|| ডেস্ক রিপোর্ট || সোমবার রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরে গেছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। যদিও তাতে প্লে-অফ খেলাতে কোনো সমস্যা হবে না তাদের। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত হয়েছে বেঙ্গালুরুর। দলটির অধিনায়ক বিরাট কোহলি মনে করেন যোগ্য দল হিসেবেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছেন তারা। প্রথম দুই দলের লড়াইটাও দারুণ হবে বলে মনে করেন ভারতীয় অধিনায়ক। তিনি বলেন, 'আপনি খেলতে আসেন নিজের পক্ষে ফলাফল নেয়ার জন্যই। আমরা খুশি যে কোয়ালিফায়ার খেলবো। প্রথম দুই দলের লড়াইটা দারুণ হবে। কিন্তু আমরা মনে করি যথেষ্ট ভালো খেলেই আমরা এই জায়গাটা পেয়েছি।' আগে ব্যাট করে দিল্লির সামনে ১৫৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বেঙ্গালুরু। এক ওভার ও ছয় উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি। ম্যাচ শেষে কোহলি জানিয়েছেন ১১ ওভারের সময়ই তারা জানতেন শ্রেয়াস আয়ারদের আটকে রাখতে হবে ১৭ ওভার তিন বল পর্যন্ত। তাহলেই খেলা যাবে কোয়ালিফায়ার। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক বলেন, '১১ ওভারের সময় ম্যানেজম্যান্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় ১৭ ওভার ৩ বল পর্যন্ত আটকে রাখতে হবে। আমরা ম্যাচ হারলেও মাঝের দিকটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি।' কোয়ালিফায়ারে ভালো খেলার ব্যাপারেও আশাবাদি কোহলি, 'আমাদের চেষ্টা ও সুযোগ আছে। দল হিসেবে আমরা এটাই চাই। আমি নিশ্চিত দলের সবাই সামনে যেটা আছে, সেটা নিয়ে রোমাঞ্চিত। আমাদের আরও অনেক অনেক সাহসী হতে হবে।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচে হারের পরও নেই রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের প্লে-অফ খেলার অনিশ্চয়তা। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলে কলকাতার আগে থেকে প্লে অফ খেলা নিশ্চিত হয়েছে তাদের। সোমবার রাতে দিল্লির বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারে বেঙ্গালুরু। তবুও রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলে তিনের নিচে নামেনি তারা। এই ম্যাচ জয়ের প্রবল ইচ্ছে থাকাতেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন দলটির অলরাউন্ডার শাহবাজ খান। তিনি বলেন, 'আজকের ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ন ছিল। আমাদের রান রেট বেশি ছিল এটা ভালো দিক যে এই কারণে হেরেও প্লে অফ খেলতে পারবো। ম্যাচ জয়ের স্পৃহাটা আমাদের অন্যতম ইতিবাচক দিক ছিল।' এই ম্যাচে আইপিএলে প্রথমবারের মতো উইকেট পান শাহবাজ খান। সেটাও আবার শিখর ধাওয়ানের মতো ব্যাটসম্যানের। এই উইকেটটা তার জন্য বিশেষ বলেই মনে করেন বেঙ্গালুরুর এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, 'আইপিএল শুরুর আগে প্রস্তুতি ক্যাম্প আমাকে সহায়তা করেছে। শিখর ধাওয়ান আমার প্রথম আইপিএল উইকেট। এটা অন্য রকম অনুভূতি।' 'উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল আর দ্বিতীয় ইনিংসে সেটা আরও ভালো হয়েছে শিশিরের কারণে। প্রথম ইনিংস যেহেতু উইকেট স্লো ছিল আমাদের ১৫ রান কম হয়ে গিয়েছিল বলে ভেবেছিলাম।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || চলতি বছরেই সব ধরণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও গরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এখনো খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যদিও এখানে ভালো পারফর্ম করতে পারছেন না সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। এবারের আইপিএলে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংসকে। দলের বাকিদের পারফরম্যান্সের মতোই নিষ্প্রভ ছিলেন ধোনিও। হাসেনি তার ব্যাটও। তবুও আগামী মৌসুমে আইপিএল খেলার আভাস দিয়েছেন ধোনি। ভারতের আরেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব অবশ্য মনে করেন প্রতি বছর কেবল আইপিএল খেলে ধোনির জন্য পারফর্ম করা বেশ কঠিন ব্যাপার হবে। এই বয়সে ফিট থাকতে খেলার বিকল্প নেই বলে মনে করেন কপিল। তিনি বলেন, 'যদি ধোনি সিদ্ধান্ত নেয় প্রতি বছর শুধু আইপিএল খেলবে। তাহলে তার জন্য পারফর্ম করা অসম্ভব। বয়স নিয়ে কথা বলা ঠিক না কিন্তু ৩৯ বছর বয়সে সে যত খেলবে তত শরীর ঠিক থাকবে।' 