টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার কলকাতার
ছবি: সংগৃহীত
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে একসঙ্গে তিন-চার জন ক্রিকেটারের ফর্ম খারাপ ছিল’
২৬ মে ২৫
কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৩৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) টানা তিন ম্যাচে তিন জয় তুলে নিয়েছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তাদের দেয়া ২০৫ রানের লক্ষ্য কলকাতার ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানে।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে কলকাতা। তারা দলীয় ২৩ রানেই ওপেনার শুভমান গিলকে (২১) হারায়। দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার নিতিশ রানা জুটি বাধেন রাহুল ত্রিপাঠির সঙ্গে। উইকেটে নেমেই ব্যাট হাতে মারমুখী হন ত্রিপাঠি। তিনি ২০ বলে ২৫ রান করে ফিরলে আবারও বিপদে পড়ে কলকাতা।
এরপর রানাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তিনি আউট হয়ে যান ১৮ রান করে। দীনেশ কার্তিকও ব্যর্থ হন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান। পঞ্চম উইকেটে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে কলকাতার রান বাড়িয়েছেন মরগান। যদিও ব্যক্তিগত ২৯ রানে হার্শাল প্যাটেলের বলে কোহলির হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।
এরপর সাকিবকে সঙ্গ দিতে আসেন আন্দ্রে রাসেল। এই ক্যারিবীয় তারকা উইকেটে এসেই বেঙ্গালুরুর বোলারদের তুলোধোনা শুরু করেন। কাইল জেমিসনের বল লেগ স্টাম্প ছেড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন সাকিব। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ বলে ২৬ রান। এরপর প্যাট কামিন্স দ্রুত ফিরলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে কলকাতা।
মোহাম্মদ সিরাজের করা ১৯তম ওভারে একের পর এক সিঙ্গেলসের সুযোগ ফিরিয়ে দেন রাসেল। শেষ বলে এক রান নিয়ে শেষ ওভারে আবারও স্ট্রাইকে যান এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। তবে হার্শাল প্যাটেলের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হন রাসেল। আর তাতেই শেষ হয় তাঁর ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস।
বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি: আইপিএল শিরোপা-উদযাপনের নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে বিসিসিআই
২২ জুন ২৫
এর আগে, টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বেঙ্গালুরুর। তারা দলীয় ৬ রানেই অধিনায়ক কোহলির উইকেট হারায়। বরুণ চক্রবর্তীর বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে রাহুল ত্রিপাঠির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। একই ওভারে রজত পাতিদারকেও বোল্ড করে ফিরিয়েছেন এই ডানহাতি স্পিনার।
বেঙ্গালুরুর ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আনেন ইয়ন মরগান। প্রথম ওভারে ৭ দিয়ে আঁটসাঁট বোলিং করলেও দ্বিতীয় ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের তোপের মুখে পড়েন সাকিব। এই বাঁহাতি স্পিনারের দ্বিতীয় ওভারে একটি ছক্কা ও একটি চার মেরেছেন ম্যাক্সওয়েল। সেই ওভারে সাকিব মোট খরচা করেন ১৭ রান। এরপর আর সাকিবকে বোলিংই দেননি মরগান।
একপ্রান্ত আগলে রাখা দেবদূত পাডিকাল আউট হয়েছেন ২৫ রান করে প্রষিধ কৃষ্ণর শিকার হয়ে। এরপর কলকাতার প্রায় সব বোলারের ওপরই তাণ্ডব চালিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। শেষ পর্যন্ত প্যাট কামিন্সের আউট সাইড লেগের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে হরভজন সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।
সুইচ হিট, রিভার্স সুইপ, স্কুপের ফুলঝুরিতে মাত্র ৪৯ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ইনিংসে ৩টি ছক্কা এবং ৯টি চারের মার ছিল। বাকি সময়টা ছিল এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ৭৬ রান করে। এর মধ্যে আন্দ্রে রাসেলের করা শেষ ওভারেই ভিলিয়ার্স নিয়েছেন ২০ রান। ভিলিয়ার্সের ইনিংসটি ছিল ৩টি ছক্কা ও ৯টি চারে সাজানো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ২০৪/৪ (২০ ওভার) (পাডিকাল ২৫, ম্যাক্সওয়েল ৭৮, ভিলিয়ার্স ৭৬*; বরুণ ২/৩৯, কৃষ্ণ ১৭/১)
কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৬৬/৮ (২০ ওভার) (রানা ১৮, গিল ২১, ত্রিপাঠি ২৫, মরগান ২৯, সাকিব ২৬, রাসেল ৩১; জেমিসন ৩/৪১)
