|| ডেস্ক রিপোর্ট || উইমেনস টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ বা নারী আইপিএলে এবারই প্রথম খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন। টুর্নামেন্টে প্রথমবার গিয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়ে আসলেন এই স্পিনার। ফাইনালে তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে সুপারনোভাসকে ১৬ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে টেইলব্লেজার্স। নিজের অভিষেক আসরেই নজর কেড়েছে সালমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। চার ওভার বোলিং করে মাত্র ১৮ রানের খরচায় সুপারনোভাসের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। একই সঙ্গে প্রথমবার আইপিএলে গিয়েই শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন অভিজ্ঞ এই নারী ক্রিকেটার। সোমবার রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটের খরচায় ১১৮ রান তোলে ট্রেইলব্লেজার্স। দুই ওপেনার দীন্দ্র দতীন এবং স্মৃতি মান্ধানা উদ্বোধনী জুটিতেই এনে দেন ৭১ রান। ব্যক্তিগত ২০ রানে দতীন এবং ৬৮ করে মান্ধানা বিদায় নিলে একপ্রকারে ভেঙে পড়ে ট্রেইলব্লেজার্সের ব্যাটিং লাইনআপ। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর একমাত্র রিচি ঘোষ ছাড়া দলের কেউই আর দুই অঙ্কের রান তুলতে সক্ষম হননি। সুপারনোভাসের স্পিনার রাধা যাদবের বোলিং তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের খরচায় ১১৮ রান তুলতে সক্ষম হয় টেইলব্লেজার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সুপারনোভাস। দলীয় ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরে যান দলের তিন টপ অর্ডার। এরপর ইনিংস মেরামতের গুরুভার কাঁধে তুলে নেন হারমানপ্রিত কাউর ও শশিকলা সিরিবর্ধনে। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। ইনিংসের ১৫ তম ওভারের চতুর্থ বলে সালমাকে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ঝুলন গোস্বামীর হাতে ধরা পড়েন ১৯ রান করা শশীকলা। এরপর নিজের শেষ ওভারে জয়ের পথে বাকি থাকা অন্য কাঁটা, সুপারনোভাস অধিনায়ক হারমানকে সরাসরি বোল্ড করে দেন সালমা। আর এর মাধ্যমেই মূলত দলের নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার। পথের কাটা সরিয়ে ক্ষান্তি দেননি সালমা। ওই ওভারেরই পঞ্চম বলে শূন্য রানে ফেরান পুজা ভাস্ত্রাকারকেও। সবমিলিয়ে ৪ ওভারের স্পেলে কোনো বাউন্ডারি হজম না করে এবং কোনো অতিরিক্ত রান না দিয়ে ১৮ রানের খরচায় ৩ উইকেট নেন সালমা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের খরচায় ১০২ রানে থামে সুভারনোভাসের ইনিংস। আর একই সঙ্গে টেইলব্লেজার্স পায় প্রথম শিরোপার স্বাদ।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || দীর্ঘ ছয় বছর পর নিজ দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে খেলবেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। আসন্ন আসরে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে মাঠ মাতাবেন তিনি। এখনো পর্যন্ত দলটির হয়ে এই টুর্নামেন্টে ১০ ম্যাচ খেলে ২০ উইকেট পেয়েছেন স্টার্ক। এতদিন পর বিগ ব্যাশে ফিরতে পেরে দারুণ রোমাঞ্চিত তিনি। দর্শকরাও আগ্রহ নিয়ে এই টুর্নামেন্ট দেখবে বলে মনে করেন এই পেসার। তিনি বলেন, 'আমি দূর থেকে বিগ ব্যাশ দেখেছি। এবার এটার সঙ্গে যুক্ত হতে পারাটা দারুণ ব্যাপার হবে। এটাই অস্ট্রেলিয়াতে ক্রিকেট খেলার জন্য সেরা সময়। আমার মনে হয় সবাই রোমাঞ্চ নিয়ে টুর্নামেন্টটি দেখার অপেক্ষা করছে।' এতদিন পর স্টার্কের বিগ ব্যাশে ফেরায় ভূমিকা আছে জাতীয় দলের দুই সতীর্থ স্টিভেন স্মিথ আর জস হ্যাজিলউডের। গত বছর এই দুজনকে বিগ ব্যাশে খেলতে দেখেই অনুপ্রাণিত হন স্টার্ক। তিনি বলেন, 'আমি গত বছর স্মিথ ও হ্যাজলউডকে এটার সঙ্গে যুক্ত হতে দেখেছি। আমি তখন বিগ ব্যাশের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার সুযোগ আছে বলে মনে হয়েছে। আমি আমার ঘনিষ্ট বন্ধুদের সঙ্গে এই টুর্নামেন্টে ফিরতে মুখিয়ে আছি।' নিজের স্ত্রীর সঙ্গে একই দলে খেলা প্রসঙ্গে স্টার্ক বলেন, 'পাঁচ মৌসুম পর সিক্সার্সের হয়ে ফিরতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। আমি বিগ ব্যাশের প্রথম সিজন থেকে খেলেছি, সেই যাত্রাটা চলমান রাখতে পারা দারুণ ব্যাপার। সিক্সার্সে আমার স্ত্রীও আছে।' লম্বা সময় পর ফিরলেও পুরো বিগ ব্যাশ খেলো হবে না স্টার্কের। কেননা বিগ ব্যাশ চলাকালীন ভারতের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে অজিদের। তবে সিরিজ টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে স্টার্কের সামনে। আগামী ১৯ জানুয়ারি শেষ হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। এর তিনদিন পরই সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে সিক্সার্সের। আর আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বিগ ব্যাশের চলতি বছরের আসর।