|| ডেস্ক রিপোর্ট || আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের তিন ফরম্যাটের সিরিজ। তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টির পর ১৭ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। আর এই টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ফেভারিট মানছেন সাবেক পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম। অস্ট্রেলিয়া তাঁদের দুর্দান্ত পেস বোলিং ইউনিটের জন্য ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বলে মনে করছেন কিংবদন্তি এই পেসার। সম্প্রতি একটি ক্রিকেটভিত্তিক একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করেন আকরাম। তিনি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলিং আক্রমণ এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা। ওদের দলে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউডের মতো পেসার রয়েছে। পাশাপাশি আরও কয়েকজন ভাল বোলারও আছে। লড়াইটা জমবে, তবে আমার ধারণা অস্ট্রেলিয়াই ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে এই সিরিজ।' অস্ট্রেলিয়া সাধারণত টেস্ট সিরিজে কোকাবুরা বল ব্যবহার করে। নতুন অবস্থায় এই বল থেকে বোলাররা সুবিধা পেলেও বল পুরাতন হবার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পেতে শুরু করেন। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাবে অস্ট্রেলিয়া এমনটাই মন্তব্য করেন সাবেক এই পেসার। ওয়াসিম বলেন, 'কোকাবুরা বল পুরনো হয়ে গেলে উইকেট পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তখন রান আটকানোর উপায় খুঁজে বার করতে হবে।' এ সময় ভারত দলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষায় এখন বোঝা যায়, ওরা নিজেদের উপরে কতটা আস্থা রাখে। কতটা পরিশ্রম ওরা করে, তাও ওদের দেখে বোঝা যায়।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করলো শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটি। আর ১৬ ডিসেম্বর হাম্বানটোটায় অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে মাঠে নামবে কলম্বো কিংস ও ক্যান্ডি টাস্কার্স। ২১ দিনের এই টুর্নামেন্টে আটটি ডাবল হেডার আছে। আর শ্রীলঙ্কা সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর একমাত্র ভেন্যু হিসেবে হাম্বানটোটায় পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শ্রীলঙ্কার করোনা পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাওয়ায় এলপিএল নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছিল এসএলসি। বিদেশি ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইন সময়সীমা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মত বিরোধ থাকায় তিন দফায় এলপিএল আয়োজনের তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়। প্রথম দিকে, ২৮ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এলপিএলের। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি আর খারাপের দিকে যাওয়ায় পিছিয়ে যায় আসর শুরুর দিনক্ষণ। এরপর ১৪ নভেম্বর টুর্নামেন্টটি শুরু হবার কথা থাকলেও ফের তা পিছিয়ে ২১ নভেম্বর তারিখে নেয়া হয়। তৃতীয় দফায় ২১ নভেম্বর আয়োজনের কথা ছিল টুর্নামেন্টটি। শ্রীলঙ্কা সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ২৭ নভেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা জানালেও তা একদিন এগিয়ে ২৬ নভেম্বর করা হয়েছে। এ নিয়ে চার দফায় পরিবর্তন করা হয়েছে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সময়সূচি। এমনকি শ্রীলঙ্কার বাইরে আয়োজনের সিদ্ধান্তও নিতে চেয়েছিল বোর্ড। এছাড়া ক্রিকেটার ও টুর্নামেন্টটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতেও নির্দেশনা দিয়েছেন তারা। বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু সাপোর্ট স্টাফদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের বিধি বহাল রাখা হয়েছে। টুর্নামেন্টটিতে শ্রীলঙ্কার পাঁচ অঞ্চলের নামে পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছে। দলগুলো হল- কলম্বো কিংস, গল গ্ল্যাডিয়েটর্স, জাফানা স্ট্যালিয়ন্স, ডাম্বুলা হক্স এবং ক্যান্ডি টাস্কার্স। প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁদের চূড়ান্ত দল গঠন করেছে।