|| ডেস্ক রিপোর্ট || ফিক্সিংয়ের ভূত যেন পিছুই ছাড়ছে না পাকিস্তান ক্রিকেটের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাবা বসিয়ে এবারে ফিক্সারদের নজর পড়েছে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগে। সম্প্রতি লিগের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন এক জুয়াড়ি। আর এটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানিয়েছেন ওই ক্রিকেটার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পরিচালক লেঃ কর্নেল আসিফ মাহমুদ (অব)। সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে আসিফ জানিয়েছেন, পিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ ইতোমধ্যে তদন্ত চালিয়েছে। বিষয়টি তাদের কাছে জানানোয় ওই ক্রিকেটারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। আসিফ বলেন, ‘পিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের আইন অনুসরণ করে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আমাদের কাছে তুলে ধরার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।’ জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে পিসিবির কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন বিভাগকে (আকসু) না জানানোর কারণে দেড় বছরের নিষেধাজ্ঞায় আছেন উমর আকমল। এর আগে এমন প্রস্তাব পেয়ে পিসিবি ও আকসুকে না জানিয়ে ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ছিলেন পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। সেই তালিকায় রয়েছেন সেলিম মালিক, মোহাম্মদ আমির ও দানিশ কানেরিয়া, নাসির জামশেদ, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের মতো তারকা ক্রিকেটারদের নাম। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আমির ফিরলেও ফেরা হয়নি বাকিদের।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || প্রেসিডেন্টস কাপের তৃতীয় ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে তামিম একাদশ এবং নাজমুল একাদশ। এই মুহূর্তে টসে হেরে ব্যাট করছে তামিম একাদশ। প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত তাঁদের সংগ্রহ ৩২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান। মিডল অর্ডারে ধ্বস: তামিমের বিদায়ের পর মন্থর ব্যাটিংয়ে দলকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করছিলেন মোসাদ্দেক এবং দিপু। দুজন মিলে দলকে ১০০'র ওপর নিয়ে গেলেও ৮৬ বলে জুটি গড়েন ৪০ রানের। মোসাদ্দেক ৪৬ বলে ১২ করে রিশাদের বলে ফিরলে পরের ওভারে ২ রান করে ফেরেন আকবর আলী। এরপরের ওভারে রিশাদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন দিপু। এই তরুণ করেন ৩১ রান। নাঈমের দুই উইকেট: বিজয়ের বিদায়ের পর তামিম ইকবালকে বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুনও। নাঈম হাসানের বলে ৪ রান করে বোল্ড হন তিনি। এরপর দলীয় ৬৫ রানে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে নাঈমের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। ফিরলেন বিজয়ও: ১৪ রানে ওপেনার তানজিদকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩০ রান যোগ করেন তামিম এবং এনামুল। তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন এনামুল। ১০ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। ছোট তামিমের বিদায়: প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদের বিপক্ষে ৬ রান নিয়ে ওভার শেষ করেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে আল আমিন হোসেনকে পুল করে রানের খাতা খোলেন তানজিদ তামিম। চতুর্থ বলে দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে আরও একটি বাউন্ডারি মারেন এই তরুণ। কিন্তু পঞ্চম বলে আবারও পুল করতে গিয়ে নাঈম হাসানকে ক্যাচ দিয়ে বসেন তানজিদ। ৫ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে তামিমকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন আনামুল হক বিজয়। সংক্ষিপ্ত স্কোর: তামিম একাদশঃ ১১০/৭ (৩২ ওভার) নাজমুল একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন, মুকিদুল ইসলাম, নাইম হাসান, রিশাদ হোসেন। তামিম একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, শাহাদাত হোসেন দিপু, এনামুল হক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, আকবর আলী।