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || অপেক্ষা একদিনের। ৯ নভেম্বর, ২০০০। সময় থমকে দাঁড়ায় না। বয়ে চলে বহমান নদীর মতো। দূর কিংবা কাছের অতীতেও ফিরে যাওয়া যায় না আর। তবুও কল্পনার সীমানায় কখনো কখনো চেষ্টা করা যায় সুখস্মৃতি ফিরে পাওয়ার। চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুণ এমন এক দুনিয়ার। যেখানে হাতে হাতে মোবাইল নেই। ফেসবুক নেই। নেই ইন্টারনেট। আপনি খেলা দেখেন খুব। মূলত ফুটবল, টুকটাক ক্রিকেট। এই দিনে আপনার কাছে যেটি নেই, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দেশের ক্রিকেটারদের কেমন দেখায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে; সে অভিজ্ঞতা। তবে আপনি এই মুহূর্তে উত্তেজনায় কাঁপছেন, রোমাঞ্চে নাচতে চাইছেন। কারণ আপনার আর কিছু ঘণ্টার প্রতীক্ষা, অল্প কিছুক্ষণের প্রহর গোণা। এরপর? এরপর আপনার দেশ টেস্ট আঙিনার সদস্য হয়ে পড়বে পাকাপাকিভাবে। আপনি এমন এক দেশে বাস করবেন, যেটা ক্রিকেট নামক একটা খেলার সবচেয়ে অভিজাত ফরম্যাটটা খেলে। সেই দিন। ১০ নভেম্বর, ২০০০ এই দিনটা কি আলাদা? আপনার স্মৃতি কি তাই বলে? কেন বলুন তো? মনে করতে পারছেন না? মনে করুন এক শীতের সকালের কথা। এই ঋতুর অন্য দিনগুলোর মতোই। হালকা অথবা ঘন কুয়াশা। শহর আর গ্রামের পার্থক্যে বদলে যায় যার গভীরত্ব। সূর্য উঠি উঠি করেও উঠে না। কুয়াশা ভেদ করে ধীরে ধীরে। নিজের অস্তিত্বের জানান দেয় যখন পুরো। আপনি এন্টিনা ঘুরালেন অথবা চালু করলেন রেডিও। বহু কষ্টে ধরালেন বিটিভি অথবা বাংলাদেশ বেতার। তখন ঘড়িতে সময় সাড়ে নয়টা। সৌরভ গাঙ্গুলী দাঁড়িয়ে আছেন, আপনার দেশের নাঈমুর রহমান দুর্জয়ও। তারা দুজন টস করলেন। বাংলাদেশ জিতলো, ব্যাটিং নিলো। ব্যাট হাতে ইনিংস উদ্বোধনে নামলেন শাহরিয়ার হোসেন-মেহরাব হোসেন অপি। কতকিছু বদলে গেল। দিনটার কথা কি মনে পড়েছে? বুঝতে পেরেছেন নয় আর দশ নভেম্বর, দুই হাজারের মাঝখানকার বিশাল ফারাক? একদিনের ব্যবধানে আপনার দেশের কেউ টেস্টে টস করেছেন। ব্যাটিংয়ে নেমেছেন, রান করেছেন। সাদা পোশাকের অভিজাত ফরম্যাটে। আপনি এখন টেস্ট খেলা দেশের লোক। অপেক্ষা, অপেক্ষা...অবসান; ১০ জানুয়ারি, ২০০৫ ৩৪ টেস্ট। ৩ টা ড্র-ই সম্বল। বাকিগুলোতে হার, সংখ্যাটা; ৩১। প্রতীক্ষা, প্রতীক্ষা এরপর হতাশা। এই যেন নিয়তি। একটার পর একটা ম্যাচ যায়। জয় আর আসে না। ক্রিকেটার বদলায়, বদলে যায় মাঠ কিংবা দেশ। কখনো কখনো চলে যাওয়া হয় খুব কাছে, নিঃশ্বাস দূরত্বে। কেবল পাওয়া হয় না জয়টা। ১০ জানুয়ারি ২০০৫। দুপুর ১২টা ৫৩। এমফুফু খেললেন, ক্যাচ তুলে দিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলের হাতে। 'আশার ফুল' সেটা ধরলেন। এরপর ভৌ দৌড়ে ছাড়িয়ে যেতে চাইলেন সব। আনন্দের সীমারেখা আজ তিনি নতুন করে লিখতে চান যেন। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় এলো। পাঁচ বছর দুই মাস পর। সবাই যেন চিৎকার করতে চাইলো, 'অপেক্ষা, অপেক্ষা; অবসান।' প্রসঙ্গ সাকিব আল হাসান ডিসেম্বর, ২০১১। তীব্র শীতে আপনি হয়তো কাবু হয়ে আছেন তখন। খেজুরের রস কিংবা পিঠা হাতে থাকতে পারেন আনন্দেও। আপনার দেশের একটা ছেলে ক্রিকেটে খুব ভালো করছে। তার নাম সাকিব আল হাসান। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে দারুণ খেলেছে। প্রথম ইনিংসেই ব্যাট হাতে করেছে ১৪৪ রান, বল হাতে পেয়েছে ছয় উইকেট। আপনি খুশি হয়েছেন। কিছুদিন বাদে টিভি খুলে বসেছেন। হঠাৎ চোখ আটকে গেছে। আপনি ভাবছেন ভুল দেখছেন কিংবা আপনার ভ্রম হয়েছে। আদতে তেমন কিছু ঘটেনি। আপনি ঠিক দেখছেন। সাকিব আল হাসান নামের এক ক্রিকেটার, অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন। তার দেশের নাম বাংলাদেশ। তিনি আগে-পরে আরও কীর্তি গড়েছেন। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী করেছেন সাদা পোশাকে। বেন স্টোকসকে তার স্যালুট দেয়া ছবিটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত ছবি কিনা, সেটা নিয়ে তর্ক করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে ওই অনুভূতিটা নিশ্চয়ই আলাদা হয়ে থেকেছে? বেন স্টোকস, স্যালুট...'আপনাদের হারিয়ে দিলাম' সাকিব আল হাসানের প্রসঙ্গ ওপরে এসেছে। তার স্যালুটেরও। বেন স্টোকসকে যখন তিনি এই স্যালুট দিচ্ছেন, তখনো নিশ্চিত নয় কিছুই। তবে এটুকু নিশ্চিত, দেশ দাঁড়িয়ে ক্রিকেটের অন্যতম বড় জয়ের সামনে। সেটা পূরণ হওয়ার বার্তাটা যেন সাকিব দিয়ে দিলেন আগেভাগে। আর তিনটা বল দরকার তখন, উইকেট পাওয়া বল। এরপর? স্বপ্নের পাখি উড়াল দেবে সীমানা প্রাচীর ভেদ করে। ইংল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়ে দেয়ার কল্পনাতেই এসেছে ক'জনের? ৩০ অক্টোবর, ২০১৬ সাল। হলো তেমন কিছুই। চতুর্থ দিনের খেলা চলছিল। ৪৫ তম ওভারের তৃতীয় বল। মিরাজ বল করলেন, স্টিভেন ফিন এলবিডব্লিউ হলেন। