যখন ক্রিকেট শুরু করেছি তখন থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছি, ভবিষ্যতেও দিতে হবে: সোহান

ক্রিকফ্রেঞ্জি
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চার দিনের ম্যাচের পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও খুলনা বিভাগের জার্সিতে ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন নুুরুল হাসান সোহান। পরবর্তী সময়ে বিপিএল কিংবা ডিপিএলের মতো টুর্নামেন্টেও হেসেছে ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটারের ব্যাট। রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএলে ভালো খেলা সোহান ডিপিএলে ১১ ম্যাচে ৫১২ রান করেছিলেন ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সাদা পোশাকে ও একদিনের ম্যাচেও সেঞ্চুরি আছে সোহানের। ঘরোয়াতে একের পর এক টুর্নামেন্টে রানের বন্যা বইয়ে দেয়া সোহানের ব্যাটে রান এসেছে বিসিবির প্রস্তুতি ম্যাচেও।

promotional_ad

এমন পারফরম্যান্সেও শ্রীলঙ্কা সফরেও সুযোগ মেলেনি তাঁর। নির্বাচক ও বিসিবির পরিচালকদের পক্ষ থেকে প্রায়শই বলা হয়ে থাকে তাদের সুনজরে আছেন সোহান। সুনজরে থাকলেও স্কোয়াডে ডাক পড়ছে না তাঁর। জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে সম্প্রতি রংপুরের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে খেলেছেন তিনি। টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিততে না পারায় খানিকটা আক্ষেপ নিয়েই দেশে ফিরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দেশে ফিরে ক্রিকফ্রেঞ্জির প্রতিনিধি জয়ন্ত বিন্দু’র সঙ্গে একান্ত আলাপে নিজের পারফরম্যান্স, জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া, রংপুরের জিএসএল জার্নি ও বিপিএল নিয়ে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন সোহান।


আরো পড়ুন

সাকিব ভাই ক্রিকেট মাঠে অনেক এনজয় করছে: সোহান

৩০ জুলাই ২৫
নুরুল হাসান সোহান (বামে) ও সাকিব আল হাসান (ডানে), ফাইল ফটো

ক্রিকফ্রেঞ্জি— কদিন আগেই জিএসএল খেলে এলেন। পুরো টুর্নামেন্টে ভালো করলেও ফাইনালে হারলেন। কোথায় ভুল হলো?


নুরুল হাসান সোহান— আমরা টানা দুই আসরেই ফাইনাল খেলেছি। এবারও যদি আমরা শেষটা ভালো করতে পারতাম তাহলে ভালো লাগতো। পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটা অনেক বড় পাওয়া হতো। কারণ এরকম বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে প্রায় সবগুলো দলই ব্যালেন্সড। তাদের সঙ্গে লড়াই করে যদি ফাইনালটা জিততে পারতাম তাহলে অবশ্যই ভালো হতো, বাংলাদেশের ক্রিকেটকেও একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতো। কিন্তু যেটা বললাম ফাইনালের দিনটা আমাদের সবার জন্যই একটা বাজে দিন ছিল।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— জিএসএলের সময় অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ব্যাপকভাবে আপনার অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছেন। অধিনায়ক হিসেবে আপনি নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন


নুরুল হাসান সোহান— দেখুন, ক্রিকেট পুরোপুরি একটা দলীয় খেলা। যখন আপনার দলের ১১ কিংবা ১৫ জন খেলোয়াড় মন থেকে নিজেরাই দলের জন্য কিছু করতে চাইবে তখন অধিনায়কের খুব বেশি কিছু করার থাকে না। আমি যেখানেই থাকি না কেন সবসময় চাই একটা দল হিসেবে খেলার জন্য। ক্রিকেটাররা নিজেরা যখন দল নিয়ে চিন্তা করে তখন অধিনায়ক হিসেবে আমাকে খুব বেশি করতে হয় না। আমি সবার মাঝে ওই জিনিসটাই ইনপুট করার চেষ্টা করি। গ্লোবাল সুপার লিগে আমাদের হয়ে যারা খেলেছে তারা সবাই দলের জন্য অনেক বেশি কমিটেড।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— একটু মাঠের বাইরের প্রসঙ্গ নিয়ে যদি বলি তাহলে গত মৌসুমে ইমরান তাহির বলেছিলেন পেমেন্টের কারণে রংপুরকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে চান। তখন আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?


