দিনের দ্বিতীয় বলেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে লং লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রান করে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে ১৭৪ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সব দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন শান্ত।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেনি। (আজ সকালে) আমার আউটটাই পুরো খেলাটা নষ্ট করে দিয়েছে। (তখনই) ওরা গতি পেয়ে যাওয়ায় আমরা হেরে গেছি।...উইকেটে আরও সময় থাকতে পারলে ভালো হতে। দলের যে পরিস্থিতি, তাতে (ওই শট) আমি না খেললেও পারতাম।’
বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘পুরো ম্যাচটা আমি একাই হারিয়ে দিয়েছি। সত্যি কথা। কারণ সকালের ঐ আউটেই অমি মনে করি খেলাটা নষ্ট হয়ে গেছে। ওখানে যদি একটা ৫০-৬০ রানের জুটি হতো তাহলে ২০০ কিংবা ২২০ রানের মতো স্কোর হতে পারত। তখন আমরা একটা ভালো অবস্থানে থাকতাম। আমি সবাইকে বলতে চাই না, (হারের) পুরো দায়ভার আমার। কারণ একটা বাজে সময়ে আমি আউট হয়েছি।’
১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা জিম্বাবুয়েকে বেশ ভালোই চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন ৫ উইকেট। অন্যপ্রান্তে খুব বেশি সহায়তা করতে পারেননি আর কেউ। ম্যাচ হারলেও তাইজুল ইসলাম ও মিরাজকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি শান্ত।
এই দুই স্পিনারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মিরাজ ও তাইজুল ভাই ভালো চেষ্টা করেছে বলে মনে করি আমি। অসম্ভব ভালো বল করেছে। বোর্ডে এ ধরনের রান থাকার পরেও যেভাবে বল করেছে, অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হয়।’