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙুল তুললেন। আর এতেই বাংলাদেশ পেলো ১০৮ রানের জয়। আর দুই ইনিংস মিলিয়ে মিরাজের অর্জন ১২ উইকেট। সাদা পোশাকে রঙিন স্মৃতি খুব একটা নেই। সেই দায় কিছুটা হলেও ঘুঁচলো ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই স্মরণীয় মুহূর্তে আপনি কি করছিলেন? আপনার কি দুই হাজার সালে এন্টিনা ঘুরানো সেই দিনটার কথা মনে পড়েছিল? আভিজাত্যের ক্রিকেটে প্রতাপশালী অজি বধ প্রথম ইনিংসে তামিম ৭১ রান করলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সাত রান বেশি। সাকিব প্রথম ইনিংসে ৮৪ রান করলেন, দুই ইনিংস মিলিয়ে দশবার উড়ে যেতে চাইলেন আকাশে, উইকেট তুলে নিয়ে। তিনি জানেন তিনি পাখি হতে পারবেন না, তবুও। তাইজুল তিন উইকেট পেলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। আগের ইনিংসে তার সমান পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আপনি এতক্ষণ যা পড়লেন, সব ব্যক্তিগত অর্জন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ঘরের মাঠে, ২০১৭ সালে। বিন্দু বিন্দু জল মিলে সিন্ধু গড়ে উঠলো। টেস্টের চতুর্থ দিন চলছে। এক বল বাদেই শুরু হবে ৭১তম ওভার। বছর খানেক আগের পুনারাবৃত্তি হলো যেন। আগেরবার বোলার ছিলেন মিরাজ, ব্যাটসম্যান ফিন। এবার তাইজুল আর হ্যাজিলউড। ব্যাটসম্যানের পায়ে বল লাগতেই তাইজুল বসে পড়লেন। হাত তুললেন, আবেদন জানালেন আউটের। নাইজের লং আঙ্গুল তুলে দিলেন। আউট! বাংলাদেশ হারালো অস্ট্রেলিয়াকে। টেস্টে। সাকিব জড়িয়ে ধরলেন তাইজুলকে। তামিম সাকিবকে। সতীর্থরা সবাই একে-অপরকে। আপনি? শততম টেস্ট কলম্বো, শ্রীলঙ্কা। ১৫ মার্চ, ২০১৭। একশ। কোনো ব্যাটসম্যানের রান না, বোলারের উইকেট সংখ্যাও না। বাংলাদেশের টেস্ট খেলার সেঞ্চুরি। এই শতকের শুরুতে অভিষেক, সতেরো বছরের মাথায় টেস্ট খেলার শতক। এ যেন অন্য রকম তৃপ্তি। অথচ এমন উপলক্ষ্যে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নেই, মুমিনুল হকও। প্রথম ইনিংসে ৩৩৮ করলো শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশও জবাব দিলো শক্তভাবে। ৪৬৭ রান করে। সাকিব সেঞ্চুরি করলেন। মোসাদ্দেক, সৌম্য মুশফিক করলেন হাফ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১৯ রানে গুঁটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছালো ৪ উইকেট হাতে রেখে। এতক্ষণ যা পড়লেন, তাতে বড্ড তাড়াহুড়ো, ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। অথচ তার পরতে পরতে মিশে আছে সংগ্রামের গল্প, আছে লড়াই জয়ের আনন্দ। বিদেশের মাটিতে শততম টেস্ট, সেটাতেও জয়। এর চেয়ে বেশি বোধ হয় কিছু চাওয়ার ছিল না। আক্ষেপ ও আজ। ১০ নভেম্বর, ২০২০ মুলতান, ফতুল্লা কিংবা অন্য কিছু। হবে হবে করেও হয়নি, এমন পাওয়া যাবে অনেক। জিততে জিততেও হেরে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ার দৃশ্য রঙিন পোশাকে আছে, সাদা পোশাকেও। বিশ বছর পর পেছনে তাকালেও সেসবই বেশি ভেসে উঠে চোখে। আজ আক্ষেপ কাব্যগুলো জমা থাক মনের গহীনে। নানা সীমাবদ্ধতা ছিল। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার সময় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের কাঠামোও ছিল না। আজ যা আছে, সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের মাটিতে জয় আছে, বাইরে গেলে এখনো যবুথুবু অবস্থা। বিশ উইকেট নেয়ার মতো বোলার নেই। ভালো মানের পেসারের অভাব বাইরে লড়াই করার মতো। নেই লেগ স্পিনার। তবুও। প্রথম টেস্টের পর বিশ বছরের স্মৃতিচারণ করলে কেমন লাগে? সব সীমাবদ্ধতা ভুলে গেলে দেশের ক্রিকেটে সেই টেস্ট খেলাটা কি জরুরি মনে হয়? টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে বারবার উঠা প্রশ্ন মনে হয় অমূলক। বাংলাদেশ সব আক্ষেপ দূর করুক। রঙিন পোশাকের মতো সাদা পোশাকেও উড়ুক স্বপ্ন ঘুড়ি। একটা প্রজন্ম বড় হয়ে গেছে মাঝখানে। শিশুরা কৈশোর পেরিয়েছে, যুবকরা আছে বৃদ্ধ হওয়ার পথে। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটও হাঁটছে যৌবনের পথে। টেস্টের বিশ বছরে কিছু আক্ষেপ, স্মরণীয় জয় আর প্রসঙ্গ সাকিব আল হাসানকে রেখে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশাই তো সবচেয়ে কাম্য।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সকল ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের একমাত্র স্পোর্টস ভিত্তিক টিভি চ্যানেল টি-স্পোর্টস। আন্তর্জাতিক মানের সম্প্রচারের আশ্বাস দেয়ায় ফলশ্রুতিতে দেশের এই প্রথম স্পোর্টস চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তি করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সোমবার (৯ নভেম্বর) টি-স্পোর্টসের মহাব্যবস্থাপক তাসভির-উল-ইসলাম দেশের একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন টুর্নামেন্ট সম্প্রচারের ডিটিএইচ, ওটিটি এবং স্যাটেলাইট স্বত্ত্ব অর্জনে তারা সক্ষম হয়েছেন। তাসভির বলেন, 'আমরা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির সম্প্রচার স্বত্ত্ব পেয়ে বেশ গর্বিত। এটি আমাদের জন্য একটি বড় বিরতি। আমরা এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমাদের উপস্থিতি জানানোর প্রত্যাশায় রয়েছি কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা সারাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে সর্বোচ্চ জনগণের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হব।' 