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || উইকেটরক্ষক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির জুড়ি মেলা ভার। ফিনিশার হিসেবে সুনাম কুড়ানোর পাশপাশি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক হিসেবে। ৮২৯ ডিসমিসাল নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের তালিকায় তিনে রয়েছেন ভারতের সাবেক এই উইকেটরক্ষক। পারফরম্যান্সের দিক থেকে পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কামরান আকমল রয়েছেন ধোনি, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট মার্ক বাউচার, কুমার সাঙ্গাকারার মতো তারকাদের চেয়ে ঢের পেছনে। তবে সম্প্রতি সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন আকমল। গড়েছেন এক অনন্য কীর্তি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে ১০০ স্ট্যাম্পিং করেছেন পাকিস্তানি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে মধ্য পাঞ্জাবের হয়ে খেলতে নেমে দক্ষিণ পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৩৮ বছর বয়সী আকমল এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষকের এমন কীর্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এক টুইট বার্তায় তারা লিখেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে ১০০ স্টাম্পিং। এমন দুর্দান্ত অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন কামরান আকমল!' টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৮৪ স্টাম্পিং নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ধোনি। ৬০ টি স্টাম্পিং করে তৃতীয় শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। চারে দীনেশ কার্তিক (৫৯) এবং পাঁচে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ (৫২)। যদিও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও শীর্ষে আছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ধোনি। ৯৮ ম্যাচে ৩৪টি স্ট্যাম্পিং করে সবার উপরে তিনি। ৫৮ ম্যাচে ৩২ স্ট্যাম্পিং নিয়ে দুইয়ে আকমল, তিনে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম (২৯), চারে শাহজাদ (২৮) এবং পাঁচে সাঙ্গাকারা (২০)।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || দুজন দুই মেরুর মানুষ। একজন ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, অন্যজন ফুটবলের সেরা কোচদের একজন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওয়ালা একসঙ্গে এসেছিলেন লাইভে। সেখানেই ভারতীয় অধিনায়কের কাছ থেকে ক্রিকেট বুঝতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন গার্দিওয়ালা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইসিএল) দল মুম্বাই সিটি এফসির ৬৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে সিটি ফুটবল গ্রুপের কাছে। একই গ্রুপের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। তাই সিটি ফুটবল গ্রুপের কাজে ভারতে আসার কথা রয়েছে গার্দিওয়ালার। এখানে এসেই কোহলির কাছ থেকে ক্রিকেট খেলা বুঝতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। তিন দিন খেলেও ড্র হয়, এমন খেলাকে সিটি কোচ বলছেন খুবই জটিল। তিনি বলেন, 'আমি কখনো ভারতে যাইনি। মহামারি শেষ হলে হয়তো আমি যাবো। এবং যদি আমরা একসঙ্গে হই তুমি আমাকে ক্রিকেটের নিয়ম শেখাবে। এটা খুবই কঠিন জটিল ও কঠিন একটা খেলা।' 'আমি কাতালুনিয়াতে জন্ম নিয়েছি, যেখানে ক্রিকেট খেলা হয় না। কিন্তু ইংল্যান্ডে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলা। আমি টিভিতে মাঝেমধ্যে দেখি আমার কিছু বন্ধুও আছে যারা ক্রিকেট খেলে। তোমরা টানা তিন দিন খেলো, এরপরও এটা ড্র হয়। আমি এটা বুঝতে পারি না।' যোগ করেন গার্দিওয়ালা। মাঠে দর্শক ছাড়া খেলাতেও মজা পাচ্ছেন না গার্দিওয়ালা। তিনি বলেন, 'সবকিছু ঠিকভাবে চলছে কিন্তু আমাদের দর্শকদের ফেরাতে হবে। এটা একেবারেই আলাদা খেলা, পুরো স্টেডিয়াম খালি। খারাপ মুহূর্ত নেই, ভালো মুহূর্তও নেই।'
