|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ হয়নি তামিম ইকবালের। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল ক্রিকেট। এরপর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে ফের মাঠে ফিরলেও ব্যাট হাতে খুব একটা ছন্দে ছিলেন না দেশসেরা এই ওপেনার। সেই টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে এক ফিফটিতে মাত্র ১০১ রান করেন তিনি। এরপর তামিম খেলতে গিয়েছিলেন পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগে (পিএসএল)। সেখানে লাহার কালান্দার্সের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেন তামিম। তিন ম্যাচে যথাক্রমে করেন ১৮, ৩০ ও ৩৫ রান। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। যেখানে ফরচুন বরিশালের অধিনায়কত্ব করবেন তামিম। আসন্ন এই টুর্নামেন্টে নিজের স্বরূপে ফিরতে মুখিয়ে রয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পিএসএল থেকে ফিরে শনিবার প্রথমবারের মতো মিরপুরে এসে বাংলাদেশে ওয়ানডে অধিনায়ক জানিয়েছেন ভালো ছন্দে আছেন তিনি। তামিম বলেন, 'আমি অন্য কারো চেয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখবো না। অবশ্যই না। আমি ভালো ছন্দে আছি এতটুকু বলতে পারি। আমি বড় কিছু রান করতে চেষ্টা করবো। এটা আমার করা উচিত। হয়তো আমরা ক্রিকেট খেলি নাই, কিন্তু শেষ চার পাঁচ মাস ধরে সবাই অনুশীলনে আছি।' বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ভালো শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি, 'গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে টুর্নামেন্টটা শুরু করা। ওটাই হবে আত্মবিশ্বাসের জন্য মূল বিষয়। এটাই আশা করবো যে প্রথম ম্যাচটাতে এমন পারফরম্যান্স করার। প্রথম এক দুই ম্যাচে ভালো খেলে ক্যারি করার চেষ্টা করবো।' পিএসএলের ম্যাচগুলোতে খেলায় কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পাবেন তিনি, 'যেটা বললাম অবশ্যই তিনটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলা কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে অবশ্যই ভালো। যেটা হলো আপনি তিনটা ম্যাচ খেলেন পাঁচটা ম্যাচ খেলেন নতুন টুর্নামেন্টে নতুন করে শুরু করতে হবে ভালো করে।' 'অবশ্যই একটা সুবিধা যে আমি খেলার ওপর আছি। হয়তো অন্যদের সেটা ছিল না। আমি আশা করি আমি ভালো শুরু করতে পারবো।'
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || কিছুদিন আগেই প্রেসিডেন্টস কাপের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। সফলভাবে টুর্নামেন্টটি সম্পন্নের পর এবারে আরও একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের নাম বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় দলের ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবাল। আসন্ন এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে শনিবার দল সম্পর্কে জানাতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাঁহাতি এই দলপতি। সদ্য পাকিস্তান সুপার লিগ থেকে খেলে এসে আসন্ন এই টুর্নামেন্টে ভালো করতে বেশ আত্মপ্রত্যয়ী তামিম। একই সঙ্গে আশাবাদী লাইম লাইটে না থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে। তামিম মনে করেন যাদের নিয়ে আলোচনাই হয় না তাঁরা এই টুর্নামেন্টে বেশ ভালো করবে। নিজেদের প্রমাণ করবে। একই সঙ্গে তামিম জানান আসন্ন এই টুর্নামেন্টে ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে খেলার কথা। একই সঙ্গে চমকে দিতে চান অন্য দলকেও। প্রেসিডেন্টস কাপের উদাহরণ টেনে তামিম বলেন, 'দুই তিন জন প্লেয়ারকে আমরা কেউই আশা করি নাই যে ওরা এত ভালো খেলবে। পরে কিন্তু তাদের নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল। আমি এটাই আশা করি ওই রকম লাইম লাইটে নাই, তারা ওই রকম পারফরম্যান্স করবে। যতটুকু দলকে দেয়া দরকার তার চেয়ে বেশি দিতে হবে। আমার যে স্কোয়ডটা আছে। আমাদের যদি সফল হতে হয়।' 