রুম পছন্দ না হওয়ায় আইপিএল ছেড়েছেন রায়না!

ছবি: ছবিঃ- বিসিসিআই

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গত শনিবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এবারের আইপিএল আসর থেকে সরে দাঁড়ান সুরেশ রায়না। প্রথম ব্যক্তিগত কারণের কথা শোনা গেলেও পরবর্তীতে জানা যায় করোনা পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সরে যান রায়না।
কেননা কয়েকদিন আগেই চেন্নাই সুপার কিংসের দশ ক্রিকেটারের করোনা ধরা পড়ে। এ কারণে নিজের পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে আইপিএল ছাড়েন রায়না- এমনটাও শোনা গেছে।
তারপর জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় নিহত হয়েছেন রায়নার চাচা, গুরুতর আহত হয়েছেন চাচী ও দুই চাচাতো ভাই। এ কারণে পারিবারিক শোক সামাল দিতে ভারতের বিমান ধরেছেন রায়না- এমনটাও উঠে আসে ভারতের মিডিয়ায়।

সর্বশেষ জানা গেল, দুবাইয়ের হোটেল রুম নাকি পছন্দ হয়নি রায়নার! 'আউটলুক'-এর প্রতিবেদনে লেখা হয়, গত ২১ আগস্ট দুবাই পৌঁছানোর পর থেকেই হোটেলের রুম নিয়ে খুশি ছিলেন না রায়না।
এর মধ্যে বায়ো-বাবলের কড়া নিয়মের কারণে দমবন্ধ লাগছিল তাঁর। যে কারণে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো রুম দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানান রায়না। যদিও রায়নার প্রস্তাবে রাজি হয়নি চেন্নাইের ম্যানেজমেন্ট। ফলে ক্ষোভ নিয়েই দল ছাড়েন রায়না!
চেন্নাইয়ের অন্যতম কর্ণধার এন শ্রীনিবাসন আউটলুককে বলেন, ‘ক্রিকেটাররা হলেন ওপেরার প্রধান গায়িকার মতো..পুরনো দিনের মেজাজি অভিনেতাদের মতো। চেন্নাই সুপার কিংস বরাবরই একটি পরিবারের মতো এবং সব সিনিয়র খেলোয়াড়রাই একসঙ্গে থাকা শিখে গিয়েছেন।
আমার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে তুমি যদি অনিচ্ছুক বা অখুশি হও, তাহলে ফিরে যাও। কাউকে কোনও কিছু করার জন্য আমি জোর দিইনি… কখনও কখনও সাফল্যে মাথা ঘুরে যায়।’
চেন্নাইয়ের ‘ঘরের ছেলে’ হিসেবেই পরিচিত রায়না। দলটির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১২ মৌসুমে ১৯৩ ম্যাচে ১৩৭.১৪ স্ট্রাইকরেটে ৫৩৬৮ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। যদিও রায়নার বিদায়ে একেবারেই বিচলিত নন শ্রীনিবাসন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমএসের (ধোনির) সঙ্গে কথা বলেছি এবং ও আমায় আশ্বস্ত করেছে যে সংখ্যাটা বাড়লেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। জুম কলের মাধ্যমে ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছে এবং তাদের নিরাপদ থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আমি একটা দুর্দান্ত অধিনায়ক পেয়েছে।
ধোনি সব কিছুতেই অবিচলিত থাকে। যা দলের সবাইকে ভরসা জোগাচ্ছে। মৌসুম এখনও শুরু হয়নি এবং রায়না নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে, ও কত বড় সুযোগ হারাচ্ছে এবং অবশ্যই অনেক বড় পরিমাণ অর্থও হারাতে চলেছে।’