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || প্রেসিডেন্টস কাপের তৃতীয় ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে তামিম একাদশ এবং নাজমুল একাদশ। এই মুহূর্তে টসে হেরে ব্যাট করছে তামিম একাদশ। প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত তাঁদের সংগ্রহ ১৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান। নাঈমের দুই উইকেট: বিজয়ের বিদায়ের পর তামিম ইকবালকে বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুনও। নাঈম হাসানের বলে ৪ রান করে বোল্ড হন তিনি। এরপর দলীয় ৬৫ রানে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে নাঈমের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। ফিরলেন বিজয়ও: ১৪ রানে ওপেনার তানজিদকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩০ রান যোগ করেন তামিম এবং এনামুল। তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন এনামুল। ১০ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। ছোট তামিমের বিদায়: প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদের বিপক্ষে ৬ রান নিয়ে ওভার শেষ করেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে আল আমিন হোসেনকে পুল করে রানের খাতা খোলেন তানজিদ তামিম। চতুর্থ বলে দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে আরও একটি বাউন্ডারি মারেন এই তরুণ। কিন্তু পঞ্চম বলে আবারও পুল করতে গিয়ে নাঈম হাসানকে ক্যাচ দিয়ে বসেন তানজিদ। ৫ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে তামিমকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন এনামুল হক বিজয়। সংক্ষিপ্ত স্কোর: তামিম একাদশঃ ৭৩/৪ (১৮ ওভার) নাজমুল একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন, মুকিদুল ইসলাম, নাইম হাসান, রিশাদ হোসেন। তামিম একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, শাহাদাত হোসেন দিপু, এনামুল হক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, আকবর আলী।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || প্রেসিডেন্টস কাপের তৃতীয় ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে তামিম একাদশ এবং নাজমুল একাদশ। এই মুহূর্তে টসে হেরে ব্যাট করছে তামিম একাদশ। প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত তাঁদের সংগ্রহ ৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান। ফিরলেন বিজয়ও: ১৪ রানে ওপেনার তানজিদকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩০ রান যোগ করেন তামিম এবং এনামুল। তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন এনামুল। ১০ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। ছোট তামিমের বিদায়: প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদের বিপক্ষে ৬ রান নিয়ে ওভার শেষ করেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে আল আমিন হোসেনকে পুল করে রানের খাতা খোলেন তানজিদ তামিম। চতুর্থ বলে দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে আরও একটি বাউন্ডারি মারেন এই তরুণ। কিন্তু পঞ্চম বলে আবারও পুল করতে গিয়ে নাঈম হাসানকে ক্যাচ দিয়ে বসেন তানজিদ। ৫ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে তামিমকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন আনামুল হক বিজয়। সংক্ষিপ্ত স্কোর: তামিম একাদশঃ ৪৪/২ (৭ ওভার) নাজমুল একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন, মুকিদুল ইসলাম, নাইম হাসান, রিশাদ হোসেন। তামিম একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, শাহাদাত হোসেন দিপু, এনামুল হক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, আকবর আলী।