'আউট অব দ্য বক্স ক্রিকেট খেলতে হবে। সবসময় যেমন পরিকল্পনা করে খেলি, সেভাবে জেতাটা কঠিন হবে । আমাদের যে রিসোর্স আছে। যদি আমরা একটু আউট অফ দ্য বক্স চিন্তা। অন্য দলকে সারপ্রাইজ করতে পারি। তাহলে অবশ্যই সম্ভব। আমি আশা করি যে দুই তিনজকে নিয়ে আশা করছি না তারা যদি ভালো খেলতে পারে। অনেক কিছুই হতে পারে।' বরিশালে তামিমের সতীর্থ হিসেবে খেলবেন প্রেসিডেন্টস কাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ইরফান শুক্কুর, তৌহিদ হৃদয় এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। তরুণ এই তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে বেশ আশাবাদী এই অধিনায়ক। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ইরফান খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটিয়েছে। তৌহিদ হৃদয়কে আমি টি-টোয়েন্টিতে দেখার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু সে ভালো খেলোয়াড়। ওদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমার এমন একটা টিম যে সিনিয়র জুনিয়র নাই। আমার টিমে যদি সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে চিন্তা করেন, হয়তো আমিই একমাত্র অভিজ্ঞ। যদি আপনি সফল দল হতে চান, বিশেষত এই দল। আমি তেরো বছর খেলেছি অন্যরা দুই বছর খেলেছে এটা কোনো ম্যাটার না।' 'তাদের করতে হবে। আমার টিমটা নিয়ে কথা বলছি। আমি শুরুতেই যেটা বললাম আউট অফ দ্য বক্স চিন্তা করতে হবে। না হলে এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে। তরুণ যারা আছে আফিফ, হৃদয়, ইরফান তাদের আউট অব স্কিল খেলতে হবে। '
|| ডেস্ক রিপোর্ট || শুক্রবার রাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ করেছেন। ফুসফুস জনিত সমস্যায় ৫৩ বছর বয়সে পরলোকগমন করেছেন তিনি। ভারতের হায়দরাবাদে বেড়ে ওঠা মোহাম্মদ সিরাজের। একেবারেই এক হতদরিদ্র পরিবারে। বাবা অটোরিকশা চালাতেন। তবে অপূর্ণ রাখতেন না ছেলের কোনো ইচ্ছে। ভারতীয় এই পেসারের ক্রিকেটার হওয়ার পুরোটাতেই সমর্থন জুগিয়ে গেছেন মোহাম্মদ গাউস। বাবার মৃত্যুর পর তাঁকে দেখতে পারছেন না সিরাজ। কেননা সিরিজ খেলতে বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় বাবাকে শেষ বারের মতো দেখতে আসতে পারবেন না তিনি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে আছে ভারতীয় দল। আইসোলেশনে থেকেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এই বলয় ভেঙে বর্তমানে ভারতের আসা সম্ভব নয় সিরাজের। সেখানে বসে এতদিন দেখছিলেন ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেকের স্বপ্ন। বাবার মৃত্যুর খবর সেটাকেই বোধ হয় বিষণ্ন করে দিলো। ভারতের হয়ে এখনো পর্যন্ত একটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সিরাজ। সদ্য সমাপ্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) ৯ ম্যাচ খেলে পান ১১ উইকেট। যার মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৮ রানে ৩ উইকেটের ম্যাচ জয়ী ইনিংসও ছিল।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত মুখ ইরফান শুক্কুর। তবুও যেন ঠিক প্রাদপ্রদীপের আলোয় আসতে পারছিলেন না তিনি। তবে গত বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে সবার নজরে এসেছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত পারফর্ম করে বর্তমানে স্পটলাইটে রয়েছেন তিনি। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। যেখানে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন ইরফান। তার আগে তিনি জানালেন নিজের দীর্ঘ মেয়াদের পরিকল্পনার কথা। জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ সময় প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটাই তার লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ইরফান। তিনি বলেন, 'সব ক্রিকেটারেরই লক্ষ্য থাকে জাতীয় দলে দীর্ঘদিন খেলা। এখন শুধু আমার পরিকল্পনা হচ্ছে সামনের টি-টোয়েন্টি কাপে মনোযোগ দেয়া। ধাপে ধাপে আগানো। আমার হাতে আছে আমার পরিশ্রম আর পারফরম্যান্স। সামনে যদি কোনো সুযোগ আসে সেটা আমি টিম ম্যানেজম্যান্ট ও নির্বাচকদের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।' আসন্ন