ক্রিকেটারদের বিশ্রাম প্রসঙ্গ

বিশ্রামের ব্যাপারটি টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়ঃ সাকিব

সৈয়দ সামি

সৈয়দ সামি
প্রকাশের তারিখ: 18:51 বুধবার, 01 আগস্ট, 2018

গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরই সাদা পোষাকের ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের ছুটি চেয়েছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য সাকিবের ছুটি মঞ্জুর করেছিল।

দলের সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে।  প্রথম টেস্টে প্রোটিয়াদের কাছে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টের ফল আরও লজ্জার, ইনিংস ও ২৪৪ রানের ব্যবধানে পরাজয়।

সেই সিরিজ থেকে বিশ্রাম নেয়ার কারণে এখনও কথা শুনতে হয় সাকিবকে। তবে টাইগারদের টি২০ দলপতি কালের কন্ঠের সাথে আলাপকালে সম্প্রতি জানিয়েছেন সবাই চায় দলের সেরা খেলোয়াড় খেলুক। আর ভক্ত সমর্থকরা সবসময় চায় বাংলাদেশ দল প্রতিটি ম্যাচ জিতুক।

সেই কথা ভেবেই এই সমালোচনা কানে নিচ্ছেন না তিনি। তবে সাকিবের বিশ্বাস বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। আগে কখনও এই বিষয়গুলো টিম ম্যানেজমেন্টে উঠে না আসায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বলে ধারণা সাকিবের।

"সত্যি কথা বলতে কি, আমরা যখন বাংলাদেশকে সমর্থন করব, তখন আমরাও চাইব বাংলাদেশ যেন প্রতিটা ম্যাচ জেতে। চাইব সম্ভাব্য সেরা দলটাই যেন খেলে ম্যাচটা জেতে। এখন আর্জেন্টিনার ম্যাচে মেসির অনুপস্থিতি কি ভালো লাগবে? সেটা প্রীতি ম্যাচ হলেই কি। তবে আমাদের তো এভাবে দেখলে হবে না। আগে কখনো ম্যানেজমেন্টের এই বিষয়গুলো উঠে আসেনি। আমি নিশ্চিত, বোর্ডও এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছে। বিশেষ করে দলের কোচিং স্টাফ। কারণ তাঁরাই ভেতরের জিনিসগুলো আরো ভালো বুঝতে পারবেন।"

মানুষের সমালোচনা কানে না নিয়ে কাকে কখন বিশ্রাম দেয়া যায় তা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন সাকিব। ব্যাপারটা সাধারণ মানুষের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে তবে পুরো বিষয়টিই টিম ম্যানেজমেন্টের উপর ছেড়ে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

"মানুষ কী বলবে, সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নাই। একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে আমিও চাইব না আর্জেন্টিনা কিংবা বার্সেলোনার ম্যাচে মেসি বাইরে বসে থাকুক। তবু মেসি কিন্তু বিশ্রাম নেয়। এখন আমি কিংবা আমাদের কারো বিশ্রাম নেওয়াটা কিছু মানুষের ভালো না-ও লাগতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। তবে এটা কোচিং স্টাফ কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। আর তাদের দায়িত্ব হবে বোর্ডকে বোঝানো, কাকে কখন কিভাবে বিশ্রাম দেওয়া যায়। তবে আবার বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, সেটাও বুঝতে হবে।"