ব্যাট হাতে সময়টা একেবারে ভালো যাচ্ছে না সালমানের। সবশেষ ৯ ইনিংসের একটিতেও হাফ সেঞ্চুরি নেই ডানহাতি ব্যাটারের। পাকিস্তানের অধিনায়ক সবশেষ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন মাসখানেক আগে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। চলতি এশিয়া কাপেও ব্যাট হাতে ধুঁকছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ১১.২৫ গড়ে করেছেন মাত্র ৪৫ রান।
এমন পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। কদিন আগে শোয়েব আখতার জানিয়েছেন, সালমানই পাকিস্তান দলের সবচেয়ে দূর্বল জায়গা। ব্যাটিং পারফরম্যান্সের চেয়েও সালমানকে ঘিরে সমালোচনা হচ্ছে স্পিনারদের খেলা নিয়ে। বেশিরভাগ ম্যাচেই দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়েছেন তিনি। অক্ষর প্যাটেল, ধ্রুভ পারাশার, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, আমির কালিমদের মতো স্পিনারদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেননি।
যে ম্যাচটাতে অপরাজিত ছিলেন সেটাতেও ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। সালমান স্পিনারদের খেলতে পারেন না এমন অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ৩১ বছর বয়সি ব্যাটার বলেন, ‘আমি যদি উইকেটে থিতু হতে পারি, আমি জানি আমি বিশ্বের যেকোনো স্পিনারকে ছক্কা মারতে পারব।’
সালমানের পরিসংখ্যান অবশ্য তাঁর পক্ষে কথা বলছে না। ২০২৪ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে ডানহাতি ব্যাটারের। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের জার্সিতে ৩০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এমনকি পাকিস্তানকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। তবে এখনো প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ২৪.২৭ গড় ও ১১১.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ৫৩৪ রান করেছেন।
যেখানে ৪৫ চারের পাশাপাশি ১৬টি ছক্কা মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৩ ম্যাচে স্পিনারদের বিপক্ষে খেলে ৮টি ছক্কা মেরেছেন সালমান। বাকি ৮টি ছক্কা মেরেছেন পেসারদের বিপক্ষে। তবুও সমালোচনাকে সামাল দিতে নিজের উপর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন তিনি। তবে এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তীতে সময়ে আরও বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে তাকে।