বঙ্গবন্ধু কাপে নিজের দল নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট ইরফান। সাম্প্রতিক সময়ে পারফর্ম করা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়ায় আশাবাদি তিনি। দলটি বেশ ভারসম্যপূর্ণ হয়েছে বলেও মনে করেন চট্টগ্রামের এই ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, 'আমি বলবো আমাদের দলটা ভালো ভারসম্যপূর্ণ হয়েছে। সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ভালো সমন্বিত দল। ভারসম্যপূর্ণ কেন বলছি কারণ, যদি দেখেন আমাদের দলের সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরমার আর প্রেসিডেন্টস কাপে যারা পারফর্ম করছে তাদের নিয়ে গড়া হয়েছে। আমাদের ইচ্ছে হচ্ছে ফাইনাল খেলা এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়া।' প্রেসিডেন্টস কাপের পারফরম্যান্স এই টুর্নামেন্টেও ধরে রাখতে চান ইরফান, 'প্রেসিডেন্টস কাপের পারফরম্যান্সটা আমাকে স্বাভাবিকভাবেই অনুপ্রেরণা দিবে সামনের টুর্নামেন্টে খেলার। আমি চেষ্টা করবো এই টুর্নামেন্টে ওই ফর্মটা ধরে রাখার। যতটুকু পারি দলে ১০০ ভাগ অবদান রাখার চেষ্টা করবো।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ক্রিকেটারদের ন্যূনতম বয়সের নীতিমালা প্রবর্তন করেছে। আইসিসির প্রণিত নতুন এই নীতিমালা অনুযায়ী এখন থেকে ১৫ বছরের আগে কোনো ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবে না। সম্প্রতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এর আগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেটারদের অংশ নেওয়ার কোনো বয়সসীমা ছিল না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'ক্রিকেটারদের সুরক্ষার উন্নতি করতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য ন্যূনতম বয়সের বিধিনিষেধের প্রবর্তন নিশ্চিত করেছে আইসিসি। এই বয়সসীমা দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট এবং অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট সহ সমস্ত ক্রিকেট জুড়ে প্রযোজ্য। পুরুষ, নারী এবং অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড়দের খেলতে হলে এখন সর্বনিম্ন ১৫ বছর বয়স হতে হবে।' 'তবে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে যদি কোনও সদস্য বোর্ড আইসিসির কাছে আবেদন করে তবে ১৫ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড়কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেয়া যেতে পারে। তবে তার জন্য সেই খেলোয়াড়ের খেলার অভিজ্ঞতা এবং মানসিক বিকাশ এবং সুস্থতার প্রমাণ দিতে হবে।' ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের হাসান রাজা ১৪ বছর ২২৭ দিন বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়ে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের রেকর্ড গড়েন। পাকিস্তানের হয়ে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেছিলেন সাতটি টেস্ট এবং ১৬টি ওয়ানডে। আর টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। ১৬ বছর ২০৫ দিনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা দিয়েছিলেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || টেস্টকে বলা হয় ক্রিকেটের বনেদি সংস্করণ। তবে দিন যত গড়াচ্ছে, ততই যেন কমছে এর জৌলস। সাম্প্রতিক সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অর্থের ঝনঝনানি এবং ঝাঁকজমকপূর্ণ আবহের দিকে ছুঁটছেন খেলোয়াড়, সমর্থকসহ সবাই। একই সঙ্গে কমছে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দর্শক এবং ক্রিকেটারদের আগ্রহ। