রংপুর-খুলনা

মিরপুরে রাজ্জাকদের রুদ্ধশ্বাস জয়

তামজিদুর রহমান

তামজিদুর রহমান
প্রকাশের তারিখ: 11:57 মঙ্গলবার, 05 নভেম্বর, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচে রংপুর বিভাগকে এক উইকেটে হারিয়েছে আব্দুর রাজ্জাকের খুলনা বিভাগ। যদিও ম্যাচটিতে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিল খুলনা।কিন্তু শেষ উইকেটে মইনুল ইসলাম এবং আব্দুল হালিমের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজ্জাক বাহিনী। মইনুল ৩২ বলে ১৬ রান করেন। অপরদিকে হালিম ২০ বলে ২ রান নিয়ে মইনুলকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন।   

বল হাতে খুলনা শিবিরে ধ্বস নামিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সোহরাওয়ার্দি শুভ। মাত্র ৫৫ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি। ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ দিন ৭৩ রান প্রয়োজন ছিল খুলনার, হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। খুলনাকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন জিয়াউর রহমান এবং মেহেদি হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে ১০৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। 

দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় হাফ সেঞ্চুরি করা মেহেদিকে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভাঙেন সোহরাওয়ার্দি শুভ।  মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ফিরতে হয় জিয়াউরকেও (৫৩)। বোল্ড করে তাঁকে সাজঘরে পাঠান শুভ।

জিয়াউরের বিদায়ের পর ১৮৭ রানের মাথায় রাজ্জাক এবং রুবেল হোসেনের বিদায়ে পরাজয়ের ক্ষণ গুনতে থাকে খুলনা। কিন্তু তখনই ব্যাট হাতে হাল ধরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মইনুল। আব্দুল হালিমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। 

এদিন ৫ উইকেটে ১৩০ রান নিয়ে খেলা শুরু করে খুলনা বিভাগ। এরপর মেহেদি হাসান এবং জিয়াউর রহমান বড় জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। একই সঙ্গে দুজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু তাঁদের এই লড়াই থামিয়ে দেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। 

এর আগে টস হেরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আব্দুর রাজ্জাকের বোলিং ঘূর্ণিতে মাত্র ২২৪ রানে অলআউট হয় রংপুর। ৬৯ রানে ৭ উইকেট নেন খুলনার অধিনায়ক রাজ্জাক। আর ২টি উইকেট পান মেহেদি হাসান। ৪২ রান করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। 

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি খুলনাও। মেহেদি হাসান সেঞ্চুরি করলেও রংপুরের দারুণ বোলিংয়ে তারা গুটিয়ে যায় ২৩৩ রানে। রংপুরের হয়ে ৪১ রানে ৫ উইকেট নেন রবিউল হক। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মুকিদুল ইসলাম এবং সাজেদুল ইসলাম। 

৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রংপুর। যথারীতি এই ইনিংসেও খুলনার ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন অভিজ্ঞ স্পিনার রাজ্জাক। ৭১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। তাঁর বোলিং ঘূর্ণিতে এই ইনিংসে রংপুর অলআউট হয় ২১১ রানে। 

ফলে খুলনার সামনে ২০৩ রানের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। রংপুরের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন নাসির হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে আরিফুল হকের ব্যাট থেকে। রাজ্জাক ছাড়াও ৩টি উইকেট নেন মেহেদি হাসান। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রংপুর বিভাগঃ (প্রথম ইনিংস) ২২৪/১০ (৮১.১ ওভার) (রিশাদ ৪২, নাসির ৪০; রাজ্জাক ৭/৬৯) 

খুলনা বিভাগঃ (প্রথম ইনিংস) ২৩৩/১০ (৭১ ওভার) (মেহেদি ১১৯, রুবেল ৩৬*; রবিউল ৫/৪১) 

রংপুর বিভাগঃ (দ্বিতীয় ইনিংস) ২১১/১০ (৭৬.৫ ওভার) (নাসির ৭৬, আরিফুল ৫৮; রাজ্জাক ৫/৭১)

খুলনা বিভাগঃ (দ্বিতীয় ইনিংস) ২০৩/৯ (৬২.৪ ওভার) (মেহেদি ৫৬, জিয়াউর ৫৩; শুভ ৬/৫৫)