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || প্রেসিডেন্টস কাপের তৃতীয় ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে তামিম একাদশ এবং নাজমুল একাদশ। এই মুহূর্তে টসে হেরে ব্যাট করছে তামিম একাদশ। প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত তাঁদের সংগ্রহ ৫ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান। ছোট তামিমের বিদায়ঃ প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদের বিপক্ষে ৬ রান নিয়ে ওভার শেষ করেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে আল আমিন হোসেনকে পুল করে রানের খাতা খোলেন তানজিদ তামিম। চতুর্থ বলে দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে আরও একটি বাউন্ডারি মারেন এই তরুণ। কিন্তু পঞ্চম বলে আবারও পুল করতে গিয়ে নাঈম হাসানকে ক্যাচ দিয়ে বসেন তানজিদ। ৫ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে তামিমকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন আনামুল হক বিজয়। সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ তামিম একাদশঃ ৩৮/১ (৫ ওভার) নাজমুল একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন, মুকিদুল ইসলাম, নাইম হাসান, রিশাদ হোসেন। তামিম একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, শাহাদাত হোসেন দিপু, এনামুল হক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, আকবর আলী।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || দ্রুতগতির বোলার হিসেবে অ্যানরিক নরকিয়া ইতোমধ্যেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তবে কতটা? সেটা যেন তিনি দেখালেন বুধবার (১৪ অক্টোবর) ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রাজস্থান ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলটি করেন ঘণ্টায় ১৫৬ কিলোমিটার গতিতে। যা আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির বল। যদিও ওই বলে চার হাঁকান জশ বাটলার। তারপরের বলেই আবার ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন নরকিয়া। ওই সময় তিনি জানতেন না দ্রুতগতির বল করার রেকর্ড করে ফেলেছেন। ম্যাচশেষে এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পরে শুনেছি। তখনো ওই ব্যাপারে জানতাম না। আমি গতি ওই পর্যায়ে নেয়ার জন্য খুবই কষ্ট করেছি। দুই পা ও সামনের হাত ব্যবহার করেছি। আপনার ওই আচরণটা দরকার গতিতে বল করার জন্য কিন্তু ঠিক জায়গাতেও বলটা করতে হবে।’ রাজস্থান ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নরকিয়া-বাটলারের লড়াইটা বেশ জমেছিল। ওভারের শুরু থেকেই বেশ গতিতেই বল করছিলেন নরকিয়া। বাটলারও খেলছিলেন হাত খুলে। ওভারের প্রথম বলে ছক্কা এবং চতুর্থ ও পঞ্চম বলে বাটলার টানা দুই চার হাঁকান রাজস্থানের এই ওপেনার। পর পর দুই বলে চার খেলেও একই গতি এবং একই লাইনে বল করে যান নরকিয়া। শেষ বলে খুঁজে পান সাফল্যও। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বাটলারকে বোল্ড করেন তিনি। বাটলারের সঙ্গে এই লড়াইটা উপভোগ করেছেন নরকিয়া। তিনি বলেন, ‘বাটলারের সঙ্গে লড়াইটা মজার ছিল। আমি জানতাম সে স্কুপ শট খেলে কিন্তু প্রথমটা খেলার পর আমি একটু চমকে গিয়েছিলাম। আমি ভাবিনি সে আবারও এটা করবে। কিন্তু সে পরের বলে আবারও একই শট খেলে।' 'সে খুব ভালো খেলছিল কিন্তু আমি নিজের শক্তির জায়গাতেই ছিলাম। আমি উইকেটটা কাজে লাগিয়ে কিছু ভ্যারিয়েশন পাওয়ার চেষ্টা করেছি।’ শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয় পেয়েছেন নরকিয়ারাই। তাদের দেয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে রাজস্থান। দিল্লি ক্যাপিটালস জয় পায় ১৩ রানের ব্যবধানে।