বোলিং ভালো করিনি, পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়াব: লিটন

ছবি: ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন লিটন দাস, ফাইল ফটো

লাহোরে শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ১৯৬ রান তুলেও জিততে পারেনি। মোহাম্মদ হারিসের দ্রুতগতির সেঞ্চুরিতে ১৬ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। সিরিজের তিনটি ম্যাচই হেরে যায় বাংলাদেশ।
লিটনদের মনোবিদ দেখানোর পরামর্শ নান্নুর
৩ জুন ২৫
শেষ ম্যাচের পর লিটনের মূল হতাশা ছিল বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে, 'অবশ্যই (হতাশ)… আমরা ভালো বোলিং করিনি। গত দুই ম্যাচে ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো করিনি। সম্ভবত এই ম্যাচে এই উইকেটে খুব ভালো ব্যাটিং করেছি।'
সিরিজজুড়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কৌশলগত প্রস্তুতির অভাব চোখে পড়েছে। যার কারণে প্রথম দুটি ম্যাচে নিজেদের একেবারেই মেলে ধরতে পারেনি দলের ব্যাটাররা। এই জায়গায় উন্নতি চান লিটন নিজেও।

'এটি খুব ভালো উইকেট। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানকে কীভাবে বোলিং করতে হয়, আমাদের শিখতে হবে। একেক ব্যাটসম্যানের একেক রকম শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। আমাদের এসব নিয়ে ভাবতে হবে এবং সেই অনুযায়ী বোলিং করতে হবে।'
২ বছর পর বাংলাদেশের টেস্ট দলে ইবাদত
৯ ঘন্টা আগে
তৃতীয় ম্যাচে ওপেনিংয়ে ১১০ রানের জুটি গড়েন পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। পাকিস্তানের মাঠে সফরকারী ওপেনারদের এটিই প্রথম শতরানের জুটি। তবে মাঝের ও শেষের ব্যাটাররা সেই সূচনা বড় রানে রূপ দিতে ব্যর্থ হন।
তবুও ব্যাটিং ইউনিটের দিক থেকে দায়িত্বশীলতা দেখেছেন লিটন, 'ইমন ও তামিম খুব ভালো শুরু করেছে। শুধু তামিম ও ইমন নয়, বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের কাজটা করেছে।'
পাকিস্তান সফরে জয় না পেলেও গ্যালারির সমর্থন ছিল অনুপ্রেরণাদায়ী। দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি লিটন, 'দর্শক অসাধারণ ছিল। তারা সবাই সমর্থন দিচ্ছিল। দুই দলকেই সমর্থন দিয়েছে। খুব উপভোগ করেছে খেলা। আশা করি, পাকিস্তান আবার যখনই খেলবে, তারা মাঠে খেলা দেখবে।'
শেষ পর্যন্ত সিরিজে একটি ম্যাচও জিততে না পারায় সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াব।'