|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সদ্য শেষ হওয়া আসরে একেবারের নিষ্প্রভ ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি। নিজের পারফরম্যান্স তো বটেই দলের পারফরম্যান্সের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু তারপরও চেন্নাইয়ের কর্তৃপক্ষ ভরসা হারাচ্ছেন না এই অধিনায়কের ওপর থেকে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে আগামী আসরেও দলের দায়িত্বে থাকছেন ধোনি। এমনকি আইপিলের পরের আসরটিতেও খেলার ঘোষণা দিয়েছেন খোদ ধোনি নিজেই। তবে ক্রিকেট মহলে বেশ কানাঘুষা চলছে ধোনির আইপিএলের আগামী আসরে খেলা নিয়ে। আলোচনা চলছে ক্রিকেট বোদ্ধাদের ভেতরও। তবে খেলা না খেলার এই বিষয়টি পুরোটাই ধোনির ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন সাবেক ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কিরণ মোরে। মোরের মতে চেন্নাই দলপতির আইপিলের আগামী আসরে খেলা ঠিক হবে কিনা এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত। বিষয়টি তার ওপরই ছেরে দেয়া উচিত বলে মনে করেন সাবেক এই ক্রিকেটার। মোরে বলেন, 'শারীরিক ও মানসিক ভাবে ধোনি নিজে কেমন অনুভব করছে সেটা ওই জানে। ওর উপরই পরের আইপিএলে খেলার বিষয়টা নির্ভর করছে। ওর শরীর কি পরের আইপিএল খেলার ধকল নিতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে ভাল ধোনিরই জানা।' 'আইপিএলকে বিদায় জানাবে কি না, তা ধোনিই ঠিক করবে। যদিও ধোনির কাছে বয়স নিছকই একটা সংখ্যা। ক্রিস গেইলের বয়স ৪১। আর ওতো দারুণ খেলছে। আমাদের সামনে গেইলই সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আর ধোনির ক্ষমতায় সংশয় প্রকাশ করা একদম উচিত নয়। ও যদি খেলতে চায়, তবে খেলবে। তাই এই ব্যাপারটা ওর উপরই ছেড়ে দেওয়া ভাল।' মোরে মনে করেন টুর্নামেন্টের একটি আসরে খারাপ খেলাটা স্বাভাবিক বিষয়। একই সঙ্গে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন সদ্য শেষ হওয়া আসরের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে পরের আসরে দুর্দান্তভাবে ফিরের আসবে চেন্নাই। সাবেক এই উইকেটরক্ষকের ভাষ্যমতে, একটা বছর খারাপ যেতেই পারে চেন্নাইয়ের। সিএসকে ৩বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই একটা বছর ভাল খেলতে না পারাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। ধোনি হল কিংবদন্তি। সেটা ভুললে চলবে না। তিন বার আইপিএল ট্রফি জেতা মস্ত বড় রেকর্ড। ওরা নিশ্চয়ই নিজেদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ফিরবে।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || এবি ডি ভিলিয়ার্স; বোলারদের জন্য এক ত্রাসের নাম। হোক সেটা স্পিন কিংবা পেস। সাবেক প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যানের সেরা দিনে বোলাররা যেন বল ফেলার জায়গা খুঁজে পান না। ভিলিয়ার্সের মতো আর কেউ কি আছে? কিংবা আদৌ কি কখনও আসবে? তাঁর মতো কেউ আসবে কি আসবে না, সেই প্রশ্ন না হয় সময়ের হাতেই তোলা থাক। তবে ভারতের নতুন এক ডি ভিলিয়ার্সের সন্ধান পেয়েছেন হরভজন সিংহ। আনক্যাপড ক্রিকেটার সূর্যকুমার যাদবকে ভারতের এবি ডি ভিলিয়ার্স বলে আখ্যা দিয়েছেন এই স্পিনার। গেল কয়েক মৌসুম ধরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সূর্য্যকুমার। সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলের এবারের আসরে ১৬ ম্যাচে ৪০ গড়ে ও ১৪৫.০১ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৪৮০ রান। এছাড়া ২০১৮ ও ২০১৯ মৌসুমে যথাক্রমে ৫১২ ও ৪২৪ রান করেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই ব্যাটসম্যান। ইতোমধ্যে গৌতম গম্ভীর, টম মুডি, ইয়ান বিশপরা তাকে নিয়ে প্রশংসা করেছেন এবং তাদের আইপিএল সেরা একাদশে রেখেছেন। হরভজন বলেন, ‘সন্দেহ নেই যে সূর্যকুমার যাদব নিজেকে গেম-চেঞ্জার থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ উইনার হিসেবে রূপান্তরিত করেছে। সে তাদের (মুম্বাই) ব্যাটিংয়ের অনেক দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এমন হয় নয় যে সে ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলে, আপনি যদি তার স্ট্রাইক রেট দেখেন তবে সে প্রথম বল থেকেই মারতে শুরু করে।’ ‘সবধরনের শট খেলতে পারায় তাকে থামানো কঠিন। সে কভারের উপর দিয়ে খেলে, সুইপও ভাল খেলে, খুব ভাল স্পিন খেলে, আশ্চর্যজনকভাবে পেস বোলিংটাও ভালো খেলে। সে ভারতের এবি ডি ভিলিয়ার্স।’ আইপিএলে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে জায়গা পাননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে ৩০ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যানকে দলে নেয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন হরভজন। তবে দলে সুযোগ পেতে খুব বেশি সময় তাকে অপেক্ষা করতে হবে না বলে জানিয়েছেন ৪০ বছর বয়সি এই স্পিনার। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘আমার মনে হয় তাকে ভারতীয় দলে নির্বাচিত করা উচিত ছিল। এটি এখন ঘটেনি তবে সে এটি থেকে খুব বেশি দূরে নয়। সে দারুণ একজন খেলোয়াড়। সূর্যকুমার যাদব যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সে সবাইকে তাঁর দিকে আকৃষ্ট করেছে।’
