প্রথম তিন দিনে রান করা সহজ হবে নাজমুল হোসেন শান্ত সেটা টেস্টের আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ের অতীত রেকর্ডও সেটাই মনে করিয়ে দেয়। গলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে কিংবা চতুর্থ দিনে এসে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন স্পিনাররা। উইকেট থেকে স্পিনাররা সহায়তা পেতে শুরু করেছিলেন। তবে চতুর্থ দিনের উইকেট যেমন হওয়ার কথা পুরোপুরি তেমনটা হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং করাটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাদমান ইসলাম ও শান্ত যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে উইকেটে বোলারদের জন্য বিশেষ কিছু আছে এমনটা নজরে পড়েনি। স্পিনাররা বেশ কিছু টার্ন পেলেও ব্যাটিং করাটা একেবারে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেনি। যার ফলে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। গলের শেষ দিনে জয়, হার কিংবা ড্র সবকিছুই হতে পারে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাথে।
শেষ দিনে ১৮৭ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের পরিকল্পনটা কী হবে সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল নাঈমের কাছে। বাংলাদেশের অফ স্পিনার অবশ্য নিজেদের পরিকল্পনা গণমাধ্যমে খোলাসা করতে চাইলেন না। ১২১ রানে ৫ উইকেট নেয়া নাঈম বলেন, ‘আসলে এটা (শেষ দিনে পরিকল্পনা কী হবে) কালকে দেখতে পারবেন। খেলা নিয়ে আমাদের তো একটা পরিকল্পনা আছে, পরিকল্পনাটা ইনশাআল্লাহ কালকে মাঠে দেখবেন।’
গলে জিততে চাইলে সকালের প্রথম সেশনে খানিকটা আক্রমণাত্বক মেজাজে ব্যাটিং করে তিনশর বেশি রান তুলতে হতে পারে বাংলাদেশকে। এমনটা হলে শেষের দুই সেশনে শ্রীলঙ্কাকে অল আউট করার সুযোগ থাকবে সফরকারী বোলারদের সামনে। সেটা করতে গেলেও অবশ্য ভয়ের কারণ আছে। আচমকা ব্যাটিং ধসে আড়াইশর আগেই গুটিয়ে গেলে উল্টো ম্যাচ হারতে হতে পারে শান্ত-মুশফিকুর রহিমদের।
পঞ্চম দিনের উইকেটের কথা মাথায় রেখে অবশ্য জয়ের জন্য যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন নাঈম। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমাদের জেতার জন্য যাওয়ার সুযোগ আছে। আমরা যদি খুব ভালো একটা টোটাল করি এবং এরপর যদি ছাড়ি...। ইনশাআল্লাহ, পঞ্চম দিনের উইকেটে অনেক কিছু হয়। জেতার সুযোগ আছে।’
ডানহাতি এই অফ স্পিনার ভিন্ন এক প্রশ্নে যোগ করেন, ‘দেখুন—আসলে পঞ্চম দিনে অনেক কিছু হয় উইকেটে। যদি আমরা ভালো টোটাল দিতে পারি, তখন ওরা চাপে থাকবে। যখন আপনার নরমাল ক্রিকেট খেলা এক জিনিস আর চাপে থেকে খেলা অন্য জিনিস। তখন ওদের ম্যাচ হারানোর ভয় থাকবে। তো অনেক কিছু করা সম্ভব। যদি আমরা ইনশাআল্লাহ্ ভালো টোটাল দিই, আমাদের জন্য ভালো।’