promotional_ad

হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার প্রতিশোধ

promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


তাসকিন আহমেদের লেংথ ডেলিভারিতে আলতো করে মিড অনে ঠেলে দিয়ে ভোঁ দৌড় দিলেন তাওহীদ হৃদয়। দুই রান পূর্ণ করেই সেঞ্চুরির উদযাপনে মেতে ‍উঠলেন তরুণ এই ব্যাটার। পুরো ম্যাচে চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে তুলে নিলেন নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। হৃদয়ের অপরাজিত ১০৮ রানের ঝলমলে ইনিংসে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নাইম শেখ ও সাইফ হাসানের দারুণ ব্যাটিং ম্লান করে ঢাকার বিপক্ষে প্রতিশোধ নিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।


মিরপুরে জয়ের জন্য ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। নিজের খেলা প্রথম বলে ছক্কা মারলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন দাস। শরিফুল ইসলামের দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন কুমিল্লার অধিনায়ক। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি ৮ রান করা লিটনের।


দ্রুতই ফিরেছেন উইল জ্যাকসও। তাসকিন আহমেদের বলে অ্যালেক্স রসের দারুণ থ্রো এবং তাহজিবুল ইসলামের দক্ষতায় রান আউট হয়েছেন ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার। জ্যাকসের ব্যাট থেকে এসেছে ৯ রান। চোট কাটিয়ে ফিরে ইমরুল কায়েস করতে পারেননি এক রানের বেশি। শরিফুলের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে ডি সিলভার হাতে ধরা পড়েন। এরপরকুমিল্লাকে পথ দেখাতে থাকেন হৃদয় ও ব্রুক গেস্ট।


promotional_ad

শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা হৃদয় হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৩২ বলে। গেস্টকে ফিরিয়ে তাদের দুজনের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন ডি সিলভা। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে সাইফকে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৪ রান করা গেস্ট। ছয়ে নেমে হৃদয়কে সঙ্গ দিতে পারেননি রেইমন্ড রেইফার। তাকে ফিরিয়েছেন আরাফাত সানি। এদিকে সাইফের ওভারে তিন ছক্কা মেরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকেন হৃদয়।


শুধু তাই নয় কুমিল্লাকে জয়ও এনে দিয়েছেন তিনি। চার-ছক্কার পসরা সাজিয়েছে বিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তরুণ এই ব্যাটার। তাসকিন আহমেদের বলে দুই রান নিয়ে ৫৩ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন হৃদয়। শেষ দিকে জাকের আলী অনিক আউট হলেও আটকানো যায়নি ‍কুমিল্লার জয়। শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়।


এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি চতুরাঙ্গা ডি সিলভা এবং নাইম শেখ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন আলিস আল ইসলাম। ডানহাতি এই স্পিনারের বলে গেস্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৪ রান করা ডি সিলভা। শুরুতে উইকেট হারালেও ঢাকাকে বিপদে পড়তে দেননি নাইম ও সাইফ। তারা দুজনে মিলে ঢাকার রানের চাকা সচল রাখেন।


শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন তারা। ১১.৫ ওভারে দলের রান একশ হয় ঢাকার। এদিকে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা নাইম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৩১ বলে। তাকে সঙ্গ দেয়া সাইফও পেয়েছেন পঞ্চাশের দেখা। হাফ সেঞ্চুরির জন্য সাইফকে খেলতে হয়েছে ৩৯ বল। সাইফের বিদায়ে ভাঙে তাদের দুজনের ১১৯ রানের জুটি। ম্যাথু ফোর্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৫৭ রানের ইনিংস খেলা সাইফ।


খানিকটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে ফিরেছেন নাইম। ফোর্ডের বাউন্সারে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে হিট আউট হয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বাবর আজমকে ছাড়িয়ে এবারের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক নাইম এদিন আউট হয়েছেন ৬৭ রানে। শেষ দিকে অ্যালেক্স রসের ২১ রানের সুবাদে ১৭৫ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। কুমিল্লার হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ফোর্ড।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball