.৬৯ ইকোনমিতে ৩৯২ উইকেট নিয়েছি। কিন্তু এমন পারফরম্যান্স দিয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি। এটা আমার জন্য দারুণ হতাশার। আমাকে নুন্যতম সুযোগ দিলে ক্যারিয়ারটা অন্যরকম হতে পারতো।'