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। ইংলিশ কাউন্টি বব উইলস ট্রফিতে মিডলসেক্সের বিপক্ষে একটি ম্যাচে বলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছিলেন সাসেক্সের অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচ ক্লেডন। এর ফলশ্রুতিতে তাকে রেকর্ড নয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এই পেসার। অজি এই পেসারের ভুলের শাস্তি পেতে হয়েছে তার ক্লাব সাসেক্সকেও। চলতি মৌসুমের অর্জিত পয়েন্ট থেকে ২৪ পয়েন্ট কেটে নেয়া হয়েছে দলটির ঝুলি থেকে। করোনাভাইরাসের সতর্কতা অবলম্বনে মাঠের সীমানার পাশে রাখা হয়েছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যাতে করে কিছুক্ষণ পরপর ক্রিকেটাররা তাদের হাত জীবাণুমুক্ত করতে পারেন। কিন্তু সেটা না ক্লেডন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছিলেন বলে। এই অপরাধের জন্য প্রথমে তাঁকে সাময়িক বহিস্কার করা হলেও তদন্তের পর নয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম এতো বেশি পরিমাণ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হলো কোনো ক্রিকেটারকে। একই সঙ্গে ইসিবির নীতিমালার ৩.৩ ও ৩.৭ এর ধারা ভঙ্গ করায় ক্লেডনকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সাসেক্সের ২৪ পয়েন্ট কাটা হয়েছে। ২৪ পয়েন্ট কেটে নেয়ার পর তাদের বর্তমান পয়েন্ট মাত্র ১২। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে থাকা সাসেক্স নেমে গেছে ৬ষ্ঠ স্থানে। ইসিবির দেয়া এই শাস্তি মেনে নিয়েছে কাউন্টি ক্লাবটি। অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার ক্লেডন ১১২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এছাড়া ১১০টি লিস্ট এ ম্যাচ ও ১৪৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৬০৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম আসরের আয়োজনের কথা রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এর আয়োজন এখন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছ থেকে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বর পর্যন্ত। মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে ইতোমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপের চলতি বছরের আসরটি, যা কিনা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। একই সঙ্গে পিছিয়ে গেছে নারী বিশ্বকাপও। আর সেই সঙ্গে শঙ্কা দেখা দিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়েও। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপমহাদেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আয়োজন করা নাও হতে পারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসি তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেও নভেম্বরের বোর্ড সভায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ক্রিকইনফোকে এ প্রসঙ্গে বলেন, 'কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে আইসিসি। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে গভর্নিং বডি।' তবে বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না বাংলাদেশের। কেননা আইসিসি আসন্ন বিশ্বকাপটি স্থগিত করে দিলেও একই বছরের শেষ দিকে সেটি পরিস্থিতি বিবেচনায় আয়োজন করা যেতে পারে বিশ্বকাপটির। করোনার কারণে আইসিসির চলতি বছরের বেশ কিছু ২০২২ সালে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর ভেতর রয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপ, যা কিনা অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। একই বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর চলতি বছরের স্থগিত হওয়া পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি হবে অক্টোবর-নভেম্বরে, আয়োজক হিসেবে থাকছে অস্ট্রেলিয়া।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে দ্রুতগতির বল করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) রেকর্ড বুকে নাম তুললেন অ্যানরিক নরকিয়া। বুধবার রাজস্থানের ওপেনার জশ বাটলারকে করা ১৫৬.২ কি.মি গতির বলটি করে নিজের রেকর্ডকেই ভাঙলেন এই প্রোটিয়া পেসার। নরকিয়ার সেই রেকর্ড গড়া ডেলিভারিতে গতি ব্যবহার করে চার মারেন বাটলার। পরের বলটি ১৫৫.১ কি.