ঢাকাকে হারিয়ে ৫ ম্যাচ পর জিতল খুলনা

ছবি:

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে ||
মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবং ওয়েন পারনেলের দারুণ বোলিংয়ে দুর্দান্ত ঢাকাকে মাত্র ১২৮ রানেই আটকে দিয়েছিল খুলনা টাইগার্স। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুতই দুই ওপেনারকে হারালেও জয়ে পেতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাদের। আফিফ হোসেন ধ্রুব, পারভেজ হোসেন ইমন এবং শাই হোপদের ব্যাটে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে খুলনা। তাতে করে ৫ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। এদিকে টানা ১০ ম্যাচে হারল ঢাকা।
জয়ের জন্য লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না খুলনা টাইগার্সের। টানা হারের চাপেই হয়ত প্রথম বলেই শরিফুলের বিপক্ষে আক্রমণ করতে চাইলেন বিজয়। সেটা করতে গিয়ে অবশ্য ব্যর্থই হয়েছেন। বাঁহাতি এই পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন।

আরেক ওপেনার এভিন লুইসও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। শরিফুলের পরের ওভারেই ফিরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার। ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে নো লুক শট খেলতে গিয়ে আলাউদ্দিন বাবুর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। সবশেষ কয়েক ম্যাচে সেভাবে রান না পাওয়া লুইস ফিরেছেন ৪ রানে। এরপর অবশ্য পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট হারায়নি খুলনা।
টানা হারতে থাকা বিজয়ের দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন হোপ এবং পারভেজ হোসেন ইমন। তিনে নেমে বেশ ভালোভাবেই ব্যাটিং করছিলেন। চার-ছক্কায় দ্রুত রানও তুলছিলেন পারভেজ ইমন। যদিও হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। চতুরঙ্গা ডি সিলভার বলে মিড উইকেট দিয়ে খেলতে গিয়ে আলাউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ৩০ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার।
২৮ বলে ৩২ রান করা হোপ আউট হয়েছেন দলের রান একশ হওয়ার আগে। তবে ব্যাট হাতে এদিন ঝড় তোলেন আফিফ। দারুণ ব্যাটিংয়ে খেলেছেন ২১ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস। মাহমুদুল হাসান জয় দ্রুত ফেরার পর পারনেলকে সঙ্গে নিয়ে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন আফিফ।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো করতে পারেননি ঢাকার ব্যাটাররা। অ্যালেক্স রস, ইরফান শুক্কুর, অ্যাডাম রসিংটন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ভালো শুরু করলেও কেউই টি-টোয়েন্টি মেজাজে রান তুলতে পারেননি। তাতে করে মাত্র ১২৮ রানেই থামে ঢাকার ইনিংস। খুলনার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন পারনেল ও মুগ্ধ।