শান্তকে অধিনায়কত্ব না দেয়ার কারণ জানালেন রাজিন সালেহ

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অধিনায়কত্ব পাননি নাজমুল হোসেন শান্ত। জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক হলেও তাকে নেতৃত্বভার দেয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স। মূলত শান্তকে চাপমুক্ত রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি এমনটা জানিয়েছেন সিলেটের হেড কোচ রাজিন সালেহ।
গত বিশ্বকাপের আগে থেকেই নেতৃত্বের লাইমলাইটে আসেন শান্ত। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডর বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন তিনি। এরপর বিশ্বকাপ নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ইনজুরির কারণে না খেলা অবস্থায় ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় শান্তকে।
বিশ্বকাপ শেষে তিন সংস্করণের অধিনায়ক সাকিব ইনজুরিতে সময় পার করেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেন শান্ত। এই দলটির বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টেস্টও নেতৃত্ব দেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ সফল শান্ত। নিউজিল্যান্ড সফরে একটি টি-টোয়েন্টি জিতে তারই অধীনে সিরিজ ড্র (একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়) করে বাংলাদেশ। এরপর একটি ওয়ানডেও সেখানে জিতে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে একটি টেস্ট ম্যাচও জিতেছেন অধিনায়ক শান্ত।
অথচ সিলেট দলের সহ-অধিনায়কত্বও জোটেনি তার কপালে। দলটির সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। মাশরাফি বিপিএল থেকে বিরতি নেয়ায় বাকি সময়টা নেতৃত্ব দেন মিঠুন। এদিকে কয়েকদিন আগেই তিন সংস্করণে শান্তকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয় বিসিবি।
জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেলেও সিলেটে কেন শান্ত অধিনায়ক নন- এমন প্রশ্নের জবাবে রাজিন সালেহ বলেন, 'এটা শান্তর তরফ থেকে আসেনি। সত্যি কথা এটা ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকেই এসেছে। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট চিন্তা করেছে শান্তকে যতটুকু ফ্রি রাখা যায়। ওর ফ্রি ক্রিকেটটা খেলা যায়, ওর কাছ থেকে যতটুকু পাওয়া ওতটুকু পাওয়ার জন্যই আসলে... ওই চিন্তা ভাবনা করে ওকে অধিনায়কত্ব দেয়া হয়নি।'
শান্তকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেনই রাজিন সালেহ, 'অবশ্যই, আমি শুনেছি এবং ওকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কারণ এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া যে সিলেট স্ট্রাইকার্সের একজন তিন সংস্করণের অধিনায়ক। আমি খুবই ভাগ্যবান যে কোচিং করাচ্ছি ওকে। সে বাংলাদেশের অধিনায়ক, ওকে নিয়ে আমি গর্বিত।'
এদিকে এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে একেবারে অফ-ফর্মে শান্ত। আসরের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে রান খরা যাচ্ছে তার। নয় ম্যাচে ১৩.৭৭ গড়ে মতে ১২৪ রান করেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। সর্বোচ্চ রান ৩৬।
রাজিন সালেহ আরও বলেন, 'ওর সঙ্গে সবসময় আমাদের কথা হয়, আমি কথা বলি ওর সঙ্গে। আমার মনে হয় না সে মানসিকভাবে পিছিয়ে গেছে। একজন প্লেয়ারের অফ ফর্ম, খারাপ সময় যেতেই পারে। কিন্তু আমরা সবসময় ওর সাপোর্টে আছি।'
'আমি মনে করি যে নাজমুল শান্ত যদি রান করতো আমাদের হয়তো খেলাটা ভিন্ন হতো। আমাদের দলের পজিশনটাও অন্য জায়গায় নিয়ে যেতো। যদিও সবশেষ দুটি ম্যাচে সে কিছু রান করেছে। আমরা মনে করি ১৭ তারিখের যে ম্যাচ আছে সেখানে সে ফিরে আসবে।'