বিশ্ব ক্রিকেটকে যেভাবে দেখছেন সাকিব

ছবি:

বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এমসিসির মিটিংয়ে আধুনিক ক্রিকেটের সার্বিক দিক নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছেন। জানুয়ারির শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এমসিসির বিশ্ব ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে ক্রিকেটের বিশ্ব ক্রিকেটের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন সাকিব।
পাঠকদের সুবিধার জন্য প্রশ্ন উত্তর আকারে সাকিবের মন্তব্য গুলো তুলে ধরা হল...
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তুলনায় টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের বড় অংকের অর্থ কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য হুমকি স্বরূপ?
এই ইস্যুতে বোর্ড ও ক্রিকেটারদের সাথে দ্বন্দ্বের উদাহরন বিশ্ব ক্রিকেটে আছে। আমাদের দেশের ক্রিকেট বোর্ড এই ব্যাপারে সহায়তা প্রবন কিন্তু তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তৈরি হয়। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের আর্থিক দিকটা ফেলে দেয়ার মত নয়, কিন্তু একই সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে আমি সবসময় আমার দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত। আমি কখনই টি-টুয়েন্টি লীগকে কখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়নি। আর শুধু আমি নয়, এটা বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে সত্য।
প্রাধান্যর দিক থেকে টেস্ট ক্রিকেটের জায়গা কোথায়?

টেস্ট ক্রিকেটকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। আমি যতদিন পারি টেস্ট খেলে যেতে চাই। বাংলাদেশে যোগ্য টেস্ট ক্রিকেটারের অভাব বেশি। আমি মনে করি আমি যতদিন পারি দেশের হয়ে টেস্ট খেলে যেতে চাই। ছোট বেলা থেকেই সাদা জার্সিতে দেশের হয়ে টেস্ট খেলার স্বপ্ন ছিল। তবে আমার ভয়ের জায়গা হচ্ছে, নতুন প্রজন্ম হয়তো এভাবে চিন্তা করবে না। তাই নতুনদের কেউ কেউ ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেয়ার আমি অবাক হচ্ছি না।
বোর্ড কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় উৎসাহী করে?
সবচেয়ে বড় প্রেরণা হচ্ছে নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। কিন্তু যদি আর্থিক দিক থেকে চিন্তা করেন, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বেশ পিছিয়ে। কারন টি-টুয়েন্টি লীগের অর্থ ও বোর্ডের অর্থের মধ্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। এটা সত্যি যে এই দুইয়ের তুলতা যায় না কিন্তু এখানে কিছুটা হলেও ভারসাম্য আবশ্যক।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যতকে কিভাবে দেখছেন?
আমি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই আশাবাদী। দর্শকরাই আসলে মূল বিচারক। একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটই সত্যিকারের ক্রিকেটীয় পরীক্ষা নেয় এবং আমি বিশ্বাস করি দর্শকরাও সেটাই দেখতে চাইবে। তবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হবে সঠিক পন্থায়, যা আধুনিক ক্রিকেট দর্শকদের টেস্ট ক্রিকেট দেখতে উদ্বুদ্ধ করবে।
এখনকার ক্রিকেটাররা দিবারাত্রির টেস্ট ক্রিকেট এবং চার দিনের টেস্ট ক্রিকেটকে কিভাবে দেখে?
এটা বলা কঠিন কারন আমি এখনো দিবারাত্রির টেস্ট খেলি নি। কিন্তু ধারনাটা শুনতে ভালো লেগেছে। কিন্তু কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে দিবারাত্রির টেস্ট ক্রিকেটে। যেমন বড় চ্যালেঞ্জ হবে দিন ও রাতের কন্ডিশনের পরিবর্তন, শিশির এবং অন্যান্য ইস্যু। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটকে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচের আয়তায় আনা। আমি মনে করি এই ইস্যুতে মন্তব্য করার আগে আরও সময় ও পরীক্ষা করার বাকি আছে।
আইসিসি কিভাবে নিচু সারির টেস্ট দলকে সাহায্য করতে পারে?
অবকাঠামো গঠন, ট্রেনিংয়ের সুবিধা, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং বড় দল গুলোর সাথে খেলার সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটের ছোট দলগুলো উপকৃত হবে।