বাংলাদেশ ক্রিকেট

দুই বছরে ৩৫টি ওয়ানডে ও ৫৬টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ!

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 11:53 Saturday, August 29, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

২০২১ এবং ২০২২ সাল মিলিয়ে অন্তত ৩৫টি ওয়ানডে এবং ৫৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে খেলবে অন্তত ১৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি। ২০২২ সালে খেলার কথা রয়েছে ২০টি ওয়ানডে এবং ২৫টি টি-টোয়েন্টি।

ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদ তাঁর ইউটিউব চ্যানেল 'নট আউট নোমানে' বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বরাত দিয়ে  ম্যাচগুলোর সংক্ষিপ্ত সূচি জানিয়েছেন।

বিসিবি আগামী দুই বছরের জন্য ক্রিকেটের যে সূচি সাজিয়েছে সেই অনুযায়ী আগামী দুই বছরে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

যার মধ্যে কয়েকটি সিরিজ ওয়ানডে সুপার লিগের বাইরে। মূলত বিভিন্ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে অতিরিক্ত কয়েকটি সিরিজ নির্ধারণ করেছে বিসিবি।

তবে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যায় হেরফের হতে পারে। কেননা ২০২১ এবং ২০২২ সালে আইসিসি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ইভেন্ট আছে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ)। 

এই কয়েকটি আসরে সম্ভাব্য ম্যাচ সংখ্যা বিবেচনা করে ম্যাচের অংক বসানো হয়েছে। এছাড়া একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি, যা এখনও চূড়ান্ত নয়।

২০২১ ও ২০২২ সালে ২০টি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে এই দুই বছরে ম্যাচ সংখ্যা ১১১টি।

২০২১ সালে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের তালিকা:

১। জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি। ক্যারিবিয়ানদের এই সফরে তিনটি টেস্ট থাকছে। সিরিজের সময়সীমা ৪ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি।

২। ফেব্রুয়ারি- মার্চ: নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি। সিরিজের সময়সীমা ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ।

৩। মে: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে। সিরিজের সময়সীমা ১৮-২৯ মে।

৪। জুন: বিদেশের মাটিতে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে বাংলাদেশ অন্তত ছয়টি ম্যাচ খেলতে পারে বলে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপেও বাংলাদেশ ছয়টি ম্যাচ খেলেছে। সেই সুবাদে এমনটা বলা হয়েছে।

৫। জুন-জুলাই: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে এবং সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। দুটি টেস্টও থাকছে এই সিরিজে। সিরিজের সময়সীমা ১৮ জুন থেকে ২৮ জুলাই।

৬। সেপ্টেম্বর: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সিরিজের সময়সীমা ৬-১৪ সেপ্টেম্বর।

৭। সেপ্টেম্বর- অক্টোবর: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি। সিরিজের সময়সীমা ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর।

৮। অক্টোবর- নভেম্বর: এই সময়ে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেমিফাইনালে না উঠলেও অন্তত ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারে বাংলাদেশ।

৯। নভেম্বর- ডিসেম্বর: ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি। পাকিস্তান এই সফরে দুটি টেস্টও খেলবে। সিরিজের সময়সীমা ১৬ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর।

২০২২ সালে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের তালিকা:
 
১। ফেব্রুয়ারি- মার্চ: আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি। সিরিজের সময়সীমা ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ।

২। মার্চ- এপ্রিল: দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে। এই সিরিজে দুটি টেস্ট ম্যাচও থাকবে। সিরিজের সময়সীমা ৯ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল।

৩। জুন- জুলাই: ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি। সিরিজে দুটি টেস্টও থাকছে। সিরিজের সময়সীমা ৬ জুন থেকে ১৭ জুলাই।

৪। জুলাই- আগস্ট: জিম্বাবুয়ের মাটিতে পাঁচটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি। সিরিজের সময়সীমা ২৯ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট।

৫। সেপ্টেম্বর: ঘরে বা বাইরের মাটিতে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। এখানেও সম্ভাব্য ম্যাচ সংখ্যা ধরে নেয়া হয়েছে ছয়টি।

৬। অক্টোবর: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি। একটি টেস্ট ম্যাচও থাকছে। সিরিজের সময়সীমা ২-৩০ অক্টোবর।

৭। নভেম্বর: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সম্ভাব্য ম্যাচ সংখ্যা ধরে নেয়া হয়েছে আটটি।

৮। নভেম্বর- ডিসেম্বর: ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে। সিরিজের সময়সীমা ২১ নভেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর।