হায়দ্রাবাদের সামর্থ্যে প্রশ্ন রয়ে গেল

ছবি:

বড় স্কোর তাড়া করার ক্ষেত্রে আইপিএল টেবিল টপার হায়দ্রাবাদের সামর্থ্যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল। ব্যাঙ্গালুরুর মাঠে বড় স্কোর তাড়া করে জেতার উদাহরণ সৃষ্টি করার সুযোগ ছিল কেন উইলিয়ামসনদের।
কোহলিদের ছুঁড়ে দেয়া ২১৯ রানের পাহাড়সম স্কোর তাড়া করতে গিয়ে ২০৪/৩ রানে থেমেছে হায়দ্রাবাদের স্কোর। অ্যালেক্স হেইলসের ক্যামিও এর পর কেন উইলিয়ামসনের ৪২ বলে ৮১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস হায়দ্রাবাদকে ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত জয়ের আশা দেখাচ্ছিল।
কিন্তু শেষ ওভারে সিরাজের বলে বাইন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হয়ে থামে কিউই কাপ্তানের ইনিংস। এছাড়া টুর্নামেন্টের শেষের দিকে এসে ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন মানিশ পান্ডে। ৩৮ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি।
১৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জয়ের দিনে চাহাল, সিরাজ ও মইন আলি একটি করে উইকেট নিয়েছেন। আজকের ম্যাচে জয়ের ফলে শেষ চারে জায়গা করে নেয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল ভিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরু।
এর আগে ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটিং স্বর্গে টসে হেরে আগে ব্যাট করা কোহলিদের বড় স্কোর গড়তেই হতো। গত ম্যাচে কোহলি ও পার্থিব প্যাটেলের ব্যাটে দশ উইকেটের জয়ের পর এই দুই ওপেনারে বড় স্কোরের প্রত্যাশা করছিল ব্যাঙ্গালুরুর সমর্থকরা।

কিন্তু শুরুর দিকে পার্থিব ও কোহলি বিদায় নিলে বিপদে পড়ে আরসিবি। কিন্তু বাঁচা মরার ম্যাচে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। সঙ্গী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মইন আলি। চার নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ দুই হাতে লুফে নিয়েছেন এই বাঁহাতি।
এবির সাথে পাল্লা দিয়ে চেন্নাস্বামী কাঁপিয়েছেন দুর্দান্ত স্ট্রোপ্লের প্রদর্শনীতে। মইন ও ডি ভিলিয়ার্সের জোড়া ফিফটি হায়দ্রাবাদ বোলারদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলে। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন দুই স্পিনার সাকিব ও রাশিদ। সাকিব প্রথম ওভারে ১৩ রান খরচা করলেও বাকি তিন ওভারে রান আটকে রাখতে সক্ষম হন।
অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট তুলে রান রেটে লাগাম টানেন রাশিদ। একই ওভারে মইন ও এবির উইকেট নিয়ে ব্যাঙ্গালুরুর স্কোর দুইশ ছাড়ানোর পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান তিনি। মইন ৬৫ ও ডি ভিলিয়ার্স ৬৯ রান যোগ করে আউট হন।
কিন্তু হায়দ্রাবাদের পেস বোলাররা অন্য প্রান্ত থেকে চেপে ধরতে পারেনি কিউই হার্ড হিটার কলিন ড্য গ্র্যান্ডহমকে। শেষের দিকে দ্রুত ৪০ রান যোগ করে ব্যাঙ্গালুরুর স্কোর ২১৮ রানে নিয়ে যান তিনি। হায়দ্রাবাদের হয়ে রাশিদ খান ছিলেন দিনের সেরা বোলার। হাই স্কোরিং ম্যাচে মাত্র সাড়ে ছয় রান রেটে তিন উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদঃ
শেখর ধাওয়ান, অ্যালেক্স হেলস, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), মনিশ পান্ডে, দীপক হুদা, সাকিব আল হাসান, শ্রীভাতস গোস্বামী (উইকেটরক্ষক), রশিদ খান, সিদ্ধার্থ কউল, সন্দীপ শর্মা, বাসিল থাম্পি।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুঃ
ভিরাট কোহলি (অধিনায়ক), পার্থিব প্যাটেল (উইকেটরক্ষক), মঈন আলী, এবি ডি ভিলিয়ার্স, মানদীপ সিং, সরফরাজ খান, কলিন দ্য গ্র্যান্ডহোম, টিম সাউদি, উমেশ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ, যুজভেন্দ্র চাহাল।