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার মনে করেন লাল বলের ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে বিরাট কোহলিদের মতো ক্রিকেটার ও দলগুলোকে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে ভারতীয় অধিনায়ককে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাবেক এই অজি অধিনায়ক। তিনি বলেন, 'সে (কোহলি) প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আক্রমণাত্মক। কোহলির মতো ক্রিকেটার, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ভীড়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখা।' সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় এসেছে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব। টিম পেইন নেতৃত্ব ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছে। তবে এখন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে তার বিকল্প দেখেন না বোর্ডার। স্টিভেন স্মিথকে ফের অধিনায়ক করার পক্ষপাতিও নন তিনি। অজি এই কিংবদন্তি বলেন, 'আমাদের পেইন ছাড়া আর কেউ নেই। আমার মনে হয় না নির্বাচকরা আবার স্মিথে ফিরে যাবে। মিডিয়া সব জায়গাতেই আছে, এটা একটা রঙ্গতামাশা হবে। যা আমরা চাই না। স্মিথকে যত খুশি রান করতে দেয়া উচিত।' ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা প্রসঙ্গে বোর্ডার বলেন, 'আমি জৈব সুরক্ষা বলয়ে নিজেকে কল্পনাও করতে পারি না। আমি জানি না কীভাবে খেলোয়াড়রা একটা থেকে আরেকটাতে মানিয়ে নিচ্ছে। এটা কেবল শারিরীক শান্তির ব্যাপারই না, তাদের মানসিকভাবেও সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || গেল ১০ নভেম্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। বৃহস্পতিবার মুক্তি মিলেছে তাঁর মহামারি এই ভাইরাস হতে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র মুমিনুলের করোনা মুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। করোনা মুক্ত হয়েই অনুশীলনে নেমে পড়েছেন জাতীয় দলের এই টেস্ট দলপতি। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেট শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে অনুশীলন করেছেন তিনি। এদিন সকাল বেলাই ইনডোরে উপস্থিত হন ব্যাটিং অনুশীলন করতে। ইনডোরের মাঠে থ্রোয়ার নিয়ে অনুশীলন করতে দেখা যায় তাঁকে। ৩৫-৪০ মিনিট সেখানে ব্যাটিং করেছেন এই অধিনায়ক। করোনা মুক্ত হওয়ার ফলে তাঁর আগ বাঁধা নেই আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে। ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে খেলার কথা রয়েছে তাঁর। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখেই অনুশীলন শুরু করেছেন মুমিনুল। মুমিনুলের আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পিএসএসের প্লে-অফ খেলতে যাওয়ার আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ১৭ নভেম্বর টেস্ট করালে তারও করোনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। উল্লেখ্য, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল মুমিনুলের। গত ৯ নভেম্বর করোনা পরীক্ষা করান তিনি এবং তার স্ত্রী। সেখানে ফলাফল ইতিবাচক আসলে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তারা। আক্রান্ত হলেও বড় কোন ধরণের উপসর্গ ছিল না দেশের টেস্ট অধিনায়কের। জ্বর ও হালকা উপসর্গ নিয়েই তিনি কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেট সমর্থক গোষ্ঠী 'বার্মি আর্মি ' ও 'ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন' এর উদ্যোগে গঠিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট সাপোর্টার্স কমিটি (আইসিএসসি)। দুনিয়াজুড়ে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর সমর্থক গোষ্ঠীকে এক পতাকাতলে আনতেই এই প্রয়াস। বার্মি আর্মি ও ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এর আমন্ত্রনে, এই কমিটি তে বাংলাদেশ কে প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশের বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ)। এই কমিটি তে আরও অংশগ্রহণ করেছে, ভারতের ভারত আর্মি, পাকিস্তানের স্তানি আর্মি, দ্য রিচিস, গুইজো স্কোয়াড, বেইজ ব্রিগ্রেড, শ্রীলঙ্কার গায়ান সেনানায়েকে ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট পডকাস্ট কমিউনিটি। সমর্থকদের এই বৈশ্বিক কমিটির অংশ হয়ে উচ্ছ্বসিত বিসিএসএ সভাপতি জুনায়েদ পাইকার বলেন, 'এই