সাউথ আফ্রিকায় বাংলাদেশের যুবাদের সিরিজ জয়

ছবি: ফাইল ছবি

বেনোনিতে জয়ের জন্য ২৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সাউথ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক বুলবুলিয়া আউট হয়েছেন মাত্র ২ রানে। আদনান ল্যাগাদিয়েন, আরমান মানাকও ফিরেছেন দ্রুতই। একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি করেন রোওলেস।
বড় জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
১৭ জুলাই ২৫
৫ চার ও ২ ছক্কায় আজিজুলের বলে ফেরার আগে করেছেন ৫১ রান। বাকিদের মাঝে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন কর্নে বোথা। দ্বিতীয় ম্যাচেও দেড়শ পেরিয়ে থেমেছে প্রোটিয়ারা। স্বাগতিকদের ১৬১ রানে গুটিয়ে দেয়ার দিনে বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আল ফাহাদ, আজিজুল হাকিম ও স্বাধীন ইসলাম।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রিফাত বেগ ও জাওয়াদ মিলে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৬ রান। পাওয়ার প্লে শেষে ইনিংসের ১২তম ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন বোথা। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বাউন্সারে গালির উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় জেজে বেসনকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৮ রান করা রিফাত। বাঁহাতি ওপেনার ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন জাওয়াদ ও আজিজুল হাকিম।
খাবার নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা
৭ ঘন্টা আগে
অ্যানাথি কিটশিনির ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরে ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাওয়াদ। টানা দুই ম্যাচেই পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। বোথার শর্ট ডেলিভারিতে পুল করে ছক্কা মারতে গিয়ে টপ এজ ক্যাচ দিয়েছেন জাওয়াদ। ৬ ছক্কা ও এক চারে ৫৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন ডানহাতি এই ওপেনার। পরবর্তীতে বাংলাদেশকে টেনেছেন আজিজুল হাকিম ও রিজান।
দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকা বাংলাদেশের অধিনায়ক ৬৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। জাওয়াদের মতো তিনিও হাফ সেঞ্চুরির পর আউট হয়েছেন। বোথার বলে ফেরার আগে ৯০ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন আজিজুল হাকিম। আগের ম্যাচে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পল জেমসের বলে আব্দুল্লাহ আউট হয়েছেন ৯ বলে ১০ রান করে। প্রথম একদিনের ম্যাচের মতো এদিনও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন রিজান।
জেমসের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৬৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। রিজানও হাফ সেঞ্চুরির পর আউট হয়েছেন জাওয়াদ ও আজিজুল হাকিমের মতো। ৭১ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে জেমসকে উইকেট দিয়ে গেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষের দিকে সামিউন বশির রাতুল ২৫, ফরিদ হাসান ফয়সাল ১৪ ও ফাহাদ ১৫ রান করেছেন। সাউথ আফ্রিকার যুবাদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জেমস ও বোথা। একটি করে উইকেট পেয়েছেন বেসন ও এনটান্ডো সোনি।