নতুন বলে ভিন্ন বাংলাদেশ

ছবি:

মঙ্গলবার মিরপুরের উইকেটে জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে দেখে শুনে খেলতে হয়েছে টাইগার ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ১৫ ওভারে সিম মুভমেন্ট হচ্ছিলো বলে সাকিব-তামিম উইকেটে থিতু হয়ে রান বের করার চেষ্টা করেছেন।
প্রথম ২৫ ওভারে টাইগার ব্যাটসম্যানরা ডট বল খেলেছেন প্রায় ৯০টির মত। দেখে শুনে খেলেও পরবর্তীতে জিম্বাবুয়ের স্পিনার গ্রায়েম ক্রিমারের কাছে উইকেট দিয়ে এসেছেন ৪ টাইগার ব্যাটসম্যান।
প্রথম দুই ম্যাচে মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কোন পরীক্ষাই দিতে হয়নি, কিন্তু মঙ্গলবার দলের যখন প্রয়োজন ছিলো তখন ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন রিয়াদ-নাসিররা। শেষ পর্যন্ত নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় স্কোরবোর্ডে ২১৬ রানের পুঁজি যোগ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ দল।
যদিও সফরকারীরা টাইগারদের ছুঁড়ে দেয়া ২১৭ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গুটিয়ে গিয়েছে মাত্র ১২৫ রানে। ফলে ৯১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফির দল।

ম্যাচের পরের দিন সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন এতো অল্প রান ডিফেন্ড করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।
পাশাপাশি নতুন বলে বোলাররা উইকেট এনে দিচ্ছে যেকারণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিতে কষ্ট হচ্ছেনা বাংলাদেশের বলে মনে করেন তিনি। সুজন বলেন,
'আমি মনে করি এটা দারুণ। কালকে (মঙ্গলবার) ২১৬ রান ডিফেন্ড করা, আগে কথা হতো যে বাংলাদেশ অল্প রান ডিফেন্ড করতে পারে না। কালকে ২১৬ দারুনভাবে ডিফেন্ড করে আমরা জিতলাম।
যখন দেখি ভাল লাগে। যেভাবে বোলাররা পারফর্ম করছে। যেভাবে বোলিং টাইট রাখি আমরা। অনেকদিন নতুন বলে উইকেট পাচ্ছিলাম না আমরা। নতুন বলে শুরুটা এই টুনামেন্টে খুব ভাল হচ্ছে।'
সুজন আরো মনে করেন, পুরো সিরিজে টাইগাররা একজোট হয়ে খেলেছে বলেই সাফল্য পেয়েছে। ফিল্ডিংকেও ভালো করার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে মানছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি বলেন,
'টিম যখন ভাল যায় সবকিছুই ভাল লাগে। ফিল্ডিংয়ে তো আমরা সবসময়ই ভাল সাইড। ইয়াং অনেক ভাল ফিল্ডার আছে। দল হিসেবে সবার ইনভলভমেন্ট অনেক বেশি।
আপনি যদি দেখেন সাকিবের দুটি রানআউট, সবাই কিন্তু মাঠে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। একটা গ্রুপ বা ইউনিট হিসেবে আমরা মনে হয় এখন পর্যন্ত সেরাটাই করছি।'