সাব্বির, জাকের, জয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে আবাহনীর দাপুটে জয়

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন ওপেনার সাব্বির হোসেন। কিন্তু ৯৮ রানেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর মাহমুদুল হাসান জয়ের ৭৩ ও জাকের আলি অনিকের অপরাজিত ৭৬ রানে ভর করে ৩৪৩ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ পায় আবাহানী লিমিটেড। জবাবে ৬৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে গাজি টায়ার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। এরপর বৃষ্টি বাঁধায় দলটির নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩১০ রান। নির্ধারিত ওভারে ১৬৩ রান তুললে ১৪৬ রানের জয় পায় আবাহানী।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই নাইম শেখকে হারায় তারা। ইকবাল হাসান ইমনের বলে ক্যাচ তুলে ৭ রানেই ফেরেন এই ওপেনার। এরপরই দারুণ জুটি গড়ে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন সাব্বির ও জয়।
এ সময় আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েই রান তুলতে থাকেন সাব্বির। ৪২ বলেই নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। তাকে দারুণ সঙ্গ দেয়া জয় হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৭০ বলে। কিন্তু দলীয় ১৮০ রানে ইফতিখার হোসেন ইফতির শিকার হন সেঞ্চুরির পথে থাকা সাব্বির। এই পেসারের বলে ক্যাচ তুলে ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় সাব্বিরকে।
সাব্বির ফেরার পর উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জয়। ব্যক্তিগত ৭৩ রানে ইকবাল হাসান ইমনের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন তিনি। এরপর ৩৬ বলে ২৯ রান করা আফিফ হোসেনকেও ফেরান ইফতিখার। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। মাত্র পাঁচ রানেই শামিম মিয়ার বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি।

এরপর সাউফউদ্দিনকে নিয়ে দলের রান তিনশ পার করেন জাকের আলি। এ সময় ৩৯ বলেই নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলেনেন তিনি। এ সময় তাদের দাঁড়ায় ৮৩ রানের। ইনিংসের শেষ ওভারে মারুফ মৃধার শিকার হন সাউফউদ্দিন। মাত্র ১৫ বলে ২৯ রান করে আউট হন তিনি। গাজি টায়ার্সের হয়ে মারুফ, ইমন ও ইফতেখার দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। শামিম পেয়েছেন একটি।
বড় লক্ষ্য তারা করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারানো শুরু করে গাজি টায়ার্স। ওপেনার ইফতিখারকে শূন্য রানেই ফেরান খালেদ আহমেদ। এরপর আশিক জামানকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন আশিকুর রহমান শিবলি। দলীয় ৪৬ রানে আশিক জামানকে ফিরিয়ে দলটিতে ধস নামান মোসাদ্দেক। তার কল্যাণেই মাত্র ১৯ রানের ব্যবধানেই চার উইকেট হারায় দলটি।
সবশেষ অধিনায়ক গাজী তাজিবুল ইসলাম ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া সাইদ ইসলামের ২৮ রান ছাড়া আর কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেনি। আবাহনীর হয়ে মোসাদ্দেক ও খালেদ নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। এছাড়া তানভির ইসলাম, নাহিদুল ইসলাম ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন একটি করে। এর ফলে মৌসুমে টানা দ্বিতীয় জয় পেল আবাহনীর।