মি গতিতে ছাড়েন তিনি। কিন্তু এবার গতির কাছে পরাস্থ হয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে যান বাটলার। ডানহাতি এই পেসারের এমন দ্রুতগতির বোলিংয়ের পর তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার লি। এক টুইট বার্তায় এই স্পিড স্টার লেখেন, ‘সত্যিই, নরকিয়ার এটি দারুণ ডেলিভারি।’ রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচে এদিন ৪ ওভারের ৩৩ রান খরচে ২টি উইকেট নিয়েছেন নরকিয়া। বাটলারকে বোল্ড করার পাশাপাশি রবিন উথাপ্পাকেও ফিরিয়েছেন তিনি। বোলারদের কল্যাণে ১৩ উইকেটের জয় পায় তার দল। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টে এর আগে সবচেয়ে দ্রুতগতির বল করেছিলেন ডেল স্টেইন। ঘন্টায় ১৫৪.৪০ কি.মি গতিতে বল ছেড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারি: অ্যানরিক নরকিয়া – ১৫৬.২ কি.মি ঘন্টায় অ্যানরিক নরকিয়া – ১৫৪.৮ কি.মি ঘন্টায় ডেল স্টেইন – ১৫৪.৪ কি.মি ঘন্টায় অ্যানরিক নরকিয়া – ১৫৪ কি.মি ঘন্টায় কাগিসো রাবাদা – ১৫৩.৯ কি.মি ঘন্টায়
|| ডেস্ক রিপোর্ট || লেগ স্পিন যদি একটা শিল্প হয়- শেন ওয়ার্ন নিশ্চিতভাবেই সেটার সবচেয়ে বড় শিল্পী। তার মায়াবী লেগ স্পিনের জালে বিদ্ধ হয়েছেন বিশ্বের বড় বড় সব ব্যাটসম্যান। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ১৪৫ ম্যাচে ৭০৮ উইকেটের মালিক তিনি। ২০০৬ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানান কিংবদন্তি এই স্পিনার। ক্রিকেট থেকে অবসর নেবার পর সাবেক এই ক্রিকেটার বর্তমানে যুক্ত আছেন ধারাভাষ্য ও কোচিংয়ের সঙ্গে। চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রাজস্থান রয়্যালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আর তাই টুর্নামেন্টের বোলারদের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ওয়ার্ন। বর্তমান প্রজন্মের বোলাররা কম্পিউটার ও কোচিং স্টাফদের ওপর বেশি নির্ভরশীল বলে মনে করেন ওয়ার্ন। এটা থেকে বেরিয়ে নিজের মাথা ব্যবহার করার পরামর্শ সাবেক এই অজি স্পিনারের। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় বেশির ভাগ তরুণ ক্রিকেটারই কোচ তাদের কি বলছে তার উপর নির্ভরশীল। কোন ব্যাটসম্যানকে কিভাবে আউট করা যাবে এই বিষয়ে কম্পিউটার কি বিশ্লেষণ করে সেটার ওপর নির্ভর করে।' 'আমার মতে এসব ধারণা রাখা ভালো। কিন্তু তবুও আপনার মাথাটা খাটানো উচিত। আমাকে যদি তরুণদের কোনো পরামর্শ দিতে হয়, সেটা হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের দেখো এবং নিজে তার দুর্বলতা খুঁজে বের করো।' বর্তমানে টি-টোয়েন্টির এই যুগে খেলাটা হয়ে যাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের ওপর বেশি নির্ভরশীল। বোলারদের টিকে থাকতে করতে হচ্ছে নানা সংগ্রাম। ওয়ার্ন বোলারদের পরামর্শ দিয়েছেন এই বিষয়েও। তিনি বলেন, 'তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এখন সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার হচ্ছে, যখন আমরা তাদেরকে বোলিং শেখাচ্ছি তখন তাদেরকে একই জায়গায় ওভারের পর ওভার বল করতে বলছি। এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একই জায়গায় আপনি দুইটা বলও করতে পারবেন না। আপনাকে এক ওভারে ছয় ধরণের বল করতে হবে।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ২০ রানে হারিয়ে টানা দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাইয়ের ছুড়ে দেয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৭ রানে থামে হায়দরাবাদের ইনিংস। চেন্নাইয়ের করা ১৬৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি ওয়ার্নারের হায়দরাবাদ। দলীয় ২৭ রানেই সাজঘরে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার এবং মানিশ পান্ডে। এরপর বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেবার কাজ শুরু করেন কেন উইলিয়ামসন। সঙ্গীরা একে একে ব্যার্থ হয়ে ফিরে গেলেও উইকেট আকড়ে ধরে বসে থেকে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। কিন্তু দলীয় ১২৬ রানে তাকেও ফিরে যেতে হয়। কার্ন শর্মার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এই কিউই