‘আমার এই পদে থাকার প্রয়োজন কী জানি না’

ছবি:

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে ||
ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পরও গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর প্রধান নির্বাচক হওয়ার কথা জানতেন না খালেদ মাহমুদ সুজন। যা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। শুধু তাই নয় ক্রিকেট অপারেশন্সে নিজের পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিজেই।
লম্বা সময় বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তার সঙ্গে প্যানেলে ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন এবং আব্দুর রাজ্জাক। সবশেষ কয়েক বছর ধরেই তাদের কাজ নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনা হয়ে আসছিলো। যদিও তাদের সময়েই ক্রমশই বড় দল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সাফল্য পেলেও তাদেরকে বাদ দেয়া যেন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।

গত ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হলেও বিশেষ বিবেচনায় দায়িত্বে বহাল ছিলেন তারা। অবশেষে নির্বাচক প্যানেল থেকে বাশার ও নান্নুকে সরিয়ে দিয়েছে বিসিবি। এদিকে নতুন নির্বাচক বেছে নেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ক্রিকেট অপারেশন্সকে। তবে সেই বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পরও গাজী আশরাফের প্রধান নির্বাচক হওয়ার কথা জানতেন না সুজন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকার অনুশীলনের সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন নিজের বিস্ময়ের কথা। এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘আমার জন্য খুবই চমকপ্রদ ছিল। আমি নামটা শুনিনি। বাতাসে অনেক নামই ভাসছিল, গুঞ্জন ছিল। আমার জন্য অবাক করা কারণ আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি জানিই না। এটা আমার খুব অবাক লাগল।’
ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘আমি তো পরিস্কার করলাম আমি জানি না কিছু। আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স সিলেক্টর নিচ্ছে, কে হচ্ছে। খুবই অবাক করার মতো। আমার এই পদে থাকার প্রয়োজন কি সেটাও জানি না আসলে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন গাজী আশরাফ। ছিলেন জাতীয় দলের ম্যানেজার, বিসিবি পরিচালক, গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান এবং বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। তার ক্রিকেট মেধা ও বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই বলে জানান সুজন।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট যিনি খেলেছেন তার ক্রিকেটজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা তো অস্বাভাবিক। অধিনায়কত্ব করেছেন, এত বছর ধরে ক্রিকেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাঝখানে বড় গ্যাপ আছে। টিভিতে আমরা সবাই কথা বলতেই পারি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে কী হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগ বা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট… তবে আমার মনে হয় না এটা উনার জন্য খুব একটা কঠিন হবে। মানিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না। উনার ক্রিকেট মেধা, বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না, দ্বিমত থাকতে পারে না।’