বিমানবন্দর আর বাইরের খাবারেই ভেঙেছে আইপিএলের সুরক্ষা বলয়!

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয় রক্ষা করেই গত এক মাস ধরে চলছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৪তম আসর। কোন রকম বাঁধা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৮টি ম্যাচ। কিন্তু ২৯তম ম্যাচের কয়েক ঘন্টা আগেই আসে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটারের করোনা আক্রান্তের খবর।
এরপর করোনা আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যায় আরো একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সদস্যের। এত করে বাধ্য হয়েই মাঝপথে আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানায় টুর্নামেন্টটির গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু কিভাবে ভাঙল আইপিএলের সুরক্ষা বলয়! এ প্রশ্ন সকলের মনেই।
ভারতের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি স্পোর্টস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এক শহর থেকে অন্য শহরে বা আইপিএলের এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হতো এয়ারপোর্ট। আর এর মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা।

সংবাদ মাধ্যমটি আরো জানায়, গত সপ্তাহ থেকে হোটেলে বাইরের তৈরি খাবার প্রবেশের অনুমতি দেয় আইপিএল কতৃপক্ষ। এই খাবার পৌছে দিতে আসা ব্যাক্তিদের মাধ্যমেও জৈব সুরক্ষা বলয়ে করোনা প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা সংবাদ মাধ্যমটির।
এ ছাড়া এবারের আইপিএল অনুষ্ঠিত হয়েছে ছয়টি ভেন্যুতে। ফলে এই ভেন্যুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাপোর্ট স্টাফ, মাঠ কর্মী, হোটেল কর্মী, নেট বোলার কিংবা ড্রাইভারের মাধ্যমেও করোনা আক্রান্ত হতে পারেন কোন ক্রিকেটার। কেননা ভেন্যুগুলোর সাথে অনেকের কর্মই জড়িত।
উদাহরণ হিসেবে গতবারের সফল আইপিএল আয়োজনের প্রশংসাও করেছে এনডিটিভি। সংযুক্ত আর আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৩তম আইপিএল আসর। সেবার আইপিএল শুরুর আগে কয়েকজন ক্রিকেটারের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।
যদিও টুর্নামেন্ট চলাকালীন সুরক্ষিত ছিলেন ক্রিকেটাররা। কারণ হিসেবে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, সেবার আইপিএল খেলার জন্য এক শহর থেকে অন্য শহরে ভ্রমণ করতে হয়নি ক্রিকেটারদের।
এ ছাড়া তারা আরো জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত সেই আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয় রক্ষার দায়িত্বে ছিল 'রেসত্রাতা; নামের অভিজ্ঞ একটি সুরক্ষা বলয় রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর।
কিন্তু এবার ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং নিজস্ব লোকবল দিয়ে সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে বিসিসিআই। এই কারণেও সুরক্ষা বলয় ভেদ করে ক্রিকেটারদের করোনা হানা দিয়েছে বলে ধারণা করছে এনডিটিভি।