'আমরা টুর্নামেন্টটি সম্প্রচারের তিনটি স্বত্ত্ব পেয়েছি- ডিটিএইচ, ওটিটি এবং স্যাটেলাইট স্বত্ত্ব পেয়েছি এবং আমরা এটি টি স্পোর্টসে একযোগে প্রচার করব।' শ্রীলঙ্কা সিরিজ বাতিল হয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্টস কাপের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিল জাতীয় দল ও এইচপির ক্রিকেটাররা। প্রেসিডেন্টস কাপের ম্যাচগুলো বিসিবির অফিশিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন দর্শরা। যদিও টুর্নামেন্টটির ফাইনাল ম্যাচ বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হলেও সম্প্রচার মান ও আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পরতে হয় বিসিবিকে। তাই আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক মানের সম্প্রচারের আশ্বাস দিয়েছিল তারা। এর কারনে নতুন যাত্রা শুরু করা বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দেশের প্রথম স্পোর্টস চ্যানেল টি-স্পোর্টসের সঙ্গে টুর্নামেন্টটির সম্প্রচার চুক্তি করলো বিসিবি। এর আগে পাঁচ দল নিয়ে এই টুর্নামেন্টের খবর জানিয়েছিল দেশের ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ইতোমধ্যে পাঁচ দলের জন্য স্পন্সরও খুঁজে পেয়েছে তারা। বেক্সিমকো ঢাকা, ফরচুন বরিশাল, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী, জেমকন খুলনা এবং গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম এই নামে টুর্নামেন্টটির দলগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরুর তারিখ ঘোষণা না করলেও প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে দলগুলো তাদের পছন্দ মতো ক্রিকেটার বাছাই করে নিতে পারবে। ড্রাফটকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ১৬০ ক্রিকেটারএর তালিকায়ও প্রস্তুত করে ফেলেছে বিসিবি।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || করোনাভাইরাস মহামারির কারনে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন ক্রিকেটাররা। ফলে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে একটা শঙ্কা কাজ করছিল টিম ম্যানেজমেন্ট সংশ্লিষ্ট সকলের মনে। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় পরেও ক্রিকেটারদের ফিটনেস দেখে বেশ সন্তুষ্ট জাতীয় দলের ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স বিভাগের প্রধান নিকোলাস ট্রেভর লি। চলতি মাসের শেষ দিকে পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। টুর্নামেন্টটি খেলতে হলে বাধ্যতামূলক ফিটনেস পরীক্ষায় উতরাতে হবে জাতীয় দল, এইচপি এবং জাতীয় দলের বাইরে থাকা মোট ১২৩ ক্রিকেটারকে। সেই ফিটনেস পরীক্ষার প্রথম দিনে ক্রিকেটারদের ফিটনেস অবাক করেছে সকলকে। ক্রিকেটারদের ফিটনেস বিষয়ে প্রধান ট্রেনার নিক লি বলেন, 'জাতীয় দল এবং এইচপি দলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা এবং ফিটনেস দেখে আমি খুবই সন্তুষ্ট। করোনাভাইরাসের কারণে যখন লকডাউন শুরু হয় তখন আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি কার কাছে কী ধরণের সরঞ্জাম ছিলো, কে কী রকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার। পরে বিসিবি খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে কাজ করবার জন্য সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল।' 'নির্বাচকদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী প্লেয়ার পুলের মধ্যে থাকা সব খেলোয়াড়কে আমরা ব্যক্তিগত পরিকল্পনা দিয়েছিলাম যা তারা বাসায় মেনে চলতে পারবে। পাচ-ছয় মাস পর ট্রেনিং আয়োজনের সময় প্লেয়ারদের ফিরে আসা দেখে আমি খুবই খুশি। তারা সবাই লকডাউনে তাদের শারীরিক অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছিলো।' করোনাভাইরাস ক্রিকেটারদের জন্য সুফল বয়ে এনেছেন বলে মনে করেন নিক লি। ক্রিকেট না খেলতে পারলেও তারা ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল। ফলে ক্রিকেটাররা আগের থেকেও বেশি ফিট বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে নিক লি আরো বলেন, 'জাতীয় দল এবং এইচপির খেলোয়াড়রা বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন সেটি নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমার যেটি ভালো লেগেছে সেটি হলো, করোনাভাইরাসের কারণে তারা ক্রিকেট খেলতে না পারলেও এটি তাদের ফিট হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।' 'আপনি যদি বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে তারা বলবে তারা আগের চেয়ে এখন বেশি ফিট। কারণ এই সময়ের মধ্যে তারা ক্রিকেট খেলতে পারেনি কিন্তু ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পেরেছিলো।