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এর প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) আর খেলতে যাওয়া হচ্ছে না মি. ফিনিশারের। একই সঙ্গে শঙ্কা জেগেছে আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলা নিয়েও। পিএসএল খেলতে যাবার উদ্দেশ্যে রুটিন পরীক্ষা করিয়েছিলেন রিয়াদ। সে পরীক্ষাতেই করোনা ইতিবাচক প্রমাণিত হয়েছেন তিনি। এর ফলে পাকিস্তান যাওয়া হচ্ছে না এই অধিনায়কের। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাঁর ফলাফল নেতিবাচক এসেছে। রবিবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর পিএসএলে খেলতে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার কথা ছিল রিয়াদের। কিন্তু করোনা পজেটিভ হওয়ায় এখন তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। টুর্নামেন্টটিতে অংশ নিতে পাকিস্তান যাওয়ার কথা রয়েছে জাতীয় দলের ওয়ানডে ওপেনার তামিম ইকবালেরও। যদিও তামিম ইকবালের ব্যাপারে কিছুই জানা যায় নি।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || প্রথম সন্তানের জনক হতে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারিতে সন্তানের মুখ দেখবেন তিনি। আর তাই সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতে অস্ট্রেলিয়া সফরের শেষ দুই টেস্ট মিস করতে পারেন ভারতীয় এই অধিনায়ক। বেশ কয়েক বছরে ধরে বাবা হওয়ার সময়টায় ক্রিকেটারদের ছুটি দিচ্ছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। এই সুযোগ সম্ভবত ভারতীয় অধিনায়ককেও দেয়া হবে। যদিও এখনও কোন আনুষ্ঠানিক তথ্য দেয়নি তারা। তবে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট খেলে কোহলি ছুটি নেবেন বলে আশা করা যায়। সূত্রটি বলেছেন, ‘বিসিসিআই সর্বদাই বিশ্বাস করে যে পরিবারের অগ্রাধিকার সবার আগে। যদি অধিনায়ক পিতৃত্ব বিরতি নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তিনি কেবল প্রথম দুটি টেস্ট ম্যাচেই খেলতে পারবেন।’ সাধারণ কোন সময় হলে একটি মাত্র টেস্ট মিস করতেন তিনি এবং তার স্ত্রী সন্তান প্রসবের পর তিনি আবারও অস্ট্রেলিয়া গিয়ে ব্রিসবেনে শেষ টেস্ট খেলতে পারতেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে তা আর করতে পারছেন না তিনি। কারণ কোহলি ভারতে এসে আবারও অস্ট্রেলিয়া গেলে তাকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ওই সূত্রের ভাষ্যমতে, ‘দেখুন, সাধারণ কোন সময়ে হলে প্রথম সন্তান জন্মের পর তিনি ফিরে যেতে পারতেন। তাতে একটি টেস্ট মিস করতেন এবং শেষ টেস্টে ব্রিসবেনে খেলতেন। তবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের কারণে এটা কঠিন হয়ে যাবে।’ সূচি অনুযায়ী ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে এই দুই দলের লড়াই। ২৭ নভেম্বর সিডনিতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামবে দুই দল। পরবর্তী দুই ম্যাচ হবে ২৯ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ম্যাচ সিডনিতে আর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হবে মানুকা ওভালে। ওয়ানডে সিরিজ সিরিজ শেষে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ মানুকা ওভালে হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরবর্তী দুই ম্যাচ হবে ৬ এবং ৮ ডিসেম্বর। দুটি ম্যাচই হবে সিডনিতে। সীমিত ওভারের ক্রিকেট শেষে সাদা পোষাকের লড়াইয়ে নামবে এই দুই দল। গোলাপি বলের টেস্ট দিয়ে শুরু হবে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে হবে দিবারাত্রির ম্যাচটি। দ্বিতীয় টেস্ট হবে ২৬ ডিসেম্বর, মেলবোর্নে। তৃতীয় টেস্ট ৭ জানুয়ারি, সিডনিতে। সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট হবে ১৫ জানুয়ারি, গ্যাবাতে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বরে বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মাকে বিয়ে করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার। এরপর চলতি বছরের আগস্টে এক টুইট বার্তায় কোহলি জানিয়েছিলেন, তাদের পরিবারে নতুন অতিথি আসছে।