ব্যাটসম্যানকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭ করতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ। আর চেন্নাই পায় ২০ রানের দুর্দান্ত এক জয়। এদিকে দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই শুরুতে সন্দ্বীপ শর্মার বলে ফাফ ডু প্লেসিসকে (০) হারালেও স্যাম কুরানের লড়াইয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো কলকাতা। কিন্তু ২১ বলে ৩১ রান করে তিনিও সন্দ্বীপেরই শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। তাতেই ৩৫ রানে ২ উইকেট হারায় ধোনির দল। সেখান থেকে ইনিংস মেরামতের কাজ হাতে নেন শেন ওয়াটসন। সঙ্গে নেন আম্বাতি রাইড়ুকে। রাইড়ু ৩৪ বলে ৪১ করে যখন ফিরেছেন, চেন্নাইয়ের সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ১১৬ রান। পরের ওভারে ওয়াটসনও (৩৮ বলে ৪২) সাজঘরের পথ ধরেন। শেষদিকে নেমে ছোট্ট ঝড়ে কাজের কাজ করে দিয়েছেন ধোনি-জাদেজা। ১৩ বলে ২১ রান করে আউট হন ধোনি। আর ১০ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন জাদেজা। সংক্ষিপ্ত স্কোর: চেন্নাই সুপার কিংস: ১৬৭/৬ (২০ ওভার) (ওয়াটসন ৪২, রাইড়ু ৪১; সন্দ্বীপ ২/১৯, নাটারঞ্জন ২/৪১) সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৪৭/৮ (উইলিয়ামসন ৫৭, বেয়ারস্টো ২৩; ব্রাভো ২/২৫, শার্মা ২/৩৭)
|| ডেস্ক রিপোর্ট || বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে উঠেছিল পাকিস্তানি সাবেক ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদের বিপক্ষে। যার দরুণ ইংল্যান্ডের এক আদালত তাঁকে ১৭ মাসের কারাদন্ড দেয়। একই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দুর্নীতি দমন বিধি ভঙ্গের আরও সাতটি অভিযোগে ২০১৮ সালে তাঁকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ১৭ মাসের কারাবাস শেষে অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন সাবেক এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ অক্টোবর কারাগার থেকে ছাড়া পাচ্ছেন তিনি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিক্সিংয়ের চেষ্টা নাসির। যদিও সুফল হননি। এরপর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) সতীর্থ ক্রিকেটারদের ম্যাচ পাতাতে ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন এই পাকিস্তানী। এসব অপরাধের দায়ে ২০১৭ সালে এই অভিযোগে ইংল্যান্ড থেকে আটক করা হয় নাসিরকে। আটক করা হয়ে এর সঙ্গে জড়িত থাকা আরও দুজনকেও। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ইউসুফ আনোয়ার ও মোহাম্মদ ইজাজ ফিক্সিংয়ের কান্ডে তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গেল বছর ডিসেম্বরে শুনানির শুরুতে দোষ স্বীকার করে নেন নাসির। তার দুই সহযোগী অবশ্য পিএসএলে অর্থ দিয়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ পাতাতে ফুসলানোর কথা স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে পিএসএলে দুর্নীতিতে জড়ানোয় এই ক্রিকেটারকে গত বছরের আগস্টে তাকে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় পিসিবি। এর আগে নাসিরকে গ্রেফতারের সময় পুলিশ জানায়, ২০১৬ বাংলাদেশে প্রিমিয়র লিগে গড়াপেটা করার চেষ্টা করেছিলেন নাসির৷ তারপর ২০১৭ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সুপার লিগে গড়াপেটার জন্য সতীর্থদের টাকা সেধেছিলেন। দুই ক্ষেত্রেই এক ওপেনার টি-২০ টুর্নামেন্টে রান না-করার প্রতিশ্রুতি দেন৷ এক ওভারের প্রথম দু’টি বলে কোনও রান না-করার জন্য টাকা নেন পাকিস্তানাএর ওই ওপেনার৷ বাংলাদেশে তাঁকে টাকা নেওয়ার কথা বলা হয় বলেও জানান জামশেদ৷ ৯ ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদ ও ইউনাইটেড পেশোয়ার জালিম ম্যাচেও অর্থ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি৷ পাকিস্তানের হয়ে দু’টি টেস্ট ৪৮টি ওয়ানডে এবং ১৮টি টি-টোয়েন্টি এবং ২টি টেস্ট খেলেছেন নাসির। ২০১৫ সালে সর্বশেষ দেশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ওয়ানডে ফরম্যাটে ৩টি সেঞ্চুরির মালিক।