'আপনি যদি বছরের দশ মাস ক্রিকেট না খেলেন এবং হঠাৎ করে আইপিএল খেলতে নামেন। তখন দেখবেন কী ঘটে। আপনি যদি কোনো মৌসুমে অনেক ক্রিকেট খেলেন তাহলে উপর-নিচ হবেই। এটা ক্রিস গেইলের মতো ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেও ঘটে।' একই সঙ্গে ধোনিকে নিজের পারফর্ম্যান্স ঠিক রাখার জন্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরে যাবার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন কপিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরে যাওয়া উচিত। কেউ যদি অনেক কিছু অর্জন করে, সেটা তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। দেখা যাক সে এটা কীভাবে পার করে।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লে-অফ পর্বে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে প্রস্তাব পেলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে তাদের এখনও সবুজ সংকেত দেয়া হয়নি। বিসিবির একটি সূত্র ক্রিকফ্রেঞ্জিকে সোমবার (২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তামিমের প্রস্তাব এসেছে লাহোরের পক্ষ থেকে। ক্রিস লিনের জায়গায় নেয়া হয়েছে তাকে। আর মঈন আলীর বদলি হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে রেখেছে মুলতান সুলতান্স। পিএসএলে খেলার প্রস্তাব পাওয়ায় বেশ উচ্ছ্বাসিত এই দুই ক্রিকেটার। পিএসএলে খেলার প্রস্তাব পেয়ে সেখানে খেলার জন্য তর যেন সইছে না বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবালের। আর টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়াকে নিজের জন্য বেশ সম্মানের বিষয় বলে মনে করছেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সোমবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ওয়েবসাইটে দেয়া এক বার্তায় এমনটাই জানান তামিম-রিয়াদ। তামিম বলেন, 'আমার এইচবিএল পিএসএলে খেলার তর সইছে না। লাহোর কালান্দার্সদের একটি দুর্দান্ত যাত্রা হয়েছিল এবং আমি এই বছর আমাদের দলকে ট্রফি জিততে সহায়তা করতে চাই।' মাহমুদউল্লাহ জানান, 'এইচবিএল পিএসএলে খেলা সম্মানের বিষয়। এই বছর ব্যতিক্রমী পন্থায় ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। আমি আশা করি আমাদের ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হব।' নভেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে শুরু হবে পিএসএলের প্লে-অফ পর্ব। প্লে-অফে যে ৪টি দল লড়বে এরা হল- মুলতান সুলতান্স, লাহোর কালান্দার্স, করাচি কিংস এবং পেশোয়ার জালমি। ১৭ নভেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে টুর্নামেন্টটির।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || বাংলাদেশের বিপক্ষে গেল বছরের শেষ দিকে প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে টেস্ট খেলতে নামে ভারত। যেখানে তারা জয় পায় ইনিংস ব্যবধানে। এবার প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে ফ্লাডলাইটের আলোয় টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন বিরাট কোহলিরা। এবারে তাঁদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। আগামী মাসে অজিদের বিপক্ষে চার টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারত। যেখানে একটি টেস্ট হবে দিবা-রাত্রির। প্রথমবারের মতো ভারতের বিদেশের মাটিতে টেস্ট খেলা নিয়ে চিন্তিত নন বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, 'গোলাপি বলই টেস্টের ভবিষ্যৎ। অস্ট্রেলিয়া দর্শক প্রবেশের অনুমতিও দিবে। এটা দারুণ হবে। ক্রিকেটের স্বাভাবিকতা ফেরার এটা একটা নিদর্শন হবে। আর আমাদের ক্রিকেটাররা ভারতে গোলাপি বলে খেলেছে। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।' অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও নিজেদের নিয়ে আশাবাদি গাঙ্গুলি। ভারতের জন্য এটি একটি কঠিন পরীক্ষা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ভারতীয় বোর্ডের এই সভাপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সবসময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। স্মিথ আর ওয়ার্নার আসার পর তারা আরও শক্তিশালি হয়েছে। ল্যাবুশেনের মতো ক্রিকেটাররাও ভালো করছে। এটা ভারতের জন্য ভালো পরীক্ষা হবে, কিন্তু তাদের জেতার সক্ষমতা আছে। এটা ভালো একটা সিরিজ হবে।' দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। ওপেনার রোহিত শর্মা ও পেসার ইশান্ত শর্মাকে ইনজুরির কারণে রাখা হয়নি স্কোয়াডে। তবে এই দুজনই সফরের যেকোনো সময়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে মনে করেন গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, 'আমরা ইশান্ত ও রোহিতকে পর্যবেক্ষণ করছি। ইশান্ত পুরোপুরিভাবে ছিটকে যায়নি। সে টেস্ট দলের অংশ হবে। আর রোহিতকে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় পুরো ফিট হিসেবে চাই। যদি কোনো সময়ে সে ফিট হয়। আমি নিশ্চিত নির্বাচকরা তার জায়গাটা পুনরায় বিবেচনা করবে।'
