পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তদন্তে ইংল্যান্ডের পুলিশ, নিষেধাজ্ঞা পিসিবির

ছবি: চিটাগং কিংস

গত মাসের শেষের দিকে ইংল্যান্ড সফর করেছে পাকিস্তান শাহীনস। যেখানে বেকেনহ্যামে ফার্স্ট-ক্লাস কাউন্টিস সিলেক্ট ইলেভেনের বিপক্ষে তিনটি একদিনের ও একটি লাল বলের ম্যাচ খেলেছে তারা। এ ছাড়া এমসিসি ইয়াং ক্রিকেটার্স অ্যান্ড সাউথ এশিয়ান ক্রিকেট অ্যাকাডেমি একাদশের বিপক্ষেও একটি সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলেছেন হায়দার, সাউদ সাকিল, মেহরান মুমতাজরা।
সালমানের ওপর বিশ্বাস আছে হেসনের
৯ আগস্ট ২৫
একদিনের ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন হায়দার। তিন ম্যাচের সিরিজে দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪১ রান করেছেন। লাল বলের ক্রিকেটে তিন ইনিংস মিলে রান করেছেন ১৮ রান। সেই সফরের সময়ই পাকিস্তানের ডানহাতি এই ব্যাটার কোনো একটি অপরাধমূলক কাজে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ এনেছে গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ। যার ফলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে তারা।

যদিও কী ধরনের অপরাধ করেছেন সেটা এখনো খোলাসা করেনি গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হায়দারকে হেফাজতে রাখা হয়নি। তবে এমন অভিযোগের জেরে তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে পিসিবি। যদিও তদন্ত চলাকালীন হায়দারকে সবধরনের আইনি সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড।
এক বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, ‘যুক্তরাজ্যের আইনি প্রক্রিয়াকে পূর্ণ সমর্থন ও সম্মান করে পিসিবি এবং এই তদন্তকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়ার গুরুত্বও স্বীকার করছে। হায়দারকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ (সাসপেন্ড) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর, এখন থেকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে প্রয়োজনে নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী পিসিবি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।’
পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত দুইটি ওয়ানডে এবং ৩৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন হায়দার। যদিও লম্বা সময় ধরেই জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা হচ্ছে না তাঁর। ২০২০ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজেই নিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২২ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।