নুরুল হাসান সোহান— আমার কাছে মনে হয় মাঠের বাইরের ব্যাপারগুলো বাইরেই থাকা উচিত। আমি কখনই খেলার মাঠে বাইরের ইস্যু টানতে চাই না, পছন্দও করি না। গায়ানা দল হিসেবে খুব ভালো ছিল। শুধু তারা না টুর্নামেন্টে যারা খেলেছে প্রত্যেকটা দলই ভালো মানের। গত বছর যখন আমরা গিয়েছিলাম তখন আমাদেরকে কেউই ওইভাবে গোনায় ধরেনি। কিন্তু এবছর আমরা চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গিয়েছিলাম। আমাদের জন্যও আলাদা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড় সবাই ওই চ্যালেঞ্জটা নেয়ার জন্য ক্ষুধার্ত ছিল।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— এনসিএল, বিপিএল, ডিপিএলে আপনি ছন্দে ছিলেন, পারফর্মও করেছেন। ‘এ’ দলের হয়েও ভালো খেলেছেন। শ্রীলঙ্কা সফরে একটা সুযোগ আশা করেছিলেন কিনা?


নুরুল হাসান সোহান— আসলে সবসময় আমি যেভাবে চাইবো ওইভাবে হবে না। সবার আগে বাংলাদেশ দল এবং আমার কাজ হচ্ছে ক্রিকেট খেলা। দল নির্বাচনের ব্যাপারটা আসলে আমার হাতে নেই। এটা যারা করবে তাদের কাছে হয়তো ভালো ব্যাখ্যা থাকবে। অবশ্যই তারা তাদের জায়গা থেকে তাদের সেরা চিন্তা-ভাবনাটাই করবে বাংলাদেশ দলের জন্য।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— কিন্তু পারফর্ম করার পরও যখন সুযোগ না আসে তখন তো মন খারাপ হয়, তাই না?


নুরুল হাসান সোহান— বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলা অবশ্যই গর্বের ব্যাপার। আর মন খারাপের কোন কিছু চিন্তা করে আসলে লাভ নেই। এখানে আমার কাজটা হচ্ছে ক্রিকেট খেলা। যেখানেই সুযোগ পাব চেষ্টা করব সেখানেই ভালো খেলার। আর পরীক্ষার কথা যদি বলেন, তাহলে জীবনটাই তো একটা পরীক্ষা। যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, তখন থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছি। যখন সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছি হয়তো অনেকদিন আগে, তখনও পরীক্ষা দিয়েছি। ভবিষ্যতেও পরীক্ষা দিতে হবে। এটা আসলে আমার কাছে এরকম করে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। আমি যখনই যেখানেই খেলি না কেনো নিজের শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করি।


promotional_ad

ক্রিকফ্রেঞ্জি— অনেকের ধারণা বাংলাদেশের দল নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটা বড় প্রভাব থাকে। অনেকে আপনাকে দলে নিতেও নানান রকম পোস্ট করেন। এগুলোকে আপনি কিভাবে দেখেন?


আরো পড়ুন

দেশি কোচদের টোটকাতেই জিএসএলে সফল খালেদ

২৩ মিনিট আগে
ফাইল ছবি

নুরুল হাসান সোহান— এটা আসলে ম্যান টু ম্যান ভ্যারি করে। আপনি জীবনে যখন সবকিছু চাইবেন তখন সবসময় সেটা আপনার মন মতো করে হবে না। এখানে অনেক যদি কিন্তু থাকবে, অনেক কিছুই থাকবে। আমি যেখানেই খেলি না কেন নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি। অবশ্যই, নিজেকে সবসময় একজন খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করি। বাইরের জিনিসগুলো আমার চিন্তা করার বিষয়ও না। সোশ্যাল মিডিয়া বা এগুলো থেকে একটু দূরে থাকার চেষ্টা করি। আমার কাছে মনে হয় খুবই ভালো আছি. আলহামদুলিল্লাহ।


একটা প্যাশনের জায়গা থেকে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নিয়েছি। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হচ্ছে যেটা আমার প্যাশন ছিল সেটােই পেশা হিসেবে পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয় এটাই বড় পাওয়া। এটার জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আর আমি সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি ফলো করতে চাই না। কারণ আমাদের ক্রিকেট যারা দর্শক আছে, অনেক বেশি ক্রিকেটের প্রতি ইমোশনাল। তাদের জায়গা থেকে অবশ্যই মন্তব্য করতে পারে বা করবে, এটা স্বাভাবিক। কারণ আমরা খারাপ করলে তারাও কষ্ট পায়।


একই সঙ্গে আমার কাছে মনে হয় যারা এই জায়গায় কাজ করে তাদের ওই জায়গা থেকে আরও শান্ত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে কোনো কিছুর উপরে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবটা না পড়ে। কারণ অনেক জিনিস অনেক জায়গা আছে, যে জায়গাটা হয়তো আপনি মোকাবেলা না করলে ওই জায়গাটা বুঝতে পারবেন না। বাইরে থেকে মন্তব্য করা বা কথা বলা সহজ কিন্তু আসলে সব মিলিয়ে যারা এটার সাথে জড়িত থাকে, তাদের অনেক কিছু চিন্তা করে তারপর কাজ করতে হয়।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— দর্শকদের ক্ষোভের জায়গাটাও তো মনে হয় একেবারে ফেলে দেয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রায়শই প্রত্যাশা মেটাতে পারে না। তখনই হয়ত ট্রল কিংবা সমালোচনা হয়...


