রিশাদের দারুণ বোলিংয়ের পরও ম্যাচ হারল লাহোর

ছবি: লাহোর কালান্দার্সের ক্রিকেটাররা, পিএসএল

আর তাতেই ম্যাচ কঠিন হয়ে যায় করাচির জন্য। তবে হারিস রউফের খরুচে বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাহোরকে। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির কবলে পড়ে লাহোর। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৫ ওভারে। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে তারা। তবে বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য করাচির সামনে ১৬৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।
প্লে-অফে রিশাদই ‘এক্স ফ্যাক্টর’, সে আমাদের ফাইনালে তুলবে: কালান্দার্সের মালিক
১৪ ঘন্টা আগে
সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও টিম সেইফার্ট। ওয়ার্নার আউট হন ১০ বলে ২৪ রান করে। আর সেইফার্টের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ২৪ রান। এরপর রিশাদ নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই আউট করেছেন জেমস ভিন্সকে।
ওভারের চতুর্থ বলে ১২ বলে ১৩ রান করা এই ব্যাটারকে সিকান্দার রাজার ক্যাচ বানান রিশাদ। ভিন্স ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন তবে সেখানে ফিল্ডিং করা রাজা দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন। সেই ওভারে রিশাদ খরচ করেন মাত্র ৭ রান। দ্বিতীয় ওভারে রিশাদের ওপর চড়াও হন সাদ বেগ।

পিএসএলে খেলার পর রিশাদ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও ডাক পাবে: রাজা
১৮ ঘন্টা আগে
এই স্পিনারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মারেন। পরের বলে পাকিস্তানি এই ব্যাটার ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারে ছক্কা। সেই ওভারে রিশাদ খরচ করেন ১৩ রান। খানিক বাদেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা সাদকে আউট করেছেন ড্যারিল মিচেল। ১৫ বলে ২৫ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউ করেন এই কিউই মিডিয়াম পেসার।
ইনিংসের ১১তম ওভারে শেষ ওভারে এসে মাত্র ৮ রান দেন রিশাদ। যদিও উইকেট পাননি আর। তবে রিশাদের এমন বোলিংয়েই জয়ের পথ সহজ হয়ে যায় লাহোরের। শেষদিকে খুশদিল শাহকে আউট করেছেন হারিস রউফ। একপ্রান্ত আগলে রেখে তখনও করাচিকে টানছিলেন ইরফান খান নিয়াজি।
করাচির জিততে শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। তবে ১৪তম ওভারে এসে হারিস রউফ এক ওভারেই খরচ করেন ২০ রান। ফলে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ বেরিয়ে যায় লাহোরের। যদিও পরের ওভারে এসে মোহাম্মদ নবিকে ফেরান মিচেল। তাতেও ৫ বলে ৭ রানের সমীকরণ আটকাতে পারেননি মিচেল।
ইমরান শেষ পর্যন্ত ২১ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। এর আগে ফখর জামানের ৫১, মোহাম্মদ নাইমের ৬৫ আর আব্দুল্লাহ শফিকের ১৮ রানের সুবাদে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ১৬০ রান তোলে লাহোর। করাচির হয়ে একাই চার উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। মীর হামজা, হাসান আলী ও আমের জামাল নেন একটি করে উইকেট।