লর্ডস টেস্ট খেলে অবসর যাবেন অ্যান্ডারসন

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মকালীন মৌসুম শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলতে যাচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ১০ এপ্রিল হুট করেই এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য গার্ডিয়ান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এমন সংবাদ প্রকাশের পরদিনই নিজের বিদায়ের কথা জানিয়ে দিলেন ডানহাতি এই পেসার। আগামী গ্রীষ্মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা লর্ডস টেস্ট দিয়ে ক্রিকেটের ইতি টানবেন অ্যান্ডারসন। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল অ্যান্ডারসনের। দুই দশকের বেশি সময় ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন ইংলিশদের সফলতম পেসার। ১৮৮ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৭০০ উইকেট। ইতিহাসের একমাত্র পেসার হিসেবে টেস্টে নিয়েছেন ৭০০ উইকেট। চলতি বছরের শুরুতে ধর্মশালা টেস্টে কুলদীপ যাদবকে ফিরিয়ে এমন কীর্তি গড়েন তিনি।

১০ জুলাই লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে নামবে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচই হয়ে থাকবে অ্যান্ডারসনের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে শেন ওয়ার্নকে। ৮০০ উইকেট নিয়ে সবার উপরে অবশ্য মুত্তিয়া মুরালিধরন। ২২ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়ে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘শুধু এটুকু বলে রাখি, লর্ডসে গ্রীষ্মের প্রথম টেস্টই হবে আমার শেষ টেস্ট।’
‘যে খেলাটা আমি শৈশব থেকে ভালোবাসতাম, সেটিতে অবিশ্বাস্য ২০টি বছর দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি। ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামাটা আমি মিস করব। তবে আমি জানি, এখনই সরে যাওয়া এবং আমার মতো অন্যদেরও স্বপ্নপূরণের পথ করে দেওয়ার সঠিক সময়, যে অনুভূতির চেয়ে বড় কিছু হয় না।’
বার্নলিতে জন্ম নেয়া মডেল ড্যানিলো লয়েডের সঙ্গে ২০০৪ সালে একটি নাইট ক্লাবে পরিচয় হয়েছিল অ্যান্ডারসনের। দুই বছর পর ২০০৬ সালে তাকে বিয়ে করেন ডানহাতি এই পেসার। ২০০৯ সালে জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান লোলা রোজ এবং ২০১০ সালে রুবি লক্স নামে আরও এক মেয়ের জন্ম হয়। ক্যারিয়ারের এতদূর আসার পেছনে বাবা মাইকেল অ্যান্ডারসন ও মা ক্যাথেরিন অ্যান্ডারসনের সঙ্গে স্ত্রী ও মেয়েদের ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া তার বড় হয়ে ওঠার পেছনে ক্রিকেটার ও কোচদের ভূমিকা স্বীকার করে ধন্যবাদ দিয়েছেন অ্যান্ডারসন। এ প্রসঙ্গে ৪২ বছর বয়সী এই পেসার বলেন, ‘ড্যানিলা, লোলা, রুবে এবং আমার বাবা-মার ভালোবাসা ও সমর্থন ছাড়া এসব করতে পারতাম না। তাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। এ ছাড়া যেসব খেলোয়াড় এবং কোচেরা আমাকে বড় হতে সেরা কাজগুলো করেছেন তাদেরও ধন্যবাদ।’
ক্রিকেট ছাড়ার পর গলফে আরও বেশি সময় কাটানো এবং নতুন রোমাঞ্চের জন্য মুখিয়ে আছেন অ্যান্ডারসন। তিনি বলেন, ‘নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য আমি রোমাঞ্চিত এবং গলফে আরও বেশি সময় কাটাতে পারব। বছরের পর বছর যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। এটা আমার জন্য অনেক কিছু যদিও এটা আমার মুখে দেখা যায় না।’