নুুরুল হাসান সোহান— আমি যেটা বললাম বাংলাদেশের ক্রিকেট আজকে এই পর্যন্ত আসার পেছনে দর্শকদের অনেক ভূমিকা আছে। তারা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সাপোর্ট করে এবং আমাদের জায়গায় থেকে দায়িত্ব হচ্ছে তাদেরকে ভালো কিছু দেয়া। সমস্যাটা হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট যেখানে থাকার কথা ছিল ওই জায়গায় নেই।


আমার কাছে মনে হয় অবশ্যই, সবাই চেষ্টা করবে যাতে দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যায়। এটা শুধু খেলোয়াড়রা করবে ব্যাপারটা এমন না। বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেট নিয়ে যেহেতু অনেক ইমোশন তাই আমাদের পাশাপাশি তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে, সবাই মিলেই চেষ্টা করতে হবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারি। দেশের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে যাক, এটাই চাওয়া।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— আপনাকে এখন প্রায়শই ৫ কিংবা ৬ নম্বরে ব্যাটিং করতে দেখা যায়। যদি জাতীয় দলে ফেরেন তাহলে কী একই জায়গায় ব্যাটিং করবেন নাকি পছন্দের আরও কোনো পজিশন আছে?


নুরুল হাসান সোহান— দলের জন্য আমি সব জায়গায় খেলতে প্রস্তুত। কিন্তু এখন ক্রিকেট খেলাটা শুধু মাঠের ভিতরে সীমাবন্ধ নেই। অনেক অ্যানালিষ্ট আছে তারা অ্যানালাইসিস করলে বুঝতে পারবে কোন জায়গাটা আমার জন্য যুতসই, কোন জায়গাটা দলের জন্য ও আমার জন্য ভালো হবে। এগুলো আসলে একটা ক্লিক করলেই সবকিছু বোঝা যায়। সেক্ষেত্রে আমার কাজ মাঠে পারফর্ম করা এবং যেখানেই সুযোগ পাব যে পজিশনে সুযোগ পাব নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো। আমার মনে হয় দলের জয়ে আপনি কতটা ইমপ্যাক্ট রাখতে পারছেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেছিলেন। তবুও জেতাতে পারেননি। ওই ম্যাচের পর জাতীয় দলের হয়ে একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। এজন্য কী আক্ষেপ হয়?


নুরুল হাসান সোহান— আসলে আমি এভাবে মূল্যায়ন করতে চাই না। একটা আফসোস থাকবে কারণ আমি যখন ২০২২ সালে খেলেছি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে একটা ম্যাচ ছিল হয়তো শেষ ওভারে ১৯ রান লাগতো। আমি আর তাসকিন ১০-১৫ রান হয়তো নিতে পেরেছিলাম। একটা ভালো সুযোগ ছিল যদি ১৯ বা ২০ নিতাম বিশ্বকাপের মতো একটা জায়গায় করতে পারলে হয়তো ভালো হতো আমার জন্য। কিন্তু করতে পারিনি। কিন্তু একই সময়ে আমার কাছে মনে হয় যে আমি হয়তো ১০ বল বা ১১ বল সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি। তো একটা ওই ওভারে মনে হয় একটা ছয়, একটা চারও হয়েছিল, একটা বাউন্ডারির দূরে ছিলাম। যদিও ওইটা হতে পারতো। একটা সবসময় আক্ষেপ থাকে যে এরকম একটা বড় ম্যাচ খুব ভালো সুযোগ ছিল ভালো শেষ করার।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— ২০২২ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে তো আপনি অধিনায়কও হয়ছিলেন। একটা সিরিজের জন্য কিভাবে পরিকল্পনা করেছিলেন...