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || বয়সটা কেবল ১৮ বছর। বেড়ে উঠা পৃথিবীর স্বর্গ খ্যাত কাশ্মিরে। ছিমছাম গড়নের আব্দুস সামাদের মুখজুড়ে তারণ্যের ছাপ স্পষ্ট এখনো। তবে ছক্কার প্রশ্ন এলেই বনে যান সিদ্ধহস্ত। কাশ্মির থেকে আইপিএল মঞ্চ, সামাদের পুরোটা জুড়েই ছক্কার গল্প। আরও বছর দুয়েক আগের কথা। ইরফান পাঠান ট্রায়ালে দেখছেন জম্মু আর কাশ্মিরের তরুণদের বেছে নেয়ার। হঠাৎ ভাবলেশহীনভাবে বল মারতে শুরু করলেন ১৬ বছর বয়সের এক তরুণ। চোখে লেগে গেল ইরফান পাঠানের। এরপরই বদলে গেল সামাদের জীবন। জোরে ব্যাট চালাতে পারলেও ইরফান দেখলেন হাফ সেঞ্চুরিই নেই জেলা ক্রিকেটে। সামদকে ডাকলেন তিনি। নিশ্চয়তা দিলেন তাকে সুযোগ করে দেয়ার। তবে তার আগে তাকে উইকেটের মূল্য বুঝতে হবে জানিয়ে দিলেন সেটাও। রঞ্জিতে সুযোগ পেলেন সামাদ। এরপর? গত আসরে ১৭ ইনিংস খেলে করেন ৫৯২ রান। হাঁকান সবচেয়ে বেশি ৩৬ ছক্কা। প্রায় ১১৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেন তিনি। চলতি আইপিএলের আগে মিডল অর্ডারে একজন ফিনিশার খুঁজছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে তার সতীর্থ ছিলন মেওয়াডি। সামাদকে দলে ভেড়াতে লক্ষ্মণকে পরামর্শ দেন তিনি। এরপরই চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে কাশ্মির থেকে আইপিএলে সুযোগ পান আব্দুস সামাদ। নিজের প্রথম আসরে সামর্থ্যের জানানও ভালোভাবেই দিয়েছেন হার্ড হিটার এই ব্যাটসম্যান। ৮ ইনিংস ব্যাট করে সংগ্রহ করেছেন ১১১ রান। রানের চেয়ে বেশি নজর কাড়া ছিল তার স্ট্রাইক রেট। টুর্নামেন্টে ১৭০.৭৬ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে হায়দরাবাদের যখন জয়ের আশা প্রায় শেষ, তখনই আরেকবার নিভে যাওয়া প্রদীপ জ্বালেন সামাদ। ১৬ বল থেকে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের বন্দরে। যদিও শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতে তিনি আউট হয়ে যান। তার দলও জয় পায়নি, পৌঁছতে পারেনি আইপিএলের ফাইনালে। তাতেই শেষ হয় সামাদের প্রথম আইপিএল।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এবারে অভিযুক্ত হলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আসাদ শফিক। পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদ এ আজম ট্রফিতে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ম্যাচে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে জরিমানার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে আচরণবিধির লেভেল ১ এর ২.৮ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'ইউবিএল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে নর্দার্নের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণির কায়েদ-আজম ট্রফির ম্যাচ চলাকালীন একজন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মতবিরোধ দেখানোয় প্রথম স্তরের অপরাধে সিন্ধু ব্যাটসম্যান আসাদ শফিককে ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছে।' এর আগে রবিবার একই টুর্নামেন্টে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে জরিমানা করা হয়েছিল পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদকে। ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করে যাচ্ছিলেন সরফরাজ। যার ফলে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল তাঁকে। আরেক ম্যাচে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যান উসমান সালাহউদ্দিনকে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আচরণবিধির লেভেল ১ এর ২.২০ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে এই জরিমানা করা হয় তাঁকে। ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনা হয় উসমানের বিরুদ্ধে। এরপর ম্যাচ রেফারি তাঁকে জরিমানায় আওতায় আনেন।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতে অস্ট্রেলিয়া সফরে একটি মাত্র টেস্ট খেলে দেশে ফিরবেন বিরাট কোহলি। কোহলির ছুটি মঞ্জুর করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। এদিকে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার পর ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে রোহিত শর্মাকে। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বরে বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মাকে বিয়ে করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার। এরপর চলতি বছরের আগস্টে এক টুইট বার্তায় কোহলি জানিয়েছিলেন, তাদের পরিবারে নতুন অতিথি আসছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারিতে সন্তানের মুখ দেখবেন তিনি। বেশ কয়েক বছরে ধরে বাবা হওয়ার সময়টায় ক্রিকেটারদের ছুটি দিচ্ছে বিসিসিআই। যার ব্যতিক্রম হয়নি ভারতীয় অধিনায়কের ক্ষেত্রেও। এছাড়াও রোহিতকে টেস্ট দলে যুক্ত করার খবর দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসর চলাকালীন অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য দল ঘোষণা করে বিসিসিআই। যেখানে ইনজুরির কারণ দেখিয়ে রোহিতকে দলে রাখেনি নির্বাচকরা। যদিও ইনজুরিতে পড়ার কয়েকদিন পর থেকেই মুম্বাইয়ের হয়ে নেটে ব্যাটিং করতে দেখা যায় তাকে। তার কয়েকদিন পরই মুম্বাইয়ের হয়ে খেলতে দেখা যায় তাকে। ইতোমেধ্য দলের হয়ে দুটি ম্যাচও খেলেছেন তিনি। যা নিয়ে চারিদিকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তাকে টেস্ট দলে নিয়েছে দলটি। এর আগে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। সূচি অনুযায়ী ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে এই দুই দলের লড়াই। ২৭ নভেম্বর সিডনিতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামবে দুই দল। পরবর্তী দুই ম্যাচ হবে ২৯ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ম্যাচ সিডনিতে আর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হবে মানুকা ওভালে। ওয়ানডে সিরিজ সিরিজ শেষে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ মানুকা ওভালে হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরবর্তী দুই ম্যাচ হবে ৬ এবং ৮ ডিসেম্বর। দুটি ম্যাচই হবে সিডনিতে। সীমিত ওভারের ক্রিকেট শেষে সাদা পোষাকের লড়াইয়ে নামবে এই দুই দল। গোলাপি বলের টেস্ট দিয়ে শুরু হবে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে হবে দিবারাত্রির ম্যাচটি। দ্বিতীয় টেস্ট হবে ২৬ ডিসেম্বর, মেলবোর্নে। তৃতীয় টেস্ট ৭ জানুয়ারি, সিডনিতে। সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট হবে ১৫ জানুয়ারি, গ্যাবাতে। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, শুভমান গিল, লোকেশ রাহুল (সহ-অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শ্রেয়াস আইয়ার, মনিষ পান্ডে, হার্দিক পান্ডিয়া, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রবীন্দ্র জাদেজা, যুবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, নবদীপ সাইনি এবং শার্দুল ঠাকুর। ওয়ানডে স্কোয়াড বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, শুভমান গিল, লোকেশ রাহুল (সহঅধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শ্রেয়াস আইয়ার, মনিষ পান্ডে, হার্দিক পান্ডিয়া, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রবীন্দ্র জাদেজা, যুবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, নবদীপ সাইনি এবং শার্দুল ঠাকুর। টেস্ট স্কোয়াড বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, পৃথ্বী শ্বো, লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পুজারা, আজিঙ্কা রাহানে (সহ-অধিনায়ক), হনুমান বিহারি, শুভমান গিল, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রিষভ পন্ত (উইকেটরক্ষক), জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব, নবদীপ সাইনি, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্র অশ্বিন এবং মোহাম্মদ সিরাজ
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || করোনাভাইরাস মহামারির কারনে গত মার্চ মাসে প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষ না হতেই স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চলতি বছরের আসরটি। এরপরেরি বন্ধ হয়ে যায় দেশের সকল ক্রিকেটীয় ইভেন্ট। করোনা বিরতি কাটিয়ে ইতোমধ্যেই মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। চলতি মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আর এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে মাঠে ফিরতে মুখিয়ে রয়েছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। আসন্ন টুর্নামেন্টটিকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের বাধ্যতামূলক ফিটনেস পরীক্ষা করানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর এই ফিটনেস পরীক্ষায় উতরাতে পারলেই মিল্বে টুর্নামেন্টের টিকিট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৯ নভেম্বর) ফিটনেস পরীক্ষা দিতে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২০১৮ সালে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামা এই খেলোয়াড় লম্বা বিরতির পর আবারো মাঠে ফিরতে পেরে ভালো অনুভব করছেন। ফিটনেস পরীক্ষার তারিখ শোনার পর থেকেই দিনটির জন্য বেশ উত্তেজিত ছিলেন রাব্বি। এমনকি মাঠে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছেন বলেও জানান এই ৩২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাব্বি বলেন, 'অনেকদিন ধরেই চাচ্ছিলাম যে একটা খেলা হোক তো এই ফিটনেস পরীক্ষার খবরটা যখন পেলাম খুব ভালো লেগেছে। তখন থেকেই আসলে আমাদের সবার ভিতরে একটা উত্তেজনা কাজ করছে। এই দিনটা কবে আসবে, কখন আবার আমরা মাঠে ফিরব। মূলত মাঠে নামার জন্য আমরা এখন একদম মুখিয়ে আছি।' এতদিন পরে মাঠে ফেরায় সব ক্রিকেটারকেই নতুন করে শুরু করতে হবে। তাই ভালো করলে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ আসবে বলে মনে করেন রাব্বি। ফলে ভালো পারফরম্যান্স করার সর্বোচ্চ চেস্টা করবেন বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে রাব্বি বলেন, 'এতদিন পরে ফিরছি অবশ্যই একটা ভালো পারফর্ম করতে হবে। সবাই কিন্তু শূন্য থেকেই শুরু করছে। তো এখন ভালো করলে অবশ্যই সুযোগ আসবে ভালো জায়গায়। চেস্টা থাকবে যে, যেখানেই থাকি যেভাবেই খেলি যেন ভালো একটা পাফর্ম করতে পারি।