দলের স্কোর তখন ২ উইকেটে ৩৩৫। উইকেটে থিতু হয়ে খেলতে থাকা মমিনুল অপরাজিত ১৫৭ রানে। ঘন্টা দুয়েক আগেই তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।
চট্টগ্রামকে নিজের লাকি গ্রাউন্ড বলতেই পারেন তিনি। টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন প্রায় তিন বছরেরও বেশী সময় পর। ওয়ানডে মেজাজে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া মমিনুল তখন খেলছিলেন ধীরে সুস্থে।
হুট করেই কি যেন হল তার, বল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে! লঙ্কান বিধ্বংসী স্পিনার রঙ্গনা হেরাথকে সামনে এসে এগিয়ে মারলেন লং অনের উপর দিয়ে। টেস্ট ব্যাটসম্যান খ্যাত মমিনুল ছক্কা হাঁকিয়ে ছুঁয়ে ফেললেন টেস্ট ক্যারিয়ারে ২০০০ রান।
তাও আবার পেছনে ফেললেন তামিম ইকবাল, হাবিবুল বাশার, সাকিব আল হাসানদের মত ব্যাটসম্যানদের। মাত্র ৪৭ ইনিংসেই ২০০০ রানের মালিক এখন মমিনুল। অথচ এই ২০০০ রান করতেই তামিমকে খেলতে হয়েছে ৫৩ ইনিংস।
বাশার এবং সাকিবের লেগেছে সমান ৫৮ ইনিংস। সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৬৭ ইনিংস খেলে এবং মোহাম্মদ আশারাফুলের লেগেছিল ৯১টি ইনিংস।
মোট ২৬ টেস্টে পাঁচটি সেঞ্চুরির মালিক মমিনুল ৪৭.৭১ গড়ে এই মাইলফলকটি নিজের করে নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ব্যাটিং স্কোর ১৮১ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।