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || তিন দলের প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে দেশের মাটিতে ক্রিকেট ফিরিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী মাসে আরও বড় পরিসরে হবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ। এই টুর্নামেন্টের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরিতে পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের পরিকল্পনা দেখছে বলে জানিয়েছে বিসিবি। আইপিএল, সিপিএল, বিগ ব্যাশের মতো আসরগুলো কীভাবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে মাঠে গড়িয়েছে সেই পরিকল্পনাও দেখছেন তারা। পাকিস্তানে ইতোমধ্যে হয়েছে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তাদের পরিকল্পনা অনুসরণ করবে বিসিবি, এমনটিই জানিয়েছেন প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরি। তিনি বলেন, 'আমাদের সামনে পাঁচটি মডেল আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমাদের কাছে ইংল্যান্ড ও আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয়ের পরিকল্পনাও আছে। আমরা সম্প্রতি পাকিস্তানের পরিকল্পনাও নিয়েছি, দেখবো তারা সেটা কীভাবে প্রয়োগ করেছে।' করোনা মহামারির পর পুরোদমে ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে চাচ্ছে বিসিবি। ইতোমধ্যে সফলভাবে প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজন করেছে তারা। এক মাস ব্যাপী হাই পারফরম্যান্স প্রশিক্ষণও চলছে করোনার আঘাত ছাড়া। প্রেসিডেন্টস কাপের চেয়ে বেশি ক্রিকেটার নিয়ে এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজনে চোখ বিসিবির। এই টুর্নামেন্ট ঠিকভাবে আয়োজনের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে চায় তারা। আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস ইস্যু বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। শুরু থেকেই বিপ টেস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যাচাই করতো ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা। কিন্তু বিপ টেস্টের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ থাকায় তার পরিবর্তে এবার ইয়ো ইয়ো টেস্টের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি। এখনও টেস্টের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক করেনি বোর্ড। তবে সোমবার থেকে ট্রায়ালের মাধ্যমে নতুন এই পন্থার এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। বিসিবির নেয়া এই পন্থাটি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে একদম নতুন। জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সহ জাতীয় দলের আবু হায়দার রনি, সৌম্য সরকার, আল আমিন হোসেন, মেহেদী হাসান এবং নুরুল হাসান চুড়ান্ত ফিটনেস পরীক্ষার আগে নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য ইয়ো ইয়ো টেস্টের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেন। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ইয়ো ইয়ো টেস্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে পেস বোলার আবু হায়দার বলেন, 'আমরা ইয়ো ইয়ো টেস্টের সঙ্গে অভ্যস্ত নই তাই আমরা এটির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেস্টা করেছি।' 'আমরা এখন ৪০ মিটারের ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়েছি। যখন এটি কমিয়ে ২০ মিটার করা হবে তখনই আমরা আমাদের ফিটনেসের অবস্থা সম্পর্কে বুঝতে পারব।' বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ মাঠে গড়াবে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে অথবা শেষদিকে। এই টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের জন্য ইয়ো ইয়ো টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে বোর্ড। চূড়ান্ত টেস্টের দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা না করলেও ক্রিকেটাররা নিজেদের এটির জন্য প্রস্তুত রাখতে চান বলেও জানান আবু হায়দার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা এটির (চূড়ান্ত ইয়ো ইয়ো টেস্ট) জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছি।' এতদিন ক্রিকেটাররা বিপ টেস্ট দিয়ে আসলেও ইয়ো ইয়ো টেস্টের সঙ্গে খুব একটা পার্থক্য নেই। সাধারণত বিপ টেস্টে বিভিন্ন ধাপে টানা দৌড়াতে হত যা বেশ কষ্টসাধ্য। তবে ইয়ো-ইয়ো টেস্টের বিভিন্ন ধাপে ৫-১০ সেকেন্ড বিরতি নেওয়ার সুযোগ থাকে। পরবর্তিতে ধাপগুলোতে পর্যায়ক্রমে কমে আসতে থাকলে ফিটনেসের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য নতুন হলেও ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড সহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের শীর্ষ স্থানীয় ক্রিকেট বোর্ড তাঁদের ক্রিকেটারদের ইয়ো ইয়ো টেস্টের মাধ্যমে ফিটনেস পরখ করে আসছে।