একা কিভাবে ম্যাচ ফিক্সিং সম্ভব!

ছবি:

শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্টে পন্ডুরা স্পোর্টস ক্লাব ও কালুতারা ফিজিক্যাল অ্যান্ড কালচারাল ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে ফিক্সিংয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। ম্যাচের একদিনেই মাত্র ৬১ ওভারে ৬০৭ রানের সাথে ২৩ উইকেটের পতন ঘটে, যা ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে ক্রিকেট বোর্ড ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ম্যাচটি নিয়ে বিশেষ তদন্ত করেছিল। তদন্তে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সহকারী সচিব রাভিন ভিক্রামারাত্নেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।
তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা ম্যাচ ফিক্সিং অভিযোগকে বানোয়াট দাবি করছেন রাভিন ভিক্রামারাত্নে। ক্রিকেটারদের সাহায্য ছাড়া একজন কর্মকর্তার পক্ষে কিভাবে ম্যাচ ফিক্সিং করা সম্ভব, প্রশ্ন এই বোর্ড কর্তার।

‘ক্রিকেটারদের সাহায্য ছাড়া একজন কর্মকর্তার দ্বারা একাই ম্যাচ ফিক্সিং করা, এটা কি কখনো সম্ভব? ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের মতে শাস্তি শুধু কর্মকর্তারাই পাবে, ক্রিকেটাররা না। তবে ত্রিশজন ক্রিকেটার এবং সহকারি কর্মকর্তাও জড়িত ছিল, তাহলে শুধুই আমি কেন?’
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভিক্রামারাত্নে। বোর্ডের তদন্তের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘আমি কিছু বিষয় খোলাসা করতে চাই।
আমি এই ম্যাচটি দেখিনি কিন্তু মন্ত্রনালয় থেকে আমার নামে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। এমনকি আমাকে ডাকাও হয়নি এবং আমার পক্ষ থেকে কোনো জবানবন্ধিও নেয়া হয়নি।‘
বোর্ড ও শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে সঠিক তদন্ত চাইছেন তিনি। ব্যক্তিগত ভাবে নিজের আত্মসম্মানহানীর উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তার ভাষায়, ‘শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার আহবান জানিয়েছি এবং প্রয়োজনে ক্রীড়া মন্ত্রির কাছেও চিঠি লিখব। যেখানে আমি পানাডুরা ক্রীড়া ক্লাবের সাথে জড়িত না এবং আমি দায়িত্বে নেই। এই ঘটনাটি আমার আত্মসম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।‘