অংশগ্রহণ, বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের নিয়ে আমাদের কাজের আরেকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসাবে দেখছি আমি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেট সমর্থকদের সাথে কাজ করতে অপেক্ষায় আছি আমরা। আইসিএসসি কে ধন্যবাদ। আমরা বিশ্বাস করি সমর্থকরা প্রত্যেক খেলার প্রাণ, বড় স্টেকহোল্ডার। বাংলাদেশের সমর্থকদের আওয়াজ এখন আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে পারবো।' আইসিএসসিতে বিসিএসএ'র স্পোকসপার্সন বিসিএসএ ইউকে'র সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, 'আইসিএসসি সমর্থক গোষ্ঠীতে নতুন এক মাত্রা এনে দিবে বলে আমার বিশ্বাস। বিসিএসএ'র প্রতিনিধি হয়ে এখানে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি আমি।'
|| ডেস্ক রিপোর্ট || ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক শ্রীলঙ্কান পেসার ও বোলিং কোচ নুয়ান জয়সা। ইতোমধ্যেই ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। একটি স্বাধীন ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গের প্রমান মিলেছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে জয়সার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনে আইসিসি। এরপর একটি স্বাধীন ট্রাইব্যুনালে শোনা হয় জয়সার কথা। সব কিছু শেষে তাকে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ২০১৯ সালের মে মাসে তাকে ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে আইসিসি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া টি-টেন লিগে দুর্নীতির ২.১.১, ২.১.৪ এবং ২.৪.৪ ধারাগুলো ভঙ্গ করেন জয়সা। তার বিরুদ্ধে ম্যাচের ফলাফল অথবা গতিপ্রকৃতি বদলে দেয়ার জন্য একটি চক্রের সঙ্গে ওই লিগ সংশ্লিষ্টদের যোগাযোগের ব্যবস্থা করিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠে। এছাড়াও তাদেরকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে প্রলুব্ধ করার অভিযোগও রয়েছে সাবেক এই লঙ্কান ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। ম্যাচ ফিক্সিং সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব পেয়েও সেটা আকসুকে না জানিয়ে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। সাবেক এই লঙ্কান কোচের ব্যাপারে আইসিসি জানায়, 'জয়সা টি-টেন লিগের সময় এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের চারটি নিয়ম লঙ্ঘন করায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। সেটিও চলমান আছে।' দেশের হয়ে ৩০টি টেস্ট ও ৯৫টি ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছেন জয়সা। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে জাতীয় দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব দেয় লঙ্কান বোর্ড। এছাড়াও দেশটির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ওই সূত্রেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার হয়ে খেলবেন প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যেখানে তাঁর সতীর্থ একই ক্যাটাগরির আরও এক ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। জেমকন খুলনার দলে বড় দুই তারকা ক্রিকেটার থাকলেও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীতে নেই ‘এ’ ক্যাটাগরির কোন ক্রিকেটার। যদিও মাহমুদউল্লাহকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল দলটি। শুধু মাহমুদউল্লাহই নয়, তাঁদের পরিকল্পনাতে ছিলেন সাকিব, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমও। এমনকি সবার উপরে ছিল ওয়ানডের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। এছাড়া দ্বিতীয় মুশফিক, তৃতীয় তামিম আর চতুর্থ পছন্দ ছিল মাহমুদউল্লাহ। প্লেয়ার্স ড্রাফটে সাকিব. তামিমদের অবশ্য ডেকে নেয়ার সুযোগ পাননি তারা। কিন্তু বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে নিজেদের দলে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল রাজশাহী। কিন্তু সুযোগ পেয়েও তাকে দলে নেয়নি তাঁরা। যেখানে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে মোহাম্মদ সাইফুউদ্দিনকে দলে নেয় রাজশাহী। যার কারণও অবশ্য ব্যাখ্যা করেছেন দলটির কোচ সারোয়ার ইমরান। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, করোনার কারণেও মূলত তাকে দলে নেয়নি। সারোয়ার বলেন, ‘না আমাদের প্ল্যান ছিল। এক নম্বর ছিল সাকিব আল হাসান, দুই নম্বর ছিল মুশফিকুর রহিম, তিন নম্বরে তামিম ইকবাল চার নম্বরে ছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। যেহেতু রিয়াদের করোনা ছিল, খেলাটা ২৪ তারিখ আরম্ভ হবে তাও তখন আমরা জানতাম না। ২০-২২ তারিখ আরম্ভ হওয়ার কথা। সে কবে সুস্থ হবে এবং কবে মাঠে নামতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি কাউকে ডেকে সে যদি ত্রিশ তারিখ পর্যন্ত খেলতে না পারে। আমাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। সেই জন্য রিয়াদের জায়গায় বাংলাদেশ টিমের রেগুলার অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনকে এবং সেই সাথে মেহেদীকে নিলাম। এই দিক থেকে আমরা একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও রিয়াদের কথা সবাই বলছে, আমাদেরও প্ল্যান ছিল, কিন্তু করোনার কারণে ওকে ডাকি নাই।’ অলরাউন্ডার সাইফুউদ্দিন ছাড়াও দলটির হয়ে খেলবেন নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, মোহাম্মদ আশরাফুল ও আরাফাত সানিদের মতো ক্রিকেটাররা। দল নিয়ে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন দলটির কোচ ও টিম ম্যানেজম্যান্ট। মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদি হাসান, নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, আরাফাত সানি, এবাদত হোসেন, ফজলে রাব্বি, রনি তালুকার, আনিসুল হক ঈমন, রেজাউর রহমান, রাকিবুল হাসান, জাকের আলি অনিক, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, সানজামুল ইসলাম।
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || দেশের ক্রিকেটের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে এই আসর। ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফট। যেখানে এ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের আগে 'বি' ক্যাটাগরির মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দলে ভেড়ায় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। বৃহস্পতিবার উন্মোচিত হয় দলটির জার্সি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের তারকা এই অলরাউন্ডার। প্রথম ডাকেই তাকে দলে ভেড়ানোয় নিজের ওপর বাড়তি দায়িত্ব আছে বলে মনে করেন তিনি। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং এই তিন বিভাগেই নিজের সেরাটা দিতে চান সাইফউদ্দিন। তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি দলের প্রথম ডাক হিসেবে সুযোগ পাওয়ায় আমার একটা দায়িত্ব থাকবে। ইন শা আল্লাহ চেষ্টা করবো ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং যাই হোক নিজের সেরাটা দেওয়ার।' দলের পাাশাপাশি ব্যক্তিগত দিক থেকেও টুর্নামেন্টটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন সাইফউদ্দিন। নিজের দলে নাজমুল হোসেন শান্ত- মোহাম্মদ আশরাফুলের মতো ক্রিকেটাররা থাকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। চাপের মুহূর্তে খেলতে পছন্দ করেন বলেও জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, 'আমি সবসময় চাপের মুহূর্তে বোলিং-ব্যাটিং উপভোগ করি। কারণ চেষ্টা করি নিজেকে চিনে নেয়ার। এখানে যেহেতু শান্ত, আশরাফুল ভাই আছে। বিশেষ করে আশরাফুল ভাইয়ের কথা বলতে হয় তাদের খেলা দেখে আমরা বড় হয়েছি।' বিদেশি ক্রিকেটাররা না থাকায় বঙ্গবন্ধু কাপে দেশি ক্রিকেটারদের জন্য ভালো সুযোগ দেখেন জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার, 'যেহেতু এটা ঘরোয়া ক্রিকেট, হয়তো আমরা বিপিএল খেলি ওখানে বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলার ৬০-৭০ ভাগ মোড় তারাই ঘুরিয়ে দেয়। এখানে যেহেতু সবাই স্থানীয় খেলোয়াড়, সবাই ১৯-২০। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা যেখানে যে ভালো খেলবে সেই জিতবে।'