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন থেকে নির্বাসিত ছিল পাকিস্তান। তবে গেল কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি দল দেশটিতে সফর করেছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে সেখানে সফর করার কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলেরও। দীর্ঘ ১৫ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ইংলিশরা। তবে এত বছর পরে পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে গেলেও মূল দল পাঠাবে না ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষেই ঘরের মাঠে সিরিজ খেলতে হবে বাবর আজমদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানি। একই সময়ে ইংল্যান্ডের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ থাকাতেই তারা দ্বিতীয় সারির দল পাঠাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, 'ইংল্যান্ডের মূল দল শ্রীলঙ্কা থাকবে। কিন্তু তারা একই সময়ে পাকিস্তানেও দল পাঠাবে বিশ্বকে এই বার্তা দিতে যে আমাদের দেশ ক্রিকেট খেলার জন্য নিরাপদ। ইংল্যান্ড বোর্ডের বড় কর্মকর্তারও সফরের সময় আসবে।' ২০০৫ সালের পর এখনো পর্যন্ত নিরাপত্তা জনিত কারণে পাকিস্তানে যায়নি ইংল্যান্ড। আগামী বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে তাদের। এর আগে চলতি বছর করোনা মহামারির মধ্যে ইংল্যান্ড সফরে যায় পাকিস্তান। যা বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচায় ইসিবিকে।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || সোমবার আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) রহমতউল্লাহ কুরাইশিকে নতুন প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বোর্ডের সদস্যদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই পদের জন্য আগ্রাহী প্রার্থীদের মধ্য থেকে রহমতউল্লাহকে বেছে নিয়েছে তারা। এসিবির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুল্লাহ স্টানিকজাইকে চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাকি থাকার আগেই এ বছরের জুলাই মাসে এই পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল আফগান ক্রিকেট বোর্ড। মূলত দল পরিচালনায় অব্যবস্থাপনা, দল আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ হওয়া এবং বোর্ড ম্যানেজারদের সঙ্গে খারাপ আচরণের মত গুরুতর অভিযোগের কারনেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর পর থেকেই অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নাজিম জার আব্দুল রহিমজাই। অবশেষে এবার পূর্ণকালীন দায়িত্বভার নিয়ে রহিমজাইয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন রহমতউল্লাহ কোরাইশি। এসিবির সদর দফতরে একটি অনুষ্ঠানে সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমজাই আনুষ্ঠানিকভাবে রহমতউল্লাহকে এসিবির কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। সেই পরিচিতি পর্বের বক্তব্য দানকালে রহমতউল্লাহ বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হবে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং এটির বিকাশ ঘটানো। কারন ক্রিকেট আমাদের দেশবাসীকে আনন্দিত করে এবং তাদের মধ্যে প্রত্যাশার সঞ্চার ঘটায়।' প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ পাবার আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন রহমতউল্লাহ। যুব ও কৈশোর উন্নয়ন, এমএন্ডই এবং প্রকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এমনকি জাতিসংঘের মতো বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এছাড়াও তিনি বহু বৈশ্বিক সম্মেলন এবং যুব ও অর্থ-সামাজিক বিকাশের ফোরামগুলিতে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || প্রেসিডেন্টস কাপে ভালো করতে না পারলেও হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন আকবর আলী। আকবরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন শাহদাত হোসেন দিপুও। প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ৪০৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ‘এ’ দল। এইচপির স্কিল ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের দুই দলে ভাগ করে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রস্তুতি ম্যাচ। যেখানে ‘এ’ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব আর ‘বি’ দলের নাইম শেখ। প্রথম দিনে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো সূচনা করেন ‘এ’ দলের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও দিপু। ৪৪ বলে ৩৫ রান করে তানজিদ ফিরে গেলে ভাঙে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। তানজিদের বিদায়ের পর ভালো শুরু করলেও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ফিরে গেছেন ৩০ রান করে। এরপর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ওপেনার দিপু। সঙ্গে নেন আকবর আলীকে। দুই জনে মিলে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন। চা বিরতির পর সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় দিপুকে। ১৬২ বলে ৯৪ রান করে সাগরের বলে অঙ্কনের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটসম্যান। আর এতে করেই ভাঙে তাদের ১৩৭ রানের অনবদ্য জুটি। দিপু ফিরলেও উইকেট কামড়ে ধরে সেঞ্চুরি তুলে নেন আকবর। শামীম পাটওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ১২০ রান। শেষ পর্যন্ত ১৬১ বলে ১৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর। আর ৬৭ রান করেন শামীম। ব্যাটসম্যানদের দাপটে প্রথম দিনে ৮০ ওভারে ৪০৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় আফিফের দল। ‘বি’ দলের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজা ও শাহিন আলম। আর অন্য উইকেটটি নিয়েছেন নোমান চৌধুরী সাগর। প্রথমদিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর- ‘এ’ দল: ৪০৬/৭ ( ওভার ৮০) (আকবর ১৩৬, দিপু ৯৪; রেজাউর ২/৬৩,শাহিন ২/৭১)
|| ডেস্ক রিপোর্ট || সকল প্রকার ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে এই ঘোষণা দিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা এই অলরাউন্ডার। রবিবার ম্যাচ শেষে চেন্নাই সতীর্থদের এমনটাই জানিয়েছেন ৩৯ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবার পর বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের নিয়মিত মুখ ছিলেন ওয়াটসন। গেল বছর অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশকে বিদায় জানিয়েছিলেন। এবারে আইপিএলকে বিদায় জানাবার মধ্য দিয়ে পুরো ক্রিকেট থেকেই অবসর নিতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। আইপিএলের ১৩ আসরে ওয়াটসন খেলেছেন রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। অবসর ঘোষণার আগ পর্যন্ত আইপিএলে ১৪৫টি ম্যাচ খেলেছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। যার ভেতর ৪৩টিই চেন্নাইয়ের হয়ে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি সূত্র ওয়াটসনের অবসরের বিষয়ে বলেন, 'শেষ ম্যাচ খেলার আগে ড্রেসিংরুমে ওয়াটসন বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলাটা তাঁর জন্য একটি ভালো সুযোগ ছিল।' আইপিএলের চলতি আসরে ১১ ম্যাচে ২৯৯ রান করেছেন এই তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু বল হাতে ঝুলিতে একটি উইকেটও পুরতে সক্ষম হননি। এর আগে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ৩৯ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। এরপর ২০১৯ সালে বিগ ব্যাশ এবং চলতি বছর ব্যাটটাই পুরোপুরি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন ওয়াটসন। আর এর মধ্য দিয়ে পুরোপুরি এপিটাফ টানা হয়ে গেল গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্টদের নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়ার সোনালি প্রজন্মের।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || 'ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস' কথাটি বিশ্ব ক্রিকেটে বহুল প্রচলিত। একটি অসাধারণ ক্যাচ ম্যাচকে ঘুরিয়ে দেবার পাশাপাশি জয়ও এনে দিতে সক্ষম। যার নজির দেখা গেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রাজস্থান রয়্যালস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যকার ম্যাচে। সেই ম্যাচে রাজস্থানের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে প্যাট কামিন্সের করা বল আর্চারের ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে। সেই বলটিকে বাঁজ পাখির মত উড়ে গিয়ে এক হাতে অবিশ্বাস্যভাবে লুফে নিয়ে স্টোকসকে সাজঘরে পাঠান কলকাতা নাইট রাইডার্সের উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিক। কার্তিকের অবিশ্বাস্য সেই ক্যাচ দেখে কয়েক সেকেন্ডের জন্য হতবাক হয়ে ক্রিজেই দাড়িয়ে রইলেন স্টোকস। আর এই ক্যাচটাকেই কলকাতার জন্য ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে গণ্য করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। কেননা এরপর যে রাজস্থান আর সেভাবে ম্যাচে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারেনি। শেষ অবধি ৬০ রানে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় স্টিভেন স্মিথের দল। কাগজে-কলমে উইকেটটি কামিন্সের হলেও উইকেটটির কৃতিত্ব বোলারকে দিতে নারাজ কলকাতার দলপতি ইয়ন মরগান। তাঁর মতে এ ধরণের অবিশ্বাস্য ক্যাচ যে ধরে উইকেটটি তারই হয়ে যায়। তাই এটি কার্তিকের উইকেট বলে মন্তব্য করেন তিনি। আইপিএলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় মরগান বলেন, 'দীনেশ কার্তিক ক্যাচটি অসাধারণ ছিল। যখন একজন খেলোয়াড় এ ধরণের ক্যাচ ধরে তখন উইকেটটি পুরোপুরি তার হয়ে যায়। এখানে বোলারের কোন ভূমিকা নেই। এটা কিপারের ক্যাচ এমনকি কিপারের উইকেট।' এই জয়ের পর লম্বা লাফ দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে কলকাতা। যদিও এখনই প্লে অফে খেলাটা নিশ্চিত নয় ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শীষ্যদের। প্লে অফ নিশ্চিত করতে হলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্যাটে-বলে কলকাতার অসাধারণ নৈপুণ্যে বেশ আনন্দিত দলটির অধিনায়ক। এ বিষয়ে কলকাতা দলপতি বলেন, 'ছেলেরা যে সময় জ্বলে উঠেছে সেসময় আমাদের পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না। এই ম্যাচে (রাজস্থানের বিপক্ষের ম্যাচে) তারা অসাধারণ খেলেছে। তাদের যা করা উচিত ছিল তারা তাই করতে চেষ্টা করেছে।' 'আসলে আমাদের পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে এভাবেই খেলা উচিত ছিল। দলের এ ধরণের পারফর্মম্যান্সে আমি আনন্দিত। এখন যা ই ঘটুক না কেন এখানে আমাদের করার কিছুই নেই।'
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || নতুন কোচ টবি রেডফোর্ডের অধীনে ক্যাম্পে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফরম্যন্স দলের ক্রিকেটাররা। এবার তারা প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচের স্বাদ পাচ্ছেন। সোমবার তারা দুই দলের ভাগ হয়ে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছেন। চা বিরতিতে আকবর আলীর দলের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৬। মূলত শাহাদাত হোসেন দিপু এবং আকবরের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতেই এই সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। চা বিরতির পর ৯৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন দিপু। যদিও নিজের হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর। এর আগে তানজিদ হাসান তামিম ৩৫, মাহমুদুল হাসান জয় ৩০ এবং আফিফ হোসেন ১২ রান করে আউট হয়েছেন। শরিফুল ইসলাম একটি এবং রেজাউর রহমান ২টি উইকেট নিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ দল 'এ': ৬৬ ওভার ৩২২/৪ (তামিম ৩৫, জয় ৩০, আফিফ ১২, দিপু ৯৪, আকবর ১০০*)
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে ব্যাট হাতে ঠিকমতো জ্বলে উঠতে পারছেন না কলকাতার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক। কলকাতার হয়ে চলতি আসরের ১৪ ম্যাচে রান করেছেন সর্বসাকুল্যে ১৬৯। ব্যাট হাতে কিছুটা নিষ্প্রভ থাকলেও উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে চলছেন এই উইকেটেররক্ষক। উইকেটের পেছনে থেকে রবিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে গড়েছেন এক অনন্য রেকর্ড। দুবাইয়ে রাজস্থানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে উইকেটের পেছনে চারটি ক্যাচ ধরেন কলকাতার এই উইকেটরক্ষক। আর এতেই চেন্নাই সুপার কিংসের দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে টপকে বনে যান আইপিএলের সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরা উইকেটরক্ষক। কার্তিকের নামের পাশে বর্তমানে ১১০ টি ক্যাচ রয়েছে এবং কলকাতা প্লে অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে ক্যাচের সংখ্যা বাড়ার সুযোগ থাকবে। চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি ১০৯টি ক্যাচ ধরে রয়েছেন তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পার্থিব প্যাটেল। আইপিএলে ৬৬টি ক্যাচ রয়েছে তার। পরবর্তি অবস্থানে রয়েছেন নোমন ওঝা (৬৫) এবং ৫ম অবস্থানে রবিন উথাপ্পা (৫৮)। কার্তিকের রেকর্ড গড়া ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৬০ রানের রানের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে। আর এই জয়ের ফলে এখনও প্লে অফে খেলার আশা জিইয়ে রেখেছে মরগানবাহিনী। ১৪ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে অবস্থান করছে কলকাতা। সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটেলস এবং দুইয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আর ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।