কলকাতাকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরল মুস্তাফিজের রাজস্থান

ছবি: সংগৃহীত

লড়াইটা ছিল টেবিলের তলানিতে থাকা দুই দলের। কিন্তু ম্যাচের পর ম্যাচ চলে গেলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভাগ্য যেন বদলালো না। শনিবার অষ্টম স্থানে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হেরেছে ইয়ন মরগানের দল। ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে কলকাতাকে সবার নিচে নামিয়ে দিয়েছে সঞ্জু স্যামসনের দল।
মুম্বাইয়ের ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে আগের কয়েক ম্যাচে নিয়মিত বড় স্কোর পেয়েছে দলগুলো। কিন্তু এই ম্যাচে উইকেট যেন উল্টো কথা বলছিল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কলকাতা শুরু থেকেই রান বের করতে পারছিল না।
পাওয়ার প্লে'তে নিতিশ রানা এবং শুভমান গিল মিলে যোগ করেন মাত্র ২৫ রান। তবে ষষ্ঠ ওভারে জস বাটলারের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন গিল। ১৯ বলে ১১ রান করে ফেরেন এই তরুণ।
খানিক পর চেতন সাকারিয়াকে সামনে গিয়ে এসে মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ আউট হন রানাও। তিনি করেন ২৫ বলে ২২ রান। ৪ নম্বরে নেমে সুনিল নারিনও পার্থক্য গড়তে পারেননি। ফিরেছেন মাত্র ৬ রানে।
দলীয় ৬১ রানে কোনো বল না খেলেই রান আউট হন কলকাতার অধিনায়ক। নারিন এবং মরগান ফিরলেও স্কোরবোর্ডে রান তুলে যাচ্ছিলেন রাহুল ত্রিপাঠি। কিন্তু দলীয় ১০০'র আগে এই ব্যাটসম্যানকে ৩৬ রানে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান।
দীনেশ কার্তিক এবং আন্দ্রে রাসেল মিলে শেষের ৪ ওভারে দলকে বড় কিছু দিতে পারেননি। ক্রিস মরিসের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ডেভিড মিলারের তালুবন্দি হন রাসেল। এরপর একে একে কার্তিক এবং প্যাট কামিন্সকেও বিদায় করেন এই পেসার।

শেষের দিকে দারুণ বোলিং করে ৩ উইকেট নেয়া মরিস শেষ ওভারে পান আরও এক উইকেট। ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড করেন শিভাম মাভিকে। ৯ উইকেট হারিয়ে কেকেআর পায় মাত্র ১৩৩ রানের পুঁজি। ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার।
১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা রাজস্থান শুরুতেই ধাক্কা খায় জস বাটলারকে হারিয়ে। বরুন চক্রবর্তীর বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পরেন ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান। ৫ রানে বাটলার ফিরলেও জশভি জেসওয়াল এবং স্যামসন মিলে রান তুলতে থাকেন।
এই ম্যাচে প্রথম সুযোগ পাওয়া শিভাম মাভি অবশ্য জেসওয়ালকে দলের স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে দেননি। তরুণ এই ব্যাটসম্যান ফেরেন ২২ রানে। এরপর জুটি গড়েন স্যামসন এবং শিভাম দুবে।
এই জুটিতে দুজন মিলে ৪৫ রান যোগ করলেও ১১তম ওভারের শেষ বলে বরুনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন্দ দিবে। তিনি করেন ১৮ বলে ২২ রান। পঞ্চম উইকেটে মিলারকে না নামিয়ে রাজস্থান ক্রিজে পাঠায় রাহুল তেওয়াতিয়াকে।
ক্রিজে নেমে রাহুল অবশ্য বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি স্যামসনকে। দলীয় ১০০ রানে প্রশিদ্ধ কৃষ্ণকে পুল করতে গিয়ে ৫ রানে ফেরেন তিনি। শেষ ৩৬ বলে রাজস্থানের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান।
ক্রিজে ছিলেন স্যামসন এবং মিলার। কলকাতার বোলাররা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও থামানো যায়নি এই জুটিকে। শেষ পর্যন্ত ৭ বলে হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্যামসনবাহিনী। সর্বোচ্চ ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন রাজস্থান দলপতি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৩৩/৯ (২০ ওভার) (রাহুল ৩৬) (মরিস ৪/২৩)
রাজস্থান রয়্যালস- ১৩৪-৪ (১৮.৪ ওভার) (স্যামসন ৪২*) (বরুন ২/৩২)