১৭১ রানে জিতে ডিপিএল শুরু আবাহনীর

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শুরুটা জয় দিয়েই করল আবাহনী লিমিটেড। প্রথম রাউন্ডে পার্টেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১৭১ রানে জিতেছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। ২৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় পার্টেক্স।
এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে আবাহনী। দুই ওপেনার সাব্বির হোসেন ও নাইম শেখের ব্যাটে পাওয়ার প্লে'তে ৭২ রান তোলে আবাহনী। নাইমকে দর্শক বানিয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির।
মাইলফলকে পৌঁছে শতকের পথে হাঁটতে থাকেন সাব্বির। তবে দলীয় ১০৭ রানে ব্যক্তিগত ৭০ রানে মহর শেখের বলে আসাদউজ্জামান পায়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন সাব্বির। সঙ্গী হারানোর পর অবশ্য নাইমও উইকেটে বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি।

ব্যক্তিগত ৩৭ রানে পায়েলের বলে আউট হন নাইম। এরপর ক্রিজে নামা আফিফ হোসেন রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম বলেই ফেরেন এই বোলারের বিপক্ষেই। ৩ ব্যাটার ফিরে গেলেও জাকের আলি ও মাহমুদুল হাসান
মিলে দলের হাল ধরেন।
এউ দুজনের ব্যাটে দলীয় ১৫০ রান পার করলেও এই দুজনের ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন মোহর শেখ। এর পরপরই মাহমুদুল হাসান জয়কেও বিদায় করেন রাকিবুল আতিক। ৫০ বলে ৩৪ রান করে জয় ফিরে গেলে সাইফউদ্দিনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন।
এই জুটিতে দলীয় রান ২০০ পার করে আড়াইশোর পথে হাঁটতে থাকে আবাহনী। তবে ৩৫ বলে ৩১ রান করে মুক্তার আলীর বলে ফিরে যান সাইফ। এরপর মোহর শেখ এসে বিদায় করেন মোসাদ্দেককে। দলীয় ২৫১ রানে মোসাদ্দেক ফিরে গেলেও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৮ রানের পুঁজি পায় আবাহনী। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন পায়েল।
২৬৯ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৭ রানে মুনিম শাহরিয়ারকে হারিয়ে বসে পারটেক্স। ৪ রানে সাইফউদ্দিনের শিকার হয়ে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর মিজানুর রহমান ও আজমির আহমেদ মিলে দলের পক্ষে রান যোগ করতে থাকেন।
দলীয় রান ২৭ এ পৌঁছালে মিজানুর রহমান ফেরেন তানভির ইসলামকে উইকেট দিয়ে। এর এক ওভার পর আজমির ইসলামকে বিদায় করেন খালেদ আহমেদ। খানিক পর নাহিদুলের শিকার হয়ে ফেরেন জাহিদউজ্জামান। ২৮ রানে ৪ উইকেট হারানো পারটেক্সকে ম্যাচে ফেরাতে চেষ্টা করতে থাকেন মাইশুকুর ও তানবির হায়দার।
দলীয় রান ৫০ রানের আগে মাইশুকুর ফেরেন ১০ রানে। তাকে বিদায় করেন রাকিবুল। এরপর দলকে ৫০'র ওপর নিয়ে গেলেও দলীয় রান ৮০'র ঘরে যেতেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে পারটেক্স। শেষের দিকে সাইফউদ্দিন ও রাকিবুলকে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় পারটেক্স। ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তানভির, ১৭১ রানের জয় পায় আবাহনী।