|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট || আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শেষে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তবে ওই সিরিজের দিকে না তাকিয়ে আপাতত টি-টোয়েন্টি কাপে সেরাটা দিতে চান মোহাম্মদ আশরাফুল। একটা সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলে ব্যাট হাতে অন্যতম ভরসা ছিলেন আশরাফুল। দলকে জয় এনে দিয়েছেন অনেক ম্যাচে। তবে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিজের ক্যারিয়ারের গতি থমকে দেন আশরাফুল নিজেই। দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) তাকে নিয়ে আগ্রহই দেখায়নি কোনো দল। যদিও আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তাকে দলে নিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। আসন্ন এই টুর্নামেন্টকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে নেয়ার মঞ্চ হিসেবে দেখছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দল নিয়ে আপাতত ওইভাবে চিন্তা করছেন না তিনি। বরং টি-টোয়েন্টি কাপে নিজের সেরাটা দিকে চান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। আশরাফুল বলেন, ‘আমি আসলে ওইভাবে চিন্তা করছি না বাংলাদেশ দল নিয়ে। আমি এখন শুধু চিন্তা করছি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নিয়ে। খুব রোমাঞ্চিত খেলার ব্যাপারে। গত আড়াই-তিন মাস ধরে আমি আমি অনুশীলনটা করছি। যখনই একটা খেলা হবে সেখানে যেন প্রথম ম্যাচ থেকেই আমি প্রস্তুত থাকি।’ বরাবরই ফিটনেস ইস্যুতে কথা শুনতে হয়েছে তাকে। করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আর এই সময়টাই কাজে লাগিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের আগে দেয়া ফিটনেস টেস্টে বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছেন তিনি। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন থাকলেও আপাতত সামনে যে টুর্নামেন্টটা আছে তা নিয়ে ভাবছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, ‘গত ৮ মাস ধরে আমি আমার ফিটনেস নিয়েও সচেতন। আগেও ছিলাম কিন্তু এতটা যে করতে পারবো আমার মধ্যেও এই বিশ্বাস টা ছিল না। আমি আসলে ফোকাস করছি এই টুর্নামেন্টেই। আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর জাতীয় দল সবারই স্বপ্ন থাকে, এটা পরের ধাপ, আগে সামনে যে প্রক্রিয়া সেটা নিয়ে চিন্তা করছি।’
|| ডেস্ক রিপোর্ট || শেফিল্ড শিল্ডে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট দলে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার দলে জায়গা পেয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন। ২১ বছর বয়সি তরুণ এই অলরাউন্ডারকে দুই ফরম্যাটেই দেখতে চান হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ডে গত কয়েক মৌসুম ধরেই নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি। টুর্নামেন্টের এবারের আসরেও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তা অব্যাহত রেখেছেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। এবারের গ্রীষ্ম মৌসুমে ১৯৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলার স্বীকৃতি হিসেবে বিস্ময়করভাবে দলে ডাক পেয়েছেন গ্রিন। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় এই তিনি। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পেস বলও করতে পারেন এই ক্রিকেটার। যে কারণে দুই ফরম্যাটেই তাকে খেলনোয় চোখ কোচের। ল্যাঙ্গার বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে সে কয়েক ওভার বল করতে পারলেই সে খেলবে, কারণ আমরা সেভাবেই দল সাজাবো। সাদা বলে তাঁর তেমন অভিজ্ঞতা নেই, তাকে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলানো যাবে যদি সে কয়েক ওভার বল করতে পারে। আমার ধারণা তাঁর মাঝে ভালো একজন সম্ভাবনা আছে।’ ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল করতে হলেও টেস্ট ক্রিকেটে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলাতে চান ল্যাঙ্গার। তাঁর ব্যাটিং দেখতেও বেশ ভালো লাগে বলে জানিয়েছেন দলটির কোচ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদিও টেস্ট ক্রিকেট ভিন্ন। তবে সে ব্যাটিংয়ের জন্যই টেস্ট ক্রিকেটের দলে সুযোগ পেয়েছে। তাঁর ব্যাটিং দেখতে আমার ভালো লাগে। টেলান্ডারে সে লম্বা সময় ব্যাট করতে পারবে।’ ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করার পর তাকে নিয়ে অনেকেই আশার কথা শুনিয়েছেন। যেখানে শেফিল্ড শিল্ডে গ্রিনের ১৯৭ রানের ইনিংসকে রিকি পন্টিংয়ের পর সেরা ইনিংস হিসেব বর্ননা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান বিংবদন্তী গ্রেগ চ্যাপেল।
|| ডেস্ক রিপোর্ট || সময় সত্যিই থমকে দাঁড়িয়েছিল যেন। অদৃশ্য এক ভাইরাস কাবু করে ফেলেছিল সব। চারদিকে মৃত্যুর মিছিলে ভারি হয়ে উঠেছিল বাতাস। কান পাতলেই শোনা যেত আতর্নাদের সুর। ব্যাট-বলের শব্দ তখন সুদূরের বিলাসিতা। সময় চলতে শুরু করেছে আবার। মিরপুরে এখন আবার ব্যাট আর বলের লড়াই চলে। মাঠে গড়াচ্ছে টুর্নামেন্ট। স্বল্প পরিসরের প্রেসিডেন্টস কাপের পর এবার পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। ক্রিকফ্রেঞ্জির পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হবে এই পাঁচ দলের আদ্যেপান্ত। মুশফিকুর রহিমের গড়ন ছোটখাটো। আপনি যদি তাকে চিনে না থাকেন আগে থেকে, খটকা লাগতে পারে হয়তো। তিনি আসলে কতটুকু ভার বইতে পারেন অথবা পারেন না। তবে তার ব্যাটিং দেখলে নিশ্চয়ই সেটা উবে যাবে মুহূর্তে। বিশেষত আপনি যদি শেষ কয়েক বছরের মুশফিককে ভালো মতো লক্ষ্য করে থাকেন। ব্যাট হাতে নামেন। লড়ে যান শেষ অবধি। কখনো ম্যাচ জেতান, কখনো পারেন না। তবে মুশফিক ব্যাটিংয়ে এসে ভরসা দেন অন্যরকমভাবে। বহুদিন পর ক্রিকেটটা যখন ফিরছে পুরোপুরিভাবে। তখন দেশের সবচেয়ে পরিশ্রমী এই ক্রিকেটার ভরসা দেবেন বেক্সিমকো ঢাকাকে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার্স ড্রাফটে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তাকেই দলে ভিড়িয়েছিল ঢাকা। দিয়েছে অধিনায়কত্বের দায়িত্বও। মুশফিকের সঙ্গে উইকেটরক্ষক আছেন আরও একজন। তিনি আকবর আলী। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের ভার বয়ে আসা এই ক্রিকেটারও খেলবেন বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে। যুব দলে তার সতীর্থ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ঠিকানাও হয়েছে একই দলে। আছেন আরেক তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ। ইতোমধ্যে নিজেদের প্রমান করা ইয়াসির আলি রাব্বি, সাব্বির রহমানরাও ব্যাট হাতে ভরসা হবেন ঢাকাকে। অনুর্ধ্ব-১৯ কিছু দুর্দান্ত ইনিংস খেলা পিনাক ঘোষ, মাঝে যেন চলে গিয়েছিলেন প্রাদপ্রদীপের আলোর বাইরে। ঢাকায় আছেন তিনিও। বোলিংয়ে ঢাকার জন্য মূল ভরসার নাম রুবেল হোসেন। জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলছেন, অংশ নিয়েছেন বিশ্বকাপেও। অভিজ্ঞ এই বোলারের দিকে তাই ড্রাফটের শুরুর দিকেই ঝুঁকেছে ঢাকা। এছাড়া আবু হায়দার রনি, মেহেদি হাসান রানার মতো পেসাররাও খেলবেন দলটির হয়ে। স্পিনে তেমন অভিজ্ঞ কাউকে দলে ভেড়ায়নি ঢাকা। তবে ঘরোয়া লিগে নিজেকে প্রমান করা নাসুম আহমেদ, তরুণ নাঈম হাসানরা যে যথেষ্ট ভরসা দিতে পারবেন। সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল। বোলিং ও ব্যাটিংয়ের ভারসম্য দলটির মূল শক্তি। সব কিছুর মাঠে প্রয়োগে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই লক্ষ্য হবে মুশফিকুর রহিমদের। বেক্সিমকো ঢাকার স্কোয়াড : মুশফিকুর রহীম, রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ, নাঈম হাসান, আকবর আলী, শাহাদাত হোসেন দীপু, ইয়াসির আলি, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান রানা, মুক্তার আলি, শফিকুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, পিনাক ঘোষ এবং রবিউল ইসলাম রবি।