নুরুল হাসান সোহান— আমি যখন যেখানে অধিনায়কত্ব করি আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে একটা দল হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা যারাই খেলব আমরা যাতে ব্যক্তিগত চিন্তা না করে আমরা দলের জন্য চিন্তা করি। আপনি যখন দলের জন্য চিন্তা করবেন, ব্যক্তিগতভাবে আপনার অনেক কিছু কিন্তু ম্যাটার করবে না। আপনি দলের জন্য খেলতে গেলে আপনি পরিস্থিতিগুলোর জন্য অনেক সময় আপনি ব্যর্থ হবেন, সফল হবেন। আমার কাছে মনে হয় যে ওইটা নিজেকে নিজের পাশে থাকাটাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটা খেলোয়াড়ের জন্য।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— আপনি তো চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও রাসেল ডমিঙ্গোর অধীনে খেলেছেন। কোচ হিসেবে দুজনকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?


নুরুল হাসান সোহান— রাসেল ডমিঙ্গোকে আমি ১০০ এর মধ্যে ৯০ দিব। কারণ ম্যান ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে সে খুব ভালো ছিল এবং খেলোয়াড়দের বিশ্বাস করতেন। আর হাথুরুসিংহের ক্ষেত্রে হয়তো হাথুরুসিংহের পরিকল্পনা ভালো ছিল। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে কোনো খেলোয়াড়ই তাকে বিশ্বাস করতে পারতো না। কারণ একজন খেলোয়াড় যখন ভালো করবে তার কিন্তু অনেক বেশি সাপোর্টের দরকার হয় না। কারণ সে এমনিই ভালো করছে। যখন একটা খেলোয়াড় খারাপ করবে তখন তার সাপোর্টের দরকার হয়।


ওই খারাপ সময়টা থেকে কিভাবে বের হবে সেটার জন্য কাউকে প্রয়োজন হয়। কারণ যারা জাতীয় দলে খেলছে, বাংলাদেশের হয়ে আগে খেলেছে, এখন খেলছে কিংবা ভবিষ্যতে খেলবে সবারই কিন্তু কোয়ালিটি আছে এবং পারফর্ম করেই তারা দলে জায়গা পায়। হয় ঘরোয়াতে পারফর্ম করেছে নয়ত অন্য কোথাও পারফর্ম করে আসে। আপনার ওই মানসিক শান্তিটা থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই জায়গায় হাথুরুসিংহের এই জিনিসটা ছিল না আমার কাছে মনে হয়।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— ড্রেসিং রুমে এটার কতটা প্রভাব পড়তো?


নুরুল হাসান সোহান— আমি যেটা বললাম ড্রেসিং রুমের পরিবেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন এরকম কোনো কিছু দেখবেন বা এরকম পরিস্থিতি আসবে তখন আমার কাছে মনে হয় না ড্রেসিং রুমের পরিবেশটা ভালো থাকবে। ১৫জন খেলোয়াড়ের প্রতিই কিন্তু কোচ বলেন বা টিম ম্যানেজমেন্ট বলেন তাদের এই বিশ্বাসটা আসা উচিত।


যখন জিনিসটার ঘাটতি থাকবে তখন আপনি কোনো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে শতভাগ আশা করতে পারবেন না। হয়তো সে আরেকটু গুছিয়ে দল পরিচালনা করলে দলের পরিবেশটা আরো ভালো থাকবে। কিন্তু সত্যি বলতে আমার কাছে মনে হয় রাসেল ডমিঙ্গোর এই ধৈর্যটা ছিল এবং ম্যান ম্যানেজমেন্ট বা খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ খারাপ করলেও তাদের সেই বিশ্বাসটা ছিল যে এই কোচ তার পাশে দাঁড়াবে।


ক্রিকফ্রেঞ্জি— পিএসএল, সিপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলো নিজেদের একটা জায়গা তৈরি করে ফেলে। এক যুগেও কেন বিপিএল পারেনি। কোথায় পিছিয়ে আমরা?


নুরুল হাসান সোহান— দেখুন, আমার কাছে মনে হয় বিপিএলের যেভাবে উন্নতি হয়েছিল আরও ভালো জায়গায় থাকতে পারতো। আমরা হয়তো ওই জায়গায় নাই। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় অবশ্যই সুযোগ আছে ভালো জায়গায় থাকার। কারণ আপনি যদি মনে করেন বাংলাদেশের দর্শকদের, বাংলাদেশের মানুষদের ক্রিকেটের প্রতি যে আবেগ, এসব ভাবলে আমার কাছে মনে হয় আমাদের ক্রিকেট আরও ভালো জায়গায় থাকা উচিত এবং একই সময়ে বিপিএল বলেন বা যেসব টুর্নামেন্ট ঘরোয়া টুর্নামেন্ট হয় এগুলো আরও অনেক ভালো জায়গায় থাকার কথা।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball