কেন মানকড় আউটকে 'ব্রাউন' আখ্যা দিলেন গাভাস্কার

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ভারতের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে গত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসরে মানকড় আউট করে পুরনো বিতর্ক ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। তবে অবাক করা ব্যাপার হলো বরাবরই মানকড়ের পক্ষে থাকা এই বোলারই গত সোমবার (৫ অক্টোবর) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে এই বিতর্কিত আউটের সুযোগ পেয়েও করেননি! 

দিল্লির দেয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বেঙ্গালোরের ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ অশ্বিনের ওভারে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে বল ছাড়ার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান। বল করতে থাকা অশ্বিনের সুযোগ ছিল তাঁকে আউট করে দেয়ার। কিন্তু তিনি সেটি না করে ফিঞ্চকে সুযোগ দেন। 

সেই সময় ধারাভাষ্য কক্ষে ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ম্যাচ চলাকালিন মাইকের পিছনে অশ্বিনের ঘটনাটিকে মানকড়ের পরিবর্তে 'ব্রাউন' বলে অভিহিত করেন। ফলে অনেক ক্রিকেট ভক্তই দ্বিধান্বিত ছিলেন।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এর ব্যাখ্যা দিয়ে গাভাস্কার বলেন, 'কেন বেশিরভাগ মিডিয়া এই শব্দটি (মানকড়) ব্যবহার করে আসছে সেটি নিয়ে আমি বিস্মিত। এটি দেখে মনে হচ্ছে যেন তাদের ভারতের কোনো কিংবদন্তির প্রতি সম্মান নেই। ভারতীয় হিসেবে আমাদের এই শব্দটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। এই কারণেই আমি গতকাল (সোমবার) টেলিভিশনে বলেছিলাম, অশ্বিন তাঁকে (ফিঞ্চ) ব্রাউন করার চেষ্টা করছে। কারণ বিল ব্রাউন ছিলেন সর্বপ্রথম ব্যাটসম্যান যিনি ১৯৪৭ সালে এই আউটের শিকার হন।' 

ভিনু মানকড়কে ভারতের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড় হিসেবেও অভিহিত করেন গাভাস্কার। তাঁর ভাষ্যমতে, 'আমি চাইনা ক্রিকেটের বিতর্কের সাথে কোন ভারতীয় গ্রেটের নাম জড়িয়ে থাকে। ভিনু মানকড় ছিলেন ভারতের একজন বিখ্যাত খেলোয়াড় ও অলরাউন্ডার যিনি ভারতের হয়ে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন।তার প্রতি অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ কিংবা তাঁকে অসম্মান করা হোক এমন কোন ঘটনা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।' 

ক্রিকেটে 'মানকড়' আইন নিয়ে নৈতিক বিতর্ক বেশ পুরনো। নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটসম্যান বোলারের বল ছাড়ার আগে বেরিয়ে গেলে বোলার বল না করে যদি নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেট ভেঙ্গে দেন, তবে ব্যাটসম্যানকে আউট হয়ে ফিরতে হয়। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার 'ভিনু মানকড়' অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান বিল ব্রাউনকে এ ধরনের আউট করে প্রথম সমালোচনায় আসেন। তারপর থেকেই এই বিতর্কিত আউটের নাম হয়ে যায় 'মানকড়' আউট।