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ক্রিকেটাঙ্গনে একটি কথা বেশ প্রচলিত; ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’। আর এর বাস্তব নজির দেখা গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বেলায়। বাঁচা মরার ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি ক্যাচ মিস করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ওয়ার্নারের হায়দরাবাদকে। ম্যাচ শেষে এই দলপতি অকপটেই স্বীকার করে নিয়েছেন বহুল প্রচলিত সেই কথাটি। জানিয়েছেন, ক্যাচ মিস করলে আপনি কখনও টুর্নামেন্ট জিততে পারবেন না। রবিবার (৮ নভেম্বর) দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে শুরু থেকেই ক্যাচ মিসের পসরা সাজিয়ে বসেছিল হায়দরাবাদের ফিল্ডাররা। যার খেসারত বেশ বাজেভাবেই দিতে হয়েছে তাদের। দিল্লির কাছে মাত্র ১৭ রানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের চলতি আসর থেকে। দিল্লির বিপক্ষে সেই ম্যাচে ক্যাচ মিসের শুরুটা করেছিলেন জেসন হোল্ডার। দলীয় রান তখন কেবল ১২ রান। উইকেটে ৩ রানে ব্যাট করছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। সন্দীপ শর্মার বলে ফ্লিক করতে গিয়ে সিলি মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা হোল্ডার হাতে ক্যাচ তুলে দেন স্টয়নিস। কিন্তু ক্যাচটি তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন ক্যারিবীয়ান এই অলরাউন্ডার। ব্যক্তিগত ৩ রানে জীবন পাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে করেছেন ৩৮ রান। এরপর ২৫ রান করা শিমরন হেটমায়ারের ক্যাচ নেয়ার সুযোগ পেলেও তা ধরতে শাহবাজ পারেননি নাদিম। যদিও ক্যাচটি কিছুটা কঠিন ছিল। শেষ পর্যন্ত ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। যা দলের হারের জন্য বড় কারণ। পিছিয়ে থাকেননি রশিদ খানও। ৭৭ রান করা শিখর ধাওয়ানের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন এই আফগান ক্রিকেটার। যদিও সেটি খুব বেশি ভোগায়নি হায়দরাবাদকে। কারণ ৭৮ রান করে ফিরে গেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ওয়ার্নার বলেন, ‘আপনি যদি ক্যাচ মিস করেন আর সুযোগ হাতছাড়া করেন তাহলে টুর্নামেন্ট জিততে পারবেন না। আমি মনে করি আমরা খারাপ করার পর ব্যাটে-বলে উন্নতি করেছি। কিন্তু মাঠের আচরণ আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।’ থাঙ্গারাসু নাটারজান, রশিদ খান ও মনিষ পান্ডের প্রশংসা করেছেন হায়দরাবাদ দলপতি। সেই সঙ্গে তাদের কেউ সেরা চারের দল হিসেবে বিবেচনা না করার পরও এতদুর আসায় দল নিয়ে গর্বিত তিনি। তার ভাষ্যমতে, ‘নাটারজান, রশিদ ও মনিষ বেশ ইতিবাচক ছিল। পরের দিকে দেখিয়েছি, আমরা কিভাবে ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি। আমাদের কয়েকটা ইনজুরি ছিল, তারপরও আপনি যা পেয়েছেন তা নিয়েই কাজ করতে হবে। কেউ আমাদের সুযোগ না দেখার পরও আমরা যেখানে এসেছি তাতে আমি গর্বিত।’
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচকে কেন্দ্র করে জুয়াড়ি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় ফের গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক রঞ্জি ক্রিকেটার রবিন মরিস। ভারাসোবায় নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। ভারাসোবা পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সে মোতাবেক অভিযান চালিয়ে রবিনকে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন সমেত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ নভেম্বর) তাকে কোর্টে তোলার কথা রয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমাদের কাছে তথ্য ছিল, নিজের বাড়িতে নিয়মিত জুয়ার আসর বসাতেন রবিন। আইপিএল ম্যাচে নিয়মিত বাজিও ধরতেন। যা আইনত নিষিদ্ধ।' রবিনের জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনা এটিই প্রথমবার নয়। গতবছর আল জাজিরার করা এক স্টিং অপারেশনে উঠে আসে তাঁর জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ। সেখানে পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান হাসান রাজার সঙ্গে মিলে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে স্পট ফিক্সিংয়ের পরিকল্পনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনাও রবিনের জন্য নতুন কিছু নয়। গতবছর একজন লোন এজেন্টের কাছ থেকে ২ লাখ রুপি আত্মসাতের জন্য তাকে অপহরণ করেছিলেন রবিন। সে সময় তাঁকে এবং তাঁর চার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || সর্বশেষ ২০১৯ সালের মে মাসে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নেমেছিলেন পেসার জুনায়েদ খান। এরপর চোট ও দলীয় সমন্বয়ের কারনে পাকিস্তান জাতীয় দলে আর জায়গা করে নিতে পারেননি বাঁহাতি এই বোলার। ২০১১ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ২২ টি টেস্ট, ৭৬টি ওয়ানডে এবং ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৩০ বছর বয়সি এই পেসার। লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও এখনও জাতীয় দলে খেলার আশা বুকে পুষে রেখেছেন এই ক্রিকেটার। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেয়েছেন পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার। সেই সুবাদে তাঁর সামনে সুযোগ তৈরি হয়েছে ইংলিশ কাউন্টিতে খেলার। পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে এতোদিন খেলে আসলেও এখন কাউন্টিতে খেলতে চান জুনায়েদ। কেননা পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের চেয়ে বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন তিনি কাউন্টিতে খেলে করতে পারবেন। তবে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট না খেললেও জাতীয় দলে ফের খেলতে ইচ্ছা পোষণ করেন এই পেসার। সম্প্রতি পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান জুনায়েদ। জুনায়েদ বলেন, 'আমার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্বও রয়েছে। আমার সামনে সুযোগ রয়েছে কাউন্টিতে খেলে পাকিস্তানের ঘরোয়া লিগের চেয়ে বেশি উপার্জনের। কিন্তু আমি আবার পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।' 'এই দেশ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি যা কিছু অর্জন করেছি সবই পাকিস্তানের কারনেই সম্ভব হয়েছে।' সম্প্রতি পাকিস্তানের ন্যাশনাল টু-টোয়েন্টি কাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন জুনায়েদ। খাইবার পাখতুনের হয়ে ৮ ম্যাচে ৮.৮০ ইকোনমি রেটে ১০ উইকেট সংগ্রহ করেছেন তিনি। এছাড়াও কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে একই দলের হয়ে দুই ম্যাচ খেলে ইতিমধ্যে ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন তিনি।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদকে জরিমানা জরিমানা করা হয়েছে। পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদ এ আজম ট্রফিতে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ম্যাচের সময় আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় সিন্ধুর এই অধিনায়কের বিরুদ্ধে। অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে ম্যাচ ফির ৩৫ শতাংশ জরিমানা করা হয় ৩৩ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারকে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শনিবার ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করে যাচ্ছিলেন সরফরাজ। এরই জের ধরে আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ম্যাচ রেফারি সিন্ধুর এই অধিনায়ককে জরিমানার আওতায় আনেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'সিন্ধু একাদশের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে নর্দানের বিপক্ষে ম্যাচের সময় অনুচিত ভাষা ব্যবহার করে আচরণবিধির লেভেল ১ ভঙ্গ করেছেন। আর তাই তাঁকে ম্যাচ ফির ৩৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।' এদিকে একই টুর্নামেন্টের আরেক ম্যাচে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যান উসমান সালাহউদ্দিনকে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আচরণবিধির লেভেল ১ এর ২.২০ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে এই জরিমানা করা হয় তাঁকে। ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনা হয় উসমানের বিরুদ্ধে। এরপর ম্যাচ রেফারি তাঁকে জরিমানায় আওতায় আনেন।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতের বর্তমান ব্যাটিং লাইনআপের চেয়ে শচীন টেন্ডুলকাদের সময়কার ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে এগিয়ে রাখছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, বর্তমান সময়ের বোলারদের থেকে সেই সময়ের বোলারদের মান ভালো ছিল। বরাবরাই শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে দল সাজায় ভারত। সময়ের পরিক্রমায় দারুণ সব ব্যাটসম্যান খেলেছেন ভারতের জাতীয় দলে। বর্তমানে ভারতকে এগিয়ে নিচ্ছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পুজারা, লোকেশ রাহুলরা। তাদের আগের প্রজন্মেও দারুণ সব ব্যাটসম্যান পেয়েছিল ভারতে। যেখানে ছিল শচীন, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষণ ও সৌরভ গাঙ্গুলির মতো ব্যাটসম্যানরা। দুই প্রজন্মের ব্যাটিং লাইনআপকে তুলে করতে গিয়ে শচীনদের এগিয়ে রেখেছেন ইউসুফ। তাদের এগিয়ে রাখার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। ইউসুফ বলেন, ‘কোহলি, রোহিত, পুজারা, রাহুলরা মানসম্পন্ন ব্যাটসম্যান, সন্দেহ নেই। তবে আমি যদি তুলনা করি, তাহলে টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়, লক্ষণ, সৌরভদের ব্যাটিং লাইন-আপ বেশি ভালো ছিল। এখন আর আগের মতো বোলিং আক্রমণ নেই।ক্রিকেটের অনেক কিছুই বদলে গেছে, অনেক কিছুই এখন ভিন্ন।’ শচীনদের সময়টায় খেললেও ইউসুফ ছিলেন বিশ্বের সেরাদের একজন। তখন প্রায়শই সময়ের সেরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শচীনের সঙ্গে ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিংদের নাম বেশি আসত। তবে ইউসুফের চোখে সবার ওপরে শচীন। তিনি মনে করেন, সে সব দিক থেকেই সবচেয়ে পরিপূর্ণ ব্যাটসম্যান। ইউসুফের ভাষ্যমতে, ‘আমি যখন পাকিস্তানের হয়ে খেলেছি, তখন অনেক পন্টিং, লারা, হেইডেনদের মতো গ্রেট ব্যাটসম্যান ছিল। তবে আমার সবসময়ই মনে হয়েছে, শচীন সব দিক থেকেই সবচেয়ে পরিপূর্ণ ব্যাটসম্যান।’