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি বছরের আসর থেকে ইতোমধ্যেই বিদায় নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএল মিশন শেষ হয়ে যাওয়ায় আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ভারত জাতীয় দলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে যোগ দিয়েছেন বেঙ্গালুরু দলপতি বিরাট কোহলি। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে নিজেদের প্রস্তুত করছে আইপিএলে অংশ না নেওয়া ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এখান থেকেই আইপিএল শেষ করে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে ভারত দল। সংবাদসংস্থা এএনআইকে এক সূত্রের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে জানা গেছে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাতেই দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে প্রবেশ করেছেন। এএনআইয়ের সূত্র মতে, 'কোহলি ভারত দলের সঙ্গে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচের পর জৈব বলয়ে যোগ দিয়েছেন। এক দুই দিন পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য তিনি প্রস্তুতি শুরু করবেন।' ইতোমধ্যেই মায়াঙ্ক আগরওয়াল আইপিএল মিশন শেষ করে জাতীয় দলের সঙ্গে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) থেকে গোলাপি বল দিয়ে দিবা রাত্রির টেস্টের প্রস্তুতি শুরু করেবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং চারটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলবে ভারত। ২৭ নভেম্বর ওয়ানডের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সিরিজটি। ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি। আর ১৭ ডিসেম্বর দিবা-রাত্রির টেস্টের ভেতর দিয়ে শুরু হবে সাদা পোশাকে দুই দলের লড়াই।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || গত দুই বছর ধরে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দারুণভাবে পারফর্ম করছেন জেসন হোল্ডার। তারপরও ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা পাচ্ছেন না এই অলরাউন্ডার। হেড কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন, তিনি সবসময়ই টি-টোয়েন্টি দলের বিবেচনায় থাকেন এবং এখনও আছেন। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এবারের আসরে ১০ ম্যাচে ১৯২ রান করেছেন তিনি। যা দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয়স্থানে। সেই সঙ্গে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো বোলিং করে নিয়েছেন ১০ উইকেট। যা কি-না তার দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। এছাড়া শুরুর দিকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল না পেলেও মিচেল মার্শের বদলি হিসেবে জায়গা পেয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করছেন তিনি। ৬ ম্যাচের ৩ ইনিংসে ব্যাট করে ৫৫ রান করেছেন। এছাড়া ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩টি উইকেট। সিমন্স বলেন, ‘জেসন সবসময় টি-টোয়েন্টি দলের পরিকল্পনায় থাকে। গত দুই মৌসুমে সিপিএলে ভালো খেলেছে। আইপিএলের এবারের টুর্নামেন্টেও দারুণ করছে।’ তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে থাকলেও টি-টোয়েন্টি দলে নেই হোল্ডার। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার ২-৩ দিন পরেই শুরু হবে সাদা পোষাকের লড়াই। তার দলে না থাকার জন্য সূচিকে দায়ী করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সিমন্স বলেন, ‘এটি অন্য রকম একটি সফর। টেস্ট ম্যাচের দু'দিন আগে এখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হবে। টেস্ট দলের অধিনায়ক হওয়ার কারণে আমাদের বাছাই প্যানেল হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, জেসন সেই সফরে টি-টোয়েন্টি দলের জন্য বিবেচিত হবে না।' 