আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভাল সুযোগ আছেঃ ক্যাম্পবেল

ছবি: অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভালো সুযোগ আছে বলে মনে করেন জিম্বাবুয়ে দলের এক সময়ের তারকা ক্রিকেটার অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল। বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সাফল্যই বলে দেয় মাশরাফিরা নিজেদের সামর্থ্যে কতটা বিশ্বাস করে।
ক্রিকফ্রেঞ্জির সাথে একান্তে আলাপকালে একথা জানিয়েছেন ক্যাম্পবেল। বিশ্বকাপে সাফল্য পেতে বাংলাদেশকে সেরা দল নির্বাচন করতে হবে বলেও মনে করেন এই জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার।
"এই দলের ফলাফল দেখুন, ফলাফলের সাথে তর্ক করা যায় না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনাল, এশিয়া কাপ ফাইনালই বলে দেয়া, তাঁরা নিজেদের সামর্থ্যে কতোটা বিশ্বাস রাখে। তাঁরা যদি তাদের সেরা দল নির্বাচন করে বিশ্বকাপে যায়, আগামী বিশ্বকাপে তাদের ভাল সুযোগ থাকবে।"

বিশ্বকাপে ভালো করার মতো ব্যাটসম্যান আছে বাংলাদেশ দলে। তার সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমানের মতো বোলার আছে যারা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলে অভ্যস্ত। ক্যাম্পবেলের বিশ্বাস টাইগার স্কোয়াডের সবাই সুস্থ থাকলে এই দলটা নিয়ে অনেক দূর যাওয়া সম্ভব।
অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, অ্যান্ড্রু ওয়ালার, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, এডো ব্রান্ডেজ, গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, ডেভ হটনদের নিয়ে গড়া জিম্বাবুয়ে একসময় বিশ্ব মাতিয়েছে। বড় বড় দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে। বাংলাদেশ দলও এখন সাকিব-তামিম-মাশরাফিদের নিয়ে বিশ্ব কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে।
জিম্বাবুয়ে দলের সোনালী যুগের সারথী ক্যাম্পবেল বর্তমান বাংলাদেশ দলের সাথে তার সময়কার জিম্বাবুয়ে দলের অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছেন। বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার তার নজরে পড়েছে।
"তুলনা করা যায়, আমরা ২০০০ সালের আগে কখনই বাংলাদেশের কাছে হারি নি। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। বাংলাদেশ দলে এখন সুপার স্টার রয়েছে। সাকিব, তামিমরা আছে, মাশরাফি দলকে দারুনভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দলে ভাল স্পিনার রয়েছে।"
বাংলাদেশ দলের মধ্যে এখন যেই বিশ্বাসটা আছে জয় পাওয়ার এবং সাফল্য অর্জনের, এই বিশ্বাসটা একসময় জিম্বাবুয়ে দলের মধ্যেও ছিল। দল হিসেবে এই বিশ্বাসটা জিম্বাবুইয়াররা ধরে রাখতে পারেননি বলেই দলটির অবস্থান এখন নেমে গেছে বলে মনে করেন ক্যাম্পবেল।
"এই দলটা বিশ্বাস করে তাঁরা জিতবে এবং সেটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আমাদেরও সেই বিশ্বাসটা ছিল। আমাদের যতটা বিশ্বাস করা দরকার ছিল ততটা বিশ্বাস হয়তো নিজেদের সামর্থ্যে রাখি নি। আমাদের আরও কয়েক বছর এক হয়ে খেলা দরকার ছিল। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে এরপর কি হয়েছে সেটা সবার জানা। আমরা যদি আরও কিছুসময় দল হিসেবে খেলে যেতে পারতাম, কে জানে, এখন হয়তো আমরা এমন অবস্থানে নেমে আসতাম না।"