ক্যাচ মিস আর লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন গিল

ছবি: হেডিংলি টেস্টে ভারতীয় দল, ফাইল ফটো

গিলের মতে ভারতের ফিল্ডিং এবং লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং—এই দুই বিভাগই ছিল নড়বড়ে। বিশেষ করে ভারতের ফিল্ডাররা ম্যাচজুড়ে মোট সাতটি ক্যাচ ছেড়েছেন, যার মধ্যে ইয়াশভি জয়সাওয়াল একাই চারটি এবং ঋষভ পান্ত এবং রবীন্দ্র জাদেজা মিলে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন।
গিল-জয়সাওয়ালের সেঞ্চুরিতে ভারতের নতুন যুগের শুরু
২০ জুন ২৫
অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে ভারতের শেষ সাতটি উইকেট পড়ে মাত্র ৪১ রানে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ছয় উইকেট পড়ে ৩১ রানে। ম্যাচ শেষে গিল বলেন, 'দারুণ একটা টেস্ট হলো। আমরা সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু অনেকগুলো ক্যাচ ছেড়েছি। লোয়ার অর্ডার রান পায়নি। তাই হারতে হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে দল যা খেলেছে তাতে গর্বিত।'
তার ভাষ্য অনুযায়ী, ভারতের পরিকল্পনা ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত ৪৩০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করার।, 'আমরা ভেবেছিলাম দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করব। কিন্তু শেষ দিকে আমরা রান করতে পারিনি। তাই কাজটা কঠিন হয়েছে।'

সুদর্শনের চোট, বিকল্প নিয়ে ভাবনায় ভারত
৭ মিনিট আগে
অবশ্য গিল এটাও মনে করেন, তার সেই লক্ষ্য পূরণ হলেও ফল ভিন্ন হত কি না, সেটা বলা কঠিন। কেননা ইংল্যান্ড যেভাবে ব্যাট করেছে তা পুরোপুরি প্রশংসার দাবি রাখে। পরবর্তী টেস্টে এই ভুল শুধরে মাঠে নামার বার্তাও দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
'এত তাড়াতাড়ি সবকিছু হয়েছে যে ফিরতে পারিনি আমরা। এই ভুলগুলো শুধরে পরের ম্যাচে নামার চেষ্টা করব। এটা নতুন দল। অনেক কিছু শেখার আছে। ওদের সময় দিতে হবে।'
শেষ দিন জয়ের জন্য ৩৫০ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। পঞ্চম দিনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে গিল জানান তারা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। বল পুরোনো হওয়ার পর বোলাররা সুবিধা পাননি। একইসঙ্গে ইংল্যান্ডও সুযোগগুলো ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে বলে জানান গিল।
'এই পিচে উইকেট নেয়ার জন্য ধৈর্য দরকার। এ দিনও প্রথম সেশনে আমরা ভালো বল করেছি। কিন্তু এক বার বল পুরোনো হয়ে যাওয়ার পর রান আটকানো যাচ্ছিল না। ইংল্যান্ড দারুণ খেলেছে।'