রুবেলের এক ওভারে ২৪, খুলনার হ্যাটট্রিক হার

ছবি:

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ম্যাচ জিততে শেষ ৪ ওভারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। সুমন খান ও নাহিদুল ইসলাম দুই ওভারে ১৩ রান দিয়ে খুলনা টাইগার্সকে তখনও ম্যাচে রেখেছিলেন। তাতে শেষ ১২ বলে ১৯ রান করতে হতো সিলেটকে। ১৯তম ওভারে রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দিলেন এনামুল হক বিজয়। রায়ান বার্লের বিপক্ষে পেরেই উঠতে পারলেন না রুবেল। তিন ছক্কা ও এক চারে ডানহাতি এই পেসার দিলেন ২৪ রান। তাতেই টুর্নামেন্টের শুরুতে উড়তে থাকা খুলনার হ্যাটট্রিক হার। ৫ উইকেটের জয়ে টুর্নামেন্টে এখনও টিকে রইলো সিলেট।
জয়ের জন্য ১৫৪ রান তাড়ায় হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে নেমেছিলেন সামিত প্যাটেল। ছন্দে না থাকায় নাজমুল হোসেন শান্তকে ওপেনিং থেকে সরিয়ে দেয় সিলেট। তবুও ভালো শুরুর দেখা পায়নি তারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সামিত ফিরলে ভাঙে টেক্টরের সঙ্গে ১৩ রানের জুটি। তিনে নেমে দেখেশুনেই ব্যাটিং করছিলেন শান্ত। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার।
মার্ক দেয়ালের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে নাহিদুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৮ রান করা শান্ত। একই ওভারে ফিরেছেন জাকিরও। দেয়ালের শর্ট ডেলিভারিতে লং অনের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন। টেক্টরের সঙ্গে জুটি বাঁধা মিঠুনকেও ফিরিয়েছেন দেয়াল। সিলেটের অধিনায়ক করেছেন ১৯ বলে ২৪ রান।
কাসুন রাজিথার স্লোয়ার ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন টেক্টর। হাফ সেঞ্চুরির পর ৬১ রানে ফিরেছেন আইরিশ এই ব্যাটার। এরপর আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন অপরাজিত ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা বার্ল। খুলনার হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন দেয়াল।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন এভিন লুইস ও এনামুল হক বিজয়। তবে সেটা অব্যাহত রাখতে পারেননি তারা দুজন। লুইসকে ফিরিয়ে খুলনার উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সামিত প্যাটেল। বাঁহাতি এই স্পিনারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১২ রান করা লুইস।
শুরুটা ভালো না হলেও তিনে নেমে বিজয়ের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক মেজাজে ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা আফিফকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বেনি হাওয়েল। ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসারের বলে লেগ বিফোর হয়েছেন তিনি। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি ১৬ বলে ২৪ রান করা আফিফের।
চারে নেমে টিকতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। সানজামুল ইসলামের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে আউট হয়েছেন তিনি। বিপিএলের মাঝ পথে সিলেট দলে ডাক পাওয়া সানজামুলের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েছেন তিনি। এরপর খুলনাকে টানতে থাকেন বিজয় এবং হাবিবুর রহমান সোহান।
এক প্রান্ত আগলে রেখে ৫১ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন বিজয়। এদিকে শুরুতে দেখে শুনে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়ান সোহান। শেষ ৫ ওভারে ৬৭ রান যোগ করেন সোহান ও বিজয়। তারা দুজনে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। খুলনাকে ১৫৩ রানের পুঁজি এনে দেয়ার দিনে বিজয় ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে শেষ বলে আউট হওয়া সোহান করেছেন ৪৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইগার্স- ১৫৩/৪ (২০ ওভার) (বিজয় ৬৭*, সোহান ৪৩, আফিফ ২৪, লুইস ১২; সানজামুল ১/১৬
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৫৯/৫ (১৯ ওভার) (টেক্টর ৬১, মিঠুন ২৪, বার্ল ৩২*; দেয়াল ৩/১৯)