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেই ক্রিকেটারদের ইনজুরির প্রকোপে নাজেহাল হয়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট প্ল্যাঙ্কেট শিল্ডে খেলার সময় ইনজুরির শিকার হয়েছিলেন ম্যাট হেনরি, হেনরি নিকোলস, আজাজ প্যাটেল, টিম সাউদি, নেইল ওয়াগনার এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ইনজুরির লম্বা এই তালিকা অবশেষে কমতে শুরু করেছে। সিরিজকে সামনে রেখে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন হেনরি নিকোলস। চলমান প্ল্যাঙ্কেট শিল্ডে দলে ফিরেছেন বাঁহাতি এই পেসার। পেশির ইনজুরির কারণে প্ল্যাঙ্কেট শিল্ডে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি নিকোলস। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরায় ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের চতুর্থ পর্বে ওটাগো ভোল্টসের বিপক্ষে ম্যাচে তাঁকে দলে রেখেছে সেন্টারবেরি। ২৮ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ইতোমধ্যেই নিউজিল্যান্ডের 'এ' দলের ১৬ জনের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে করোনা পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড। প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দুইটি টেস্ট খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৭ নভেম্বর ইডেন পার্কে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সিরিজটি। এরপর ২৯ এবং ৩০ নভেম্বর মাঠে গড়াবে পরবর্তী দুই ম্যাচ। দুইটি ম্যাচই হবে ওভালে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে সাদা পোষাকের লড়াইয়ে নামবে এই দুই দল। ৩ ডিসেম্বর থেকে হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। আর ১১ ডিসেম্বর ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে হবে দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লে অফকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) মুখোমুখি হয়েছিল লাহোর কালান্দার্স এবং মুলতান সুলতান্স। দুই দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করে অনুশীলন ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। প্রস্তুতি ম্যাচে মুলতানের বিপক্ষে ২ উইকেটে হেরেছে তামিমের লাহোর। দল জয় না পেলেও দলের হয়ে ৩৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন টাইগার এই ওপেনার। লাহোরের ৭ উইকেটের খরচায় ১৫৭ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুলতান। তামিমের সঙ্গে এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন দলের আরও তিন বিদেশী ক্রিকেটার; বেন ডাঙ্ক, ডেভিড ভিসা এবং সামিত প্যাটেল। এর ভেতর দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৩ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন প্যাটেল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে। অপরদিকে মুলতানের হয়ে ২৮ রানে দুই উইকেট নেন জুনায়েদ খান। রাভি বোপারা এবং মোহাম্মদ ইরফান নেন একটি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বোপারার ৩৮ (২৫), রোহাইল নাজিরের ২৭ এবং খুশদিল শাহের ২৪ (১৫) রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় মুলতান। লাহোরের হয়ে ১৪ রানের খরচায় দুই উইকেট নেন উসমান খান শেনওয়ারি। শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং ওয়ায়িস শাহ নেন একটি করে উইকেট। এর আগে পাকিস্তানে পৌঁছেই দুই দিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছিল জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। দেশ থেকে দুই দফা কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ প্রমাণিত হয়ে করাচি গিয়ে ফের দুই দফায় করোনা নেতিবাচক প্রমাণিত হয়ে মাঠে নেমেছিলেন দেশসেরা এই ওপেনার। তামিমের সঙ্গে
|| ডেস্ক রিপোর্ট || মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের শিরোপা উল্লাসের মধ্যে দিয়ে পর্দা নেমেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরের। ক্রিকফ্রেঞ্জির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো এবারের আইপিএলে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্স। এই টুর্নামেন্ট রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে আছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। এবারের আইপিএলের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। দলকে প্লে অফে তুলতে না পারলেও টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকাতে শীর্ষেই আছেন তিনি। ১৪ ম্যাচে মাঠে নেমে ১ সেঞ্চুরি ও ৫ হাফ সেঞ্চুরিতে ৬৭০ রান করেছেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। ৫৫.৮৩ গড় ও ১২৯.৩৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। ৫৮টি চার ও ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন রাহুল। রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপেনার শিখর ধাওয়ান। তার দল এবারের আসরে হয়েছে রানার্স আপ। প্রথমবারের মতো তাদের ফাইনাল খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ধাওয়ান। ১৭ ম্যাচ খেলে ৪৪.১৪ গড় ও ১৪৪.৭৩ স্ট্রাইক রেটে ৬১৮ রান করেছেন তিনি। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এবারের আসরে দুই সেঞ্চুরি করেছেন দিল্লি ওপেনার। পাশাপাশি পেয়েছেন চার হাফ সেঞ্চুরি। ৬৭ চার ও ১২ ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে। তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলপতি ডেভিড ওয়ার্নার। ১৬ ম্যাচে খেলে এই ওপেনার ৩৯.১৪ গড় এবং ১৩৪.৬৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫৪৮ রান। ৪ টি হাফ সেঞ্চুরি পেলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি এই অজি ক্রিকেটার। ৫২ চার ও ১৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন ওয়ার্নার। চতুর্থ স্থানে আছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ১৭ ম্যাচ থেকে ৩৪.৬০ গড়ে ৫১৯ রান করেছেন তিনি। কোনো সেঞ্চুরি না পেলেও পেয়েছেন তিন হাফ সেঞ্চুরি। ৪০ চার ও ১৬ ছক্কা হাঁকিয়েছেন আইয়ার। তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন মুম্বাইয়ের তরুণ ব্যাটসম্যান ঈশান কিশান। ১৩ ইনিংস থেকে ৫১৬ রান করেছেন তিনি। ৩৬ চারের সঙ্গে ৩০টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই তরুণ।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || করোনা বিরতির পর জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থেকে ইতোমধ্যে দুটি সিরিজ খেলে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাভাবিকভাবেই জৈব সুরক্ষা বলয় এবং জৈব সুরক্ষিত পরিবেশ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা বেশ স্পষ্ট। কিন্তু তারপরও নিউজিল্যান্ড সফরে থাকাকালীন কোয়ারেন্টাইন প্রটোকল ভেঙেছেন ক্যারিবীয় দলের ৫-৬ জন সদস্য। যার খেসারত হিসেবে আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সুবিধার্থে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সে নিয়ম ভঙ্গ করে সামাজিক মেলামেশা করতে দেখা গেছে ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মভঙ্গ করা সদস্যদের ইতোমধ্যেই আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সকল প্রকার অনুশীলন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, 'তদন্ত করে দেখা গেছে, তাদের দলের কয়েকজন সদস্য প্রতিনিয়ত কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভাঙছেন। তাদের নিয়ম ভাঙার প্রমাণ সিসিটিভিতে পাওয়া গেছে, অভিযোগ দিয়েছেন হোটেলের কর্মচারিরাও।' এ বিষয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ক্রাইস্টচার্চে একাধিকবার কোয়ারেন্টিনের নিয়ম না মেনে সামাজিক মেলামেশা করেছেন। হোটেলের হলরুমে তাদেরকে একসঙ্গে খাবার খেতেও দেখা গেছে। ফলে কোয়ারেন্টিনের বাকি সময়টায় তারা আর অনুশীলন সুবিধা পাচ্ছেন না, যা শেষ হচ্ছে শুক্রবার।' কোয়ারেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষও। এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, 'ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে খবর এসেছে কিছু সদস্য কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। আমরা এই নিয়ম মানার ব্যাপারে কঠোর অবস্থায় আছি। তাদের এমন আচরণে আমরা মর্মাহত।' আগামী ২৭ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুই দলের ২২ গজের লড়াই। তিনটি টি-টোয়েন্টির পর ৩ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ১১ ডিসেম্বর থেকে দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে দুই দল।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || কোটি ক্রিকেট ভক্তের পছন্দের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তাই বলে কি সাকিবের পছন্দের ক্রিকেটার থাকবে না! বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারেও পছন্দের ক্রিকেটার রয়েছেন। পাকিস্তানের কিংবদন্তী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ারকে সবসময়ের জন্যই পছন্দের ক্রিকেটার মানেন সাকিব। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে জন্ম সাঈদ আনোয়ারের। জাতীয় দলের হয়ে ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩০২ টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যেখানে টেস্টে ১১ টি ও ওয়ানডেতে ২০ টি সেঞ্চুরি সহ মোট ১২৮৭৬ রান সংগ্রহ করেছেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের কোন ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি এখনো তার দখলে। এমনকি ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ১৯৪ রানের ইনিংসটি ছিল তার সময়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও। এতসব অর্জনের কারণেই সাঈদ আনোয়ার যে কারোরই পচ্ছন্দের ক্রিকেটার হবার কথা। কিন্তু সাকিব তো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার পছন্দ মানেই সেটা স্পেশাল ওয়ান। অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটার মাধ্যম 'দারাজে'র একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞা শেষে দেশে ফিরে উপস্থাপিকা যেন মুখোমুখি হলেন নির্ভার এক সাকিবের। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে জানতে চাওয়া হয় দেশ সেরা অলরাউন্ডারের পচ্ছন্দের ক্রিকেটার কে? উত্তরে সাকিব বলেন, 'বর্তমানে বিরাট কোহলি বা এবি ডি ভিলিয়ার্সের খেলা ভালো লাগে। তবে আমার অলটাইম ফেবারিট সাঈদ আনোয়ার।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || বাংলাদেশের সর্বকালের সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। মাশরাফীর অধিনায়কত্বের অধ্যায়ের অবসানের পর ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুরুভার বর্তায় তামিম ইকবালের ওপর। কিন্তু তামিমের পরে কে হাল ধরবেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের? দেশের ক্রিকেটভক্তদের মনে এই প্রশ্ন বহুদিনের। তামিমের উত্তরসূরী যেই হন না কেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ভবিষ্যৎ নেতৃত্বগুণ খুঁজে পেয়েছেন তিন তরুণের উপর! লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অথবা নাজমুল হাসান শান্ত এই তিনজনের কেউকেই বাংলাদেশের ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করতে দেখতে চান তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় নিজেও একটা সময় দেশের সীমিত ওভারের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ বাংলাদেশ ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশকে ৪-০ তে সিরিজ জিতিয়েছেন। এমনকি ২২ বছর ১১৫ দিন বয়সে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কও তিনি। খেলায় আরো মনোযোগ বাড়াতে ২০১১ সালে অধিনায়কত্বের গুরুভার ছেড়ে দেন সাকিব। এরপর থেকেই ব্যাটে ও বলে সমানতালে পারফরম্যান্স করে নিজেকে তো চিনিয়েছেনই একই সঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের নামও উজ্বল করেছেন। সাকিবের পর এতদিন মাশরাফি সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্সের কারনে চলতি বছরের ৮মার্চ অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। আইসিসির দেয়া ১বছরের নিষেধাজ্ঞার কারনে সাকিবকে অধিনায়ক ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। ফলে বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব অর্পণ করা হয় তামিমের ওপর । বর্তমানে তামিমের উপর আস্থা রাখছেন সাকিব। তবে তামিমের পরে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে লিটন, মোসাদ্দেক বা শান্তর মধ্যেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটার মাধ্যম 'দারাজের' একটি অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিব বলেন, 'অনেকেরই সম্ভাবনা দেখি আমি অধিনায়ক হওয়ার। তবে আমার কাছে মনে হয় লিটন, মোসাদ্দেক বা শান্ত এই তিনজনের কেউ হলে ভালো করবে।' বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে তামিমের উদ্বোধনী জুটিতে বর্তমানে যোগ্য সঙ্গি লিটন। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। ৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৩৬ টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। যেখানে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ ১৭৬ রানে রেকর্ডটিও তাঁর দখলে। এছাড়া বয়সভিত্তিক দলে নিয়মতি মুখ ছিলেন লিটন। ২০১২ ও ২০১৪ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলেও খেলেছিলেন তিনি। ফলে তামিমের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে নিঃসন্দেহেই এগিয়ে থাকবেন ২৬ বছর বয়সী এই নান্দনিক ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটা মোসাদ্দেক এ পর্যন্ত ৩৫ টি ওয়ানডে খেলেছেন। এছাড়াও বয়সভিত্তিক দলেও ছিলেন নিয়মিত মুখ। অনুর্ধ্ব-১৯ দলে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। তাইতো তামিমের পর ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের মধ্যেও নেতৃত্বগুণ খুঁজে পেয়েছেন সাকিব। শান্ত বাংলাদেশ দলে নিয়মিত না হলেও বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান ধরা হয়। ২০১৮ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর এ পর্যন্ত দেশের হয়ে ৫টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। এছাড়া ২০১৪ ও ২০১৬ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া প্রেসিডেন্টস কাপে তার নেতৃত্ব নজর কেড়েছে সবার। তার দলে মুশফিকের মত অভিজ্ঞ অধিনায়ক থাকার পরেও দায়িত্বভার নিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছেন। এছাড়াও ঘরোয়া লিগে অন্যতম সেরা পারফর্মারও এই ২২ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। লিটন ও মোসাদ্দেকের পর তাই শান্তরও সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়ার। এই তিন তরুণে সাকিব নেতৃত্বের সম্ভবনা দেখলেও সময়ই হয়ত বলে দেবে কে হতে যাচ্ছেন ওয়ানডেতে তামিমের উত্তরসূরী।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। চলতি মাসে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আবারও ক্যাঙ্গারুদের দেশে যাচ্ছে কোহলিরা। তবে এবারের সফরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় অধিনায়ককে পাওয়া গেলেও পাওয়া যাবে না পুরো টেস্ট সিরিজে। সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতে অস্ট্রেলিয়া সফরে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে একটি মাত্র টেস্ট খেলে দেশে ফিরবেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার। পুরো টেস্ট সিরিজে কোহলি না থাকায় সহজেই সিরিজ জিতবে বলে মন্তব্য করেছেন মাইকেল ভন। এক টুইটবার্তায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারিতে সন্তানের মুখ দেখবেন তিনি। কদিন আগেই ঘরে নতুন অতিথি আসার খবর কোহলি নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশিচত করেছেন। ওই সময়টায় স্ত্রীর পাশে থাকতে ছুটি চেয়ে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কাছে আবেদন করেন তিনি। তাঁর ছুটিও মঞ্জুর করেছে বিসিসিআই। কোহলির ছুটির বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক। ভন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সফরে কোহলি তিন টেস্টের জন্য নেই। প্রথম সন্তানের জন্মের সময়টার জন্য এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। তার মানে অস্ট্রেলিয়া খুব সহজেই সিরিজটি জিতবে।’ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে গোলাপি বলের টেস্ট দিয়ে শুরু হবে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে হবে দিবারাত্রির ম্যাচটি। দ্বিতীয় টেস্ট হবে ২৬ ডিসেম্বর, মেলবোর্নে। তৃতীয় টেস্ট ৭ জানুয়ারি, সিডনিতে। সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট হবে ১৫ জানুয়ারি, গ্যাবাতে। টেস্ট স্কোয়াড: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, পৃথ্বী শ্বো, লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পুজারা, আজিঙ্কা রাহানে (সহ-অধিনায়ক), হনুমান বিহারি, শুভমান গিল, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রিষভ পন্ত (উইকেটরক্ষক), জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব, নবদীপ সাইনি, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্র অশ্বিন এবং মোহাম্মদ সিরাজ।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || গেল সোমবার ফিটনেস টেস্ট দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি সাকিব আল হাসানের। অবশেষে বুধবার দিলেন তিনি তাঁর ফিটনেসের প্রমাণ। যেখানে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩.৭ পয়েন্ট অর্জন করেছেন দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার। বুধবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিপ টেস্টে ১৩.৭ স্কোর তুলে সাকিব ছাড়িয়ে গেছেন গেল তিন দিন ধরে টেস্ট দেয়া সবাইকে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপকে সামনে রেখে ১১৩ জন ক্রিকেটারের ফিটনেস টেস্ট নিচ্ছে বিসিবি। যেখানে উতরাতে পারলেই মিলবে টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ। তবে প্রেসিডেন্টস কাপে অংশ নেয়া ২৭ ক্রিকেটারের এই পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব আল হাসানেরও দেয়া লাগছে ফিটনেস টেস্ট। সাকিবের বিপ টেস্ট দেওয়ার কথা ছিল গেল সোমবার (৯ নভেম্বর)। কিন্তু ট্রেনারের সঙ্গে পরামর্শ করে সেটি বিপ টেস্ট দেওয়ার সময় পিছিয়ে বুধবার নির্ধারণ করেন তিনি। বুধবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় মিরপুর ইনডোরে বিপ টেস্টে অংশ নেন দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার। যেখানে সাকিব ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। বিপ টেস্টের প্রথমদিন সোমবার সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছিলেন নিহাদুজ্জামান; ১৩.৪। দ্বিতীয় দিন পেসার মেহেদী হাসান তোলেন ১৩.৬। আর তৃতীয় দিনে সবাইকে বাজিমাত করে দিলেন সাকিব। ১৩.৭ তুলে জানান দিলেন তিনিই সেরা। লম্বা সময় ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও নিজের ক্রিকেটীয় স্বত্ত্বার কোনো পরিবর্তন হয়নি তা এই বিপ টেস্টের মাধ্যমেই জানান দিলেন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। একই সঙ্গে জানান দিলেন দুর্দান্ত ভাবেই ফিরে আসবেন তিনি সে কথাও।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || শিরোনাম শুনে একটু অবাক হবারই কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। তার চরিত্রে কাকে বেশি মানাবে? শাকিব খান, আরেফিন শুভ নাকি সিয়াম আহমেদ? কার সঙ্গেই বা বেশি মিল বাস্তবের সাকিবের? নাহ, চেহারার মিল নয়! সাকিবের বায়োপিকে অভিনয় করতে হলে তার মতই বাঁহাতি হতে হবে অভিনেতাকে। আপনি বা আমি নই স্বয়ং সাকিবই চাচ্ছেন! স্রেফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে নিয়ে বানানো বায়োপিকে অভিনয় করুক বাম হাতে ব্যাট ও বলে সমান পারদর্শী কোন রূপালী পর্দার হিরো! চাবেনই না বা কেন? এই সাকিব তো আর সাধারণ কোন মানুষ নন। জীবনের কত রঙই না দেখে ফেলেছেন এই মানুষটা। কতবার বিতর্কে হোঁচট খেয়ে আবারো বীরদর্পে ফিরে এসেছেন তিনি। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে বিসিবি ও আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত কাটিয়েছেন। বিশ্বকাপে অতিমানবীয় কিছু উপহার দিয়েছেন এ দেশের মানুষকে। কত হারতে বসা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন একাই। এই সাকিবকে একটা চরিত্রে ফুটিয়ে তোলা কি আসলেই সম্ভব? তাই হয়ত বাকি চরিত্র বাদ দিয়ে তার মতই বাঁহাতে ব্যাট ও বলে ছড়ি ঘোড়ানো কোন অভিনেতাকেই পচ্ছন্দ সাকিবের। বছরের ১১ তম মাসের ১১তারিখ। অলাইনভিত্তিক কেনাকাটার মাধ্যম 'দারাজ' এর ১১.১১ বিগেস্ট সেল অফারের ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডার। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উপস্থাপিকা তাকে প্রশ্ন করে বসেন, নিজেকে নিয়ে বানানো বায়োপিকে বাংলাদেশের কোন তারকা অভিনেতাকে দেখতে চান সাকিব। ব্যাটে বলে কৌশলি সাকিব উত্তরটাও যেন দিলেন বেশ সুকৌশলে। তিনি বললেন, 'যে বাম হাতে ব্যাট করতে পারবে ও বল করতে পারবে। কেননা বায়োপিক করতে হলে তো নূন্যতম বাম হাতে ব্যাট ও বল করতে পারতে হবে।' কিন্তু নির্দিষ্ট অভিনেতার নাম শুনতে চান উপস্থাপিকা। এবার তাই নিজেই ঠিক করে দিলেন বর্তমানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় তিন অভিনেতাকে। শাকিব খান, সিয়াম আহমেদ নাকি আরেফিন শুভ... সুকৌশলী সাকিব এবার কিছুটা দ্বিধান্বিত হয়ে উত্তর দিলেন, 'এনাদের মধ্যে কি কেউ বাঁহাতে ব্যাট অথবা বল করতে পারেন? আমার ধারণা পারেন না!' তাই বোঝাই যাচ্ছে সাকিবের বায়োপিকে অভিনয় করতে বেশ বেগ পেতে হবে অভিনেতা এমনকি পরিচালককেও। তবে তার আগে নিষেধাজ্ঞা থেকে আরো ধারালো হয়ে ফিরে আসুক বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || একপেশে ফাইনাল। একপেশে চাপ। রোমাঞ্চ নেই, উত্তেজনাও। সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা হয়নি দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের। আরও একবার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো তাদেরও। তাতে আরেকবার রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ফাইনাল; চাপ? উদাহরণ দরকার? ম্যাচের প্রথম বল করলেন ট্রেন্ট বোল্ট, বলটা লাফিয়ে উঠলো। ব্যাটের কানায় লেগে বল গেল ডি ককের হাতে। চাপে হার মানলেন মার্কাস স্টয়নিস। ব্যাট তুলতে ভুলে গেলেন হয়তো, ঠিকঠাক চালাতেও পারলেন না। ফাইনালের প্রথম বলেই উইকেট পেলেন বোল্ট। চাপ পড়লো দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপর। তার প্রমান দেন রাহানেও, বোল্টের পরের ওভারেই। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট লাগিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। যেন তিনি বুঝতে পারেননি ব্যাটটা আসলে চালানো উচিত হয়নি। চাপ বাড়লো আরেকটু। দিল্লির ওপর, ধাওয়ানেরও। তিনি তাই আউট হলেন আসরে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা জয়ন্ত যাদবের বলে। ১৩ বল থেকে মাত্র ১৫ রান করে। চাপ তখন পুরো গ্রাস করছে দিল্লিকে। ফাইনালের, দ্রুত উইকেট হারানোর। চাপে হারিয়ে যাওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক ছিল তখন। সেটা হতে দেননি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার, রিশাভ পন্তকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ইনজুরি আক্রান্ত কাঁধে সব চাপের ভার বইলেন। পন্ত খেললেন মেরে। ৪ চার আর ২ ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন কোল্টার নাইলের বলে। আয়ার সেটা হলেন না, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন। তবে যতটা আশা দেখিয়েছিলেন, ততটা নিতে পারলেন না দলের সংগ্রহ। তাতে অবশ্য বড় কৃতিত্ব বুমরাহ-কোল্টারদের ডেথ বোলিংয়ের। শ্রেয়াস ব্যক্তিগত ভাবে করলেন ৫০ বলে ৬৫ রান। দিল্লি থামলো ১৫৬ রানে, ৭ উইকেট হারিয়ে। ১৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা মুম্বাইকে চাপটা ফিরিয়ে দিতে চাইলেন দিল্লি অধিনায়ক আইয়ার। প্রথম ওভারেই অশ্বিনকে এনে চমকে দিতে চাইলেন রোহিতকে। প্রথম দুই বলে সমীহ দেখালেও তৃতীয় বলে চাপটা ফিরিয়ে দেন আবার দিল্লিকে, ছক্কা হাঁকিয়ে। এরপর আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে। স্টয়নিস প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন। বল হাতে এসে প্রথম বলে আউট করেন ডি কককে। সেই কিপারের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। রোহিতের জন্য নিজের উইকেট বিসর্জন দেন সূর্যকুমার যাদব। শেষে এসে অধিনায়কের সঙ্গে ম্যাচ জেতান ঈশান কিশান। তবে তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। দিল্লির ওপর থেকে চাপ সরেনি। মুম্বাইয়ের ওপর চাপ পড়েনি আর। তারা ম্যাচ জিতেছে সহজেই। ৫ উইকেটের ব্যবধানে। আরেকবার শিরোপা উল্লাসে করেছে মুম্বাই; রোহিত শর্মা; জয়বার্ধানে। আর হতাশা সঙ্গী করে ফের টু্র্নামেন্ট শেষ হয়েছে দিল্লির। আগের এগারো বার ফাইনালই খেলতে পারেনি। এবার পারলেও শিরোপাটা রয়ে গেছে অধরাই। প্রথম বলে বোল্টের দেয়া সেই চাপের ফলই কি? হয়তো, হয়তো না। তবে চাপ কখনো কখনো সমীকরণ বদলে দেয়। দুর্দান্ত দলকে নাজেহাল করে ছাড়ে। দিল্লির ক্ষেত্রে হয়তো তেমন কিছুই হয়েছিল। মুম্বাই তাই শিরোপা লড়াইটা সহজেই জিতলো। সংক্ষিপ্ত স্কোর: দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৫৬/৭ ( ওভার ২০) (আইয়ার ৬৫*, পন্ত ৫৬; বোল্ট ৩/৩০, কোল্টার নাইল ২/২৯) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৫৭/৫ (ওভার ১৮.৪) (রোহিত ৬৮, কিশান ৩৩*; নরকিয়া ২/২৫)
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩তম আসরের শিরোপা জয়ের মিশনে বুধবার (১০ নভেম্বর) মাঠে নামবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হবে ম্যাচটি। ৫ বার আইপিএলের ফাইনাল খেলে ৪ বার শিরোপাজয়ী মুম্বাই মুখোমুখি হবে প্রথম বার ফাইনালে ওঠা দিল্লির। লিগ পর্বের লড়াইয়ে এক এবং দুই নম্বর দলের মধ্যে ফাইনাল হলেও দিল্লির ফাইনালে ওঠার পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। চলতি আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রেয়াশ আইয়ারের দল মুখোমুখি হয়েছিল লোকেশ রাহুলের কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের। সেই ম্যাচে সুপার ওভারে পাওয়া জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল রিকি পন্টিংয়ের শীষ্যদের। প্রথম ৬টা ম্যাচের মধ্যে ৫টিতেই জয়। কিন্তু হুট করেই টুর্নামেন্টের মাঝপথে দুর্যোগের কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা দেয় দিল্লি শিবিরে। ইনজুরির কারণে অমিত মিশ্র, ইশান্ত শর্মাকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুতে গড়া শক্ত ভীতটা কিছুটা নড়বড়ে হয়ে যায় তাঁদের। যার ফলশ্রুতিতে একের পর এক ম্যাচ হারতে থাকে আইয়ার এন্ড কোং। তবে শিখর ধাওয়ান, রাবাদা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের প্রচেষ্টায় লড়াইয়ে ফিরে তাঁরা। শেষ পর্যন্ত বাঁচা মরার ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপার হাতছানি দেখছে আইয়ারের দিল্লি। অপরদিকে ফাইনালের চাপের সঙ্গে অভস্ত্য মুম্বাই মাঠে নামছে তাঁদের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। পাঁচ বারের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আজ দিল্লির বিপক্ষে তাঁদের এগিয়ে রাখবে অনেকাংশেই। একই সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে রয়েছে চলতি টুর্নামেন্টে দিল্লির বিপক্ষে একবারও না হারার তৃপ্তি। রোহিতের মুম্বাইয়ের টুর্নামেন্টের শুরুটা হয় ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে। যদিও পরবর্তি ম্যাচগুলোতে এই হারের ছাপ ছিটেফোঁটাও পড়েনি। দ্বিতীয় ম্যাচেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৪৯ রানের দাপুটে জয় তুলে নেয় গেল বারের শিরোপাজয়ীরা। লিগের ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে প্লে অফে নিজেদের জায়গা পাকা করে তারা। ফাইনালে দিল্লির হয়ে স্পটলাইটে থাকছেন দলের অভিজ্ঞ ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং পেসার কাগিসো রাবাদা। দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনিই। ১৬ ম্যাচে তিনি করেছেন ৬০৩ রান, গড় ৪৬.৩৮। ফাইনালে ৬৮ রান করতে পারলে কমলা টুপি জেতার সুযোগ রয়েছে তাঁর। আর প্রোটিয়া পেসার রাবাদা এই মুহূর্তে ১৬ ম্যাচে শিকার করেছেন ২৯ উইকেট। অপরদিকে মুম্বাইয়ের তরুণ ঈশান কিষাণ, অভিজ্ঞ কুইন্টন ডি’ককের ফর্ম যেমন মজবুত করেছে ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টকে, ঠিক তেমনই ট্রেন্ট বোল্ট এবং যশপ্রিত বুমরাহ কাঁধে তুলে নিয়েছেন বোলিং ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব। ১৩ ম্যাচে ৫৩.৬৬ গড়ে ঈশানের সংগ্রহ ৪৮৩ রান। আর ওপেনার ডি কক করেছেন ৪৮৩ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর ব্যাটে ঢেকে গেছে দলপতি রোহিত শর্মার অফ ফর্মও। ১৪ ম্যাচে ২৭ উইকেট শিকার করে চলতি টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেটশিকারির তকমা জেতার দৌড়ে রয়েছেন বুমরাহ। অন্য দিকে বোল্ট নিয়েছেন ২২টি উইকেট। আর এই দুই বোলার প্রায় প্রতি ম্যাচেই ত্রাস হয়ে উঠেছেন প্রতিপক্ষের কাছে। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা। শিরোপা ওঠে কার হাতে। শেষ হাসিটা কি হাসতে পারবেন রোহিত শর্মা? না প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলবে আইয়ারের দিল্লি। উত্তরটা পাবার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত। সম্ভাব্য একাদশ: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: রোহতি শর্মা (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, ঈশান কিষাণ, হার্দিক পান্ডিয়া, কাইরন পোলার্ড, ক্রুনাল পান্ডিয়া, নাথান কুল্টার-নাইল, ট্রেন্ট বোল্ট, যশপ্রিত বুমরাহ। দিল্লি ক্যাপিটেলস: শিখর ধাওয়ান, মার্কাস স্টোইনিস, আজিঙ্কা রাহানে, শ্রেয়াশ আইয়ার (অধিনায়ক), শিমরন হেটম্যায়ার, ঋষভ পন্ত (উইকেটরক্ষক), অক্ষর প্যাটেল, প্রবীণ ডুবে/হার্শাল প্যাটেল, কাগিসো রাবাদা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, এনরিক নরকিয়া।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। বিশ্বের সব নামীদামি তারকা ক্রিকেটারের পসরা সাজানো হয় জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টটিতে। যাকে ঘিরে থাকে দর্শকদের ব্যপক উত্তেজনা, উন্মাদনা। দর্শক এমনকি জনপ্রিয়তা সব দিক দিয়েই আইপিএল অনান্য ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের সকল ক্রিকেটারই স্বপ্ন থাকে আইপিএল খেলার। প্রায় আড়াইমাস শ্রেষ্ঠত্বের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে চলে আইপিএলের আটটি দল। উত্তেজনায় ঠাসা এক একটি ম্যাচ নিঃসন্দেহেই আইপিএলকে বাকিসব টুর্নামেন্টগুলোর থেকে অনন্য করে তুলেছে। তাইতো আইপিএল ফাইনালকে উত্তেজনায় ঠাসা একটি ম্যাচ বলে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ও আইপিএলের এবারের আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অন্যতম ব্যাটসম্যান কাইরন পোলার্ড। এছাড়াও করোনা ভাইরাসের কারনে দর্শশূন্য স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলাকে নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবেও দেখছেন তিনি। মুম্বাইয়ের অফিশিয়াল টুইটারের একটি ভিড়িওতে পোলার্ড বলেন, 'অবশ্যই ফাইনালে দর্শক শূন্যতা নতুন অভিজ্ঞতা।' 'তবে এটার গুরুত্ব উপভোগ করা উচিত। এটি আইপিএল ফাইনাল। এটি বিশ্বকাপ ফাইনালের পরেই অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল।' ফাইনাল ম্যাচ মানেই খেলোয়াড়দের ভেতর উপস্থিতি দেখা যায় বাড়তি চাপের। তবে ফাইনালের চাপ সামলে পরিবেশটাকে উপভোগ করতে চান পোলার্ড। একই সঙ্গে দিল্লির বিপক্ষে ফাইনালে জিততে বেশ আত্নবিশ্বাসীও তিনি। এ বিষয়ে পোলার্ড আরো বলেন, 'ফাইনালে খেলা মানেই বাড়তি চাপ। প্রত্যেকেই এই চাপটা সামলাতে হয়। আপনি জিততে চাইবেন কখনোই ভুল করতে চাইবেন না। কিন্তু দিন শেষে ফাইনালটাকে আপনার সাধারণ খেলা হিসেবেই নিতে হবে। ফাইনালে নিজেকে এবং পরিবেশটাকে উপভোগ করতে হবে।'