'সে আইপিএল থেকে আসবে। টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে সে চারদিনের একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। তাই নির্বাচক প্যানেল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং ওপেনার নাইম শেখ। দুজনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলেছে ‘এ’ দল। শনিবার (৭ নভেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে বাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন ‘এ’ দলের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাইম ও শাহদাত হোসেন দিপু। দিপু ১৯ রান করে ফিরে গেলে ভাঙে তাদের জুটি। এরপর অবশ্য মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ভালো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৬৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান নাইম। তাঁর বিদায়ের পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আফিফ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর রাকিবুলের ২৭, মৃত্যুঞ্জয়ের ১৮, সুমন খানের ১৭ ও শফিকুলের ১৭ রানে ভর করে ৭ উইকেটের খরচায় ২৪০ রান তোলে 'এ' দল। ‘বি’ দলের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রাজা ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও শামীম পাটওয়ারি। সংক্ষিপ্ত স্কোর- ‘এ’ দল: ২৪০/৭ ( ওভার ৫০); (নাইম ৬৭, আফিফ ৫০, রাকিবুল ২৭, রাজা ২/৪৫, মুগ্ধ ২/৪৮)
|| ডেস্ক রিপোর্ট || আইপিএলের আগের ১২টি আসরে ৩ বার ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছুয়ে দেখা হয়নি বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। কোহলির নেতৃত্বে চলতি আসর মিলিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্লে অফ খেলেছে বেঙ্গালুরু। যেখানে মাত্র একবার ফাইনাল খেলেছে তারা। কোহলি অধিনায়ক না থাকাকালীন প্রথম পাঁচ মৌসুমে দুইবার ফাইনালে খেলেছে দলটি। প্রতিবার ব্যয়বহুল দল সাজালেও শিরোপা জেতা হয় না দলটির। যা অব্যাহত রেখেছে আইপিএলের চলতি মৌসুমেও। বরাববের ন্যায় এবারও দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়ে শিরোপার আশায় ছিল দলটি। তবে এলিমিনেটরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে আবারও ফাইনাল খেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা। দুর্দান্ত দল গড়লেও বেঙ্গালুরুর প্লে অফে খেলারই যোগ্যতা এখনও হয়নি বলে মনে করেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। শুধু চলতি আসরেই নয়, কোনো আসরেই প্লে অফে খেলার যোগ্যতা ব্যাঙ্গালুরুর ছিল না বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই ক্রিকেটার। সম্প্রতি ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন গম্ভীর। গম্ভীর বলেন, 'আপনি বলতেই পারেন ''আমরা প্লে অফের জন্য যোগ্য হয়েছি এবং আমরা প্লে অফে খেলার যোগ্য'', কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি একেবারেই এরকম নয়। আরসিবি আসলে কখনও প্লে অফে খেলার জন্য যোগ্য ছিল না।' 'আপনি যদি শেষ চার বা পাঁচটি খেলা এমনকি যদি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে সুপার ওভারটির কথাই ধরেন তবে দেখবেন তাঁরা নবদ্বীপ সায়নীর দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে সৌভাগ্যবশত জয় পেয়েছিল। অন্যথায়, এটি তাদের দুর্দান্ত মৌসুম ছিল না। না ব্যাটিংয়ে এবং না বোলিংয়ের দিক থেকে।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এলিমিনেটরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৬ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিতের ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয় তাড়া করেছিল বেঙ্গালুরুকে। হায়দরাবাদের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৭ উইকেটে ১৩১ রানে থেমেছিল কোহলিদের ইনিংস। জবাবে কেন উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৫০ আর জেসন হোল্ডারের অপরাজিত ২৪ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হায়দরাবাদ। ১২ ওভারে ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদ যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে, তখনই জেসন হোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের এই অধিনায়ক। যার কারণে ভূয়সী প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। তবে দলের জয়ের পুরো কৃতিত্বটা হায়দরাবাদের বোলারদের দিচ্ছেন কিউই এই অধিনায়ক। তাঁর মতে বোলারদের পারফরম্যান্সের কারণেই অল্পতেই আটকে দেয়া সম্ভব