নাইমের ফেরা ও সৌম্যের না থাকা নিয়ে যা বললেন লিপু

ছবি: নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার, ফাইল ফটো

নাইম অবশ্য পারফর্ম করেই জাতীয় দলে ফিরেছেন। শেষবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১১ ম্যাচ খেলে ৬১৮ রান করেছেন এই ওপেনার। নাইমের জায়গা পাওয়াকে তাই পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করছেন তাকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন সৌম্য।
ইনিংস লম্বা করার চেষ্টাতেই সফল নাইম
২১ মার্চ ২৫
প্রধান নির্বাচক বলেন, 'আজকে যে নাইম শেখ আসলেন, তিনিও কিন্তু তার যে খেলার ধরন, আমাদের টপ যে দুইজন ওপেনার ব্যাটিং করছেন, সেই একই ধরনে ব্যাট করার মতো সক্ষমতা, একটা নজির রেখেছেন কিন্তু ঢাকার ক্রিকেটে। তিনি তাকে কিছুটা বদলেছেন। আমার মনে হয় আপনারাও ফলো করেন, আপনারা সেই জিনিসটা দেখছেন।'

'আমাদের এখন ওপেনিংয়ে যে তিনজন দাঁড়ালো, যারা নাকি একইভাবে ব্যাট করার মতো সক্ষম। একইভাবে, আমরা আমাদের কাছে সৌম্য সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। বিকজ দশ বছর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলাটার অভিজ্ঞতা আছে। আমার বিশ্বাস যে সাম্প্রতিক ক্রিকেটের যে দাবি, তার সঙ্গে তিনি খাপ খাইয়ে নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন এবং আমরাও বড় ক্যানভাসে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু আমরা অফার করবো এবং তিনি আমাদের মনে আছেন।'
ছিটকে গেলেন সৌম্য, পাকিস্তান সিরিজের দলে মিরাজ
২২ মে ২৫
গত ফেব্রুয়ারির পর জাতীয় দলে আর খেলতে পারেননি সৌম্য। মাসখানেক আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে তাকে নেয়া হয়। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এরপর পাকিস্তান সফরেও থাকার কথা ছিল সৌম্যর। যদিও ইনজুরির কারণে সেখানে খেলতে পারেননি সৌম্য। শুধু পারফরম্যান্সের কারণে নয়, সৌম্যকে ইনজুরি থেকে সুস্থ হতেও পর্যাপ্ত সময় দিতে চায় বোর্ড।
লিপু আরো বলেন, 'সৌম্য সরকার আমাদের সঙ্গে আছেন। ২০১৪-১৫ সাল থেকে আছেন। তো অতি সম্প্রতি যদি আপনি দেখেন, সে প্রায় লাস্ট ১২-১৪ মাস থেকে তিনি আনফরচুনেটলি তিনটা ইনজুরিতে ভুগেছেন। একটা আপনারা জানেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যখন আমরা খেলছিলাম চট্টগ্রামে একদিনের ম্যাচ, তো সেখানে তার এসিএল ইনজুরিটা হয় এবং মাথায় একটু ব্যাথা পান। তো এসিএলটাই মেজর ইনজুরি ছিল হাঁটুতে। সেখান থেকে রিকভার করে ফেরত আসেন। তারপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আনফরচুনেটলি তার আরেকটা বড় ইনজুরি হয় আঙুলে, সেখানে অনেকগুলো স্টিচ পড়ে, অনেকদিন বাইরে ছিলেন এবং অতি সম্প্রতি আমরা ইউএই এবং পাকিস্তান সফরের জন্য তাকে দলে বিবেচনায় আনি।'
'যখন এখানে বিবেচনায় আনা হয়, তখন তার ছোট্ট একটা চোট ছিল, যেটা ফিজিও আর তার বোঝাপড়ায় মনে হয়েছে দ্রুত সুস্থ হবে। ইউএইতে খেলবে ভেবেছিলাম। কিন্তু আনফরচুনেটলি এবার দেখা যায় যে পরিকল্পনা মোতাবেক ইনজুরিটা থেকে রিকভারিটা সেভাবে হয়নি। তো সেই আলোকে সিরিজের কোনো ম্যাচই তিনি খেলতে পারেননি এবং পরবর্তী পর্যায়ে পাকিস্তান সফরের জন্য তাকে দলে রাখতে পারা যায়নি কেননা ফিজিও সাপোর্ট করেনি। খেলতে পারলে সেই শ্রীলঙ্কা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরে হয়তো তিনি তার পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেকে উজ্জীবিত করতে পারতেন।'