ওমানেও হতে পারে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ!

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এক বছর ঝুলিয়ে রাখার পর ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি দিচ্ছে ওমান
২৩ জুন ২৫
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবার কথা ভারতে। কিন্তু দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ক্রমেই তা অন্যত্র সরে যাবার উপক্রম হয়েছে। আপাতত সংযুক্ত আরব আমিরাতই হতে পারে ভারতের পরিবর্তে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরের মঞ্চ। সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশও। আরব আমিরাতের তিন ভেন্যুর সঙ্গে খেলা হতে পারে ওমানে।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, আইসিসির মঙ্গলবারের সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে ভারতকে। এই সময়ের মধ্যেই বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদেরকে। তবে শেষ পর্যন্ত খেলা যেখানেই হোক, মূল আয়োজক থাকবে ভারতই।

আইসিসির বেশিরভাগ বোর্ড সদস্যের চাওয়া ছিল, এই সভায়ই ভারত থেকে বিশ্বকাপ সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা। তবে ভারতীয় বোর্ডের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলির অনুরোধের পর তাদেরকে সময় দেওয়া হয়। সৌরভ সভায় জানান, ভারতের কোভিডের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে বলে তারা ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।
সুদর্শনের চোট, বিকল্প নিয়ে ভাবনায় ভারত
১৬ ঘন্টা আগে
তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সময় ভারতে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। আইসিসির মূল শঙ্কার জায়গা এখানেই। তাছাড়া, অনেক দেশই করোনার সংক্রমণ এড়াতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ নিষিদ্ধ করেছে। সেক্ষেত্রে দেশটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করলে আইসিসিকে বেশ ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।
যদিও বিশ্বকাপের জন্য ভারত মোট ৯টি ভেন্যুর নাম প্রস্তাব করেছে আইসিসির কাছে। গত এপ্রিলে ভেন্যুগুলো পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তাদের। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এতগুলো ভেন্যুতে যাওয়ায় ভ্রমণের প্রবল ঝুঁকির কথা তুলে ধরা হয়েছিল তখন।
মূলত আর্থিক কারণেই নিজ দেশে বিশ্বকাপ আয়োজনে মরিয়া ভারত। বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচের জন্য স্রেফ আয়োজক হিসেবেই আড়াই থেকে তিন লাখ ডলার পাবে ভারত। সঙ্গে অন্যান্য আয় তো আছেই। অন্য দেশে আয়োজন করলে সেই আয় ভাগাভাগি করতে হবে।