হয়েছে তাঁদের। ফলে ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। ম্যাচ শেষে উইলিয়ামসন বলেন, 'এটি একটি কঠিন ম্যাচ ছিল। আরসিবির মতো দলকে ১৩১ এ আটকে দেয়া কঠিন বিষয়। এমন দুর্দান্ত দলের বিপক্ষে এটি কখনই সহজ হতে পারে না। তাদের অল্পতেই আটকে দেয়াটা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।' আইপিএলের আগের ১২টি আসরে ৩ বার ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছুয়ে দেখা হয়নি বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। এবার দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়ে শিরোপার আশায় ছিল দলটি। তবে এলিমিনেটরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে আবারও ফাইনাল খেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি যতটা সফল, ঠিক ততটাই যেন ব্যর্থ অধিনায়ক কোহলি। গত আট মৌসুম ধরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নেতৃত্বে থাকলেও কোন শিরোপা এনে দিতে পারেননি দলকে। যে কারণে কোহলিকে বেঙ্গালুরুর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত বলে মনে করেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। কোহলির নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো প্লে অফ খেলেছে বেঙ্গালুরু। যেখানে মাত্র একবার ফাইনাল খেলেছে তারা। যেখানে কি-না কোহলি অধিনায়ক না থাকাকালীন প্রথম পাঁচ মৌসুমে দুইবার ফাইনালে খেলেছে দলটি। প্রতিবার ব্যয়বহুল দল সাজালেও শিরোপা জেতা হয় না দলটির। যা অব্যাহত রেখেছে আইপিএলের চলতি মৌসুমেও। এলিমিনেটরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বেঙ্গালুরু। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইসপিএন ক্রিকইনফোকে গম্ভীর জানিয়েছেন, কোহলিকে এই ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। গম্ভীর বলেন, ‘অবশ্যই সমস্যাটি দায়বদ্ধতার। ৮ বছরেও কোন ট্রফি নেই… ৮ বছর অনেকটা সময়। আমাকে বলুন, অন্য কোনো অধিনায়ক… অধিনায়কের কথা বাদই দিলাম, অন্য কোনো খেলোয়াড়ের কথা বলুন, ৮ বছর খেলেও যদি শিরোপা না জিতে তাহলে তাকে কি রাখা হতো? সুতরাং জবাবদিহিতা থাকা দরকার। অধিনায়কের জবাবদিহি করা দরকার। এটি কেবল এই বছরের ব্যাপার নয়। কোহলির সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তার এগিয়ে এসে বলা উচিত, ‘হ্যাঁ, দায় আমারই।’ অন্য দলের অধিনায়কদের উদাহরণ টেনেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে দুইবার শিরোপা জেতা এই অধিনায়ক। অন্য দলগুলো যখন শিরোপা জিততে না পাারায় অধিনায়ককে সরিয়ে দিয়েছেন, সেখানে বেঙ্গালুরু কোহলিকেই আট বছর ধরে অধিনায়ক হিসেবে রেখেছে। তাই একেকজনের জন্য একেক রকম মানদন্ড থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার। গম্ভীরের ভাষ্যমতে, ‘৮ বছর লম্বা একটা সময়। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দিকে খেয়াল করে দেখুন. দুই বছরের নেতৃত্বে (কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে) সাফল্য এনে দিতে না পারায় তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোহিত শর্মা মুম্বাইকে চারটি ট্রফি এনে দিয়েছে, ধোনি চেন্নাইকে এনে দিয়েছে তিনটি। এজন্যই এত লম্বা সময় ধরে তারা নেতৃত্বে আছে। আমি নিশ্চিত, রোহিত সাফল্য এনে দিতে না পারলে তাকে সরিয়ে দিত। একেক জনের জন্য একেকরকম মানদণ্ড থাকা উচিত নয়।’ গম্ভীরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মাঞ্জারেকার অবশ্য মালিকপক্ষকে দায় দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোহলি কখনও নিজে থেকে এসে বলবে না আমি অধিনায়কত্ব করব না। যে কারণে ট্রফি জিততে হলে মালিকপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক এই ব্যাটসম্যান। মাঞ্জরেকার বলেন, ‘দৃশ্যপট আর ফলাফল বদলাতে চাইলে আপনাকে অধিনায়ক বদলাতে হবে। আমি এমনটা আশা করছি না যে কোহলি নিজে থেকেই বলবে, ‘আমি পারিনি।’আমি চাই কাজটি মালিকপক্ষ করুক। বেঙ্গালুরুর ট্রফি জিততে না পারার পেছনে আমি প্রথমে মালিকপক্ষকেই দায় দেব। প্রত্যাশিত ফল এনে দেওয়ার মতো সঠিক কাউকে অধিনায়কের দাযিত্ব দিতে পারেনি তারা।’
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বাঁচা মরার ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন অধরা রেখেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। আইপিএল আগের ১২টি আসরে ৩ বার ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছুয়ে দেখা হয়নি বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুর। এবার দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়ে শিরোপার আশায় ছিল দলটি। তবে এলিমিনেটরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে আবারও ফাইনাল খেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা। দলের পরাজয়ের জন্য প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করতে না পারাকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন বেঙ্গালুরু দলপতি বিরাট কোহলি। একই সঙ্গে নিজেদের ইনিংসের সময় প্রতিপক্ষের চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ম্যাচ শেষে হারের কারণ বিশ্লেষণে কোহলি বলেন, 'আপনি যদি প্রথম ইনিংসের কথা বলেন তবে আমার মনে হয় না আমাদের যথেষ্ট রান ছিল। তারা প্রথম ইনিংসেই আমাদের অনেক চাপে ফেলেছিল। কয়েকটি ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আমরা পর্যাপ্ত রান তুলতে পারিনি।' 'কিছুটা স্নায়ুচাপ হতে পারে, কিছুটা দ্বিধাও হতে পারে, আমাদের হাত খুলে ব্যাটিং করা প্রয়োজন ছিল। আমরা কেবল বোলারদের যে জায়গাগুলোতে চায় সেখানে বল করার সুযোগ দিয়েছিলাম এবং তাদের উপর যথেষ্ট চাপ তৈরি করিনি। এটি একটি সহজ ম্যাচ ছিল এবং কেন (উইলিয়ামসন) সেটিকে আরও সহজ করে তুলেছিল।' দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিতের ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয় তাড়া করেছিল বেঙ্গালুরুকে। হায়দরাবাদের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৭ উইকেটে ১৩১ রানে থেমেছিল কোহলিদের ইনিংস। জবাবে কেন উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৫০ আর জেসন হোল্ডারের অপরাজিত ২৪ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হায়দরাবাদ।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বাঁচা মরার ম্যাচে ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে তুলেছেন কেন উইলিয়ামসন। শুধু বেঙ্গালুরুর বিপক্ষের ম্যাচেই নয়, চলতি মৌসুম জুড়েই দলের খারাপ সময়ে হাল ধরেছেন হায়দরাবাদের সাবেক এই অধিনায়ক। যে কারণে তাকে ব্যাংকার হিসেবে অভিহিত করেছেন হায়দরাবাদ দলপতি ডেভিড ওয়ার্নার। ১২ ওভারে ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদ যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে, তখনই জেসন হোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের এই অধিনায়ক। যে কারণে উইলিয়ামসনকে প্রসংশায় ভাসাতে ভুলেননি হায়দরাবাদ দলপতি ওয়ার্নার। ম্যাচ শেষে ওয়ার্নার বলেন, ‘কেইন আমাদের ব্যাংকার। সে দারুণ একজন খেলোয়াড়। যখনই আমরা সমস্যায় পড়ি, তখনই সে হাল ধরে এবং চাপের মুখে ভালো ইনিংস খেলে। আমরা যা আশা করি না তিনি সে করে এবং একই জিনিসটি নিউজিল্যান্ডের জন্যও করে যাচ্ছেন।’ এলিমিনেটরে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় হায়দরাবাদ। কম রান হলেও বেঙ্গালুরুর মতো দলের বিপক্ষে রান তাড়া করাটা সহজ ছিল না বলে মনে করেন উইলিয়ামসন। পিচ অনেকটা কঠিন ছিল বলে জানান এই তারকা ব্যাটসম্যান। উইলিয়ামসন বলেন, ‘দেখুন এটি একটি কঠিন খেলা ছিল। বেঙ্গালুরুর মতো দলের বিপক্ষে এটি কখনও সহজ হতে পারে না। পিচ কিছুটা কঠিন ছিল। এই পিচে যে কোনও রান তাড়া করা খুব সহজ ছিল না।’ আগামীকাল দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে দিল্লি ক্যাপিটেলসের মুখোমুখি হবে ওয়ার্নারের দল। এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা আগামী ১০ নভেম্বর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গ্রুপ পর্বের খেলার ভিত্তিতে পছন্দের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছেন ব্র্যাড হগ। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক এই স্পিনারের একাদশে ঠাই মেলেনি বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের। সাবেক এই অজি ক্রিকেটারের একাদশে জায়গা হয়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। এমনকি তিনি দলে রাখেননি দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক এবং পেসার কাগিসো রাবাদাকে। চলতি আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দলপতি লোকেশ রাহুল। তিনি এখন পর্যন্ত আইপিএলের চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাঁর ব্যাট থেকে ১৪ ম্যাচে ৫৫.৮৩ গড়ে রান এসেছে ৬৭০। তাঁর একাদশে জায়গা না পাওয়াটা বেশ অবাক করেছে ক্রিকেট বোদ্ধাদের। এমনকি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ডেভিড ওয়ার্নারকেও বাদ দিয়েছেন হগ। ওপেনার হিসেবে তিনি দলে রেখেছেন দিল্লি ক্যাপিটেলসের ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মারকুটে ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে দুইজনের মোট রান যথাক্রমে ৫২৫ এবং ৪২৪। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে হগের পছন্দ মুম্বাইয়ের সূর্যকুমার যাদব, বেঙ্গালুরুর এবি ডি ভিলিয়ার্স, কলকাতার ইয়ন মরগান এবং মুম্বাইয়ের হার্দিক পান্ডিয়াকে। বোলিং ডিপার্টমেন্টের পেস আক্রমণভাগ সাবেক এই অজি তারকা সাজিয়েছেন রাজস্থানের পেসার জফরা আর্চার, পাঞ্জাবের মোহাম্মদ শামি, মুম্বাইয়ের জশপ্রিত বুমরাহকে নিয়ে। চলতি টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে আর্চার এবং শামি দুজনই ২০টি করে উইকেট নিয়েছেন। অপরদিকে বুমরাহ ২৩টি উইকেট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করেছেন। একাদশে স্পিনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন বেঙ্গালুরুর স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং হায়দরাবাদের রশিদ খান। হগের আইপিএল সেরা একাদশ: শিখর ধাওয়ান, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, সূর্যকুমার যাদব, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ইয়ন মরগান, হার্দিক পান্ডিয়া, জফরা আর্চার, মোহাম্মদ শামি, জশপ্রিত বুমরাহ, যুজবেন্দ্র চাহাল, রশিদ খান।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || অষ্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে খেলবেন মরনে মরকেল। স্থানীয় খেলোয়াড় কোটায় তাকে দলে নিয়েছে ব্রিসবেন হিট। দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভাল প্রদেশের ভেরিনিগিং এলাকায় জন্ম মরকেলের। দীর্ঘ ১১ বছর দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মরকেল। তারপর থেকেই অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। এবছর অষ্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছেন মরকেল। তাই স্থানীয় খেলোয়াড় কোটায় ব্রিসবেন হিটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাবেক পেস বোলার। নিজেকে অষ্ট্রেলিয়ার স্থানীয় ক্রিকেটার পরিচয় দিতে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও বিগ ব্যাশে অংশগ্রহণ করতে তাই মুখিয়ে আছেন মরকেল। এমনকি ক্রিকেটকে এখনো উপভোগ করছেন বলেও মত দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে মরকেল বলেন, 'আমি এখনও আমার ক্রিকেটকে প্রচুর উপভোগ করছি এবং হিট (ব্রিসবেন হিট) স্কোয়াডে অংশ নেওয়ার সুযোগটি আমার অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করবে। আমি স্বীকার করছি নিজেকে স্থানীয় বলাটা অস্বাভাবিক শোনাবে। তবে আমরা এখানে (সিডনি) অনেকদিন যাবত জীবিকা নির্বাহ করছি। এটি আমাদের জীবনের অন্য আর একটি দিক। তাই আমি এটির অংশ হতে পারার জন্য মুখিয়ে আছি।' দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অন্যতম সফল বোলার এই মরকেল। যদিও কোলপাক চুক্তির আওয়ায় কাউন্টি ক্রিকেটের দল সারের হয়ে তিন বছর চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ব্রিসবেন হিটের হয়ে খেলতে আর বাঁধা থাকছে না তাঁর। ক্যারিয়ারে ২৪৭ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে মোট ৫৪৪ টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন তিনি। এমনকি আইপিএলেও নজরকাড়া সফলতা তার । বিশ্বের জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টে ৭০ ম্যাচে খেলে ৭৭ টি উইকেট শিকার করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই পেস বোলার।