promotional_ad

চোকার্স থেকে চ্যাম্পিয়ন সাউথ আফ্রিকা

আইসিসি
রায়ান রিকেলটন ও উইয়ান মুল্ডার ফিরলেও এইডেন মার্করামের সেঞ্চুরির সঙ্গে টেম্বা বাভুমার হাফ সেঞ্চুরিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা সাউথ আফ্রিকার কাছেই ছিল। বহু বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে শেষের দুদিনে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৬৯ রান, হাতে ৮ উইকেট। তৃতীয় দিনের সকালেই ব্যাটারদের জন্য স্বর্গ হয়ে উঠেছিল লর্ডসের উইকেট। তবুও দলটার নাম সাউথ আফ্রিকা বলেই আশার সঙ্গে ভয়ও ছিল খানিকটা। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ভয়ও উঁকি দিচ্ছিল বারংবার।

promotional_ad

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে সেদিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে ৩০ বলে ৩০ রান দরকার ছিল সাউথ আফ্রিকা। হেনরিখ ক্লাসের মতো ব্যাটার থাকার পরও ভারতের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি তারা। চাপে ভেঙে পড়ে শিরোপা খোয়ায় চোকার্স তকমা পাওয়া প্রোটিয়ারা। বার্বাডোজের মতো লর্ডসে ওমন কিছু হতে দেননি মার্করাম। সকালের শুরুতে বাভুমা ফিরে গেলেও ১৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সাউথ আফ্রিকার শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতল সাউথ আফ্রিকা। সেই সঙ্গে ১৯৯৮ সালের পর আইসিসির কোন টুর্নামেন্টের ফাইনাল জিতে ২৭ বছরের আক্ষেপ ঘুচাল তারা।


আরো পড়ুন

লর্ডসের রানই মার্করামের জীবনে সবচেয়ে দামি রান

৯ ঘন্টা আগে
সাউথ আফ্রিকাকে শিরোপা জিতিয়ে ম্যাচসেরা এইডেন মার্করাম

৬৯ রানের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ দিনের সকালের শুরুটা ভালো করতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। আগের দিনই হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন বাভুমা। তবে দেশ ও দলের জন্য দমে না গিয়ে ব্যাটিংটা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তবে সকালেই ফেরেন সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক।


promotional_ad

উইকেট পেতে শুরু থেকেই অফ স্টাম্পের বাইরে একই লাইন-লেংথ ধরে বোলিং করে যাচ্ছিলেন প্যাট কামিন্স-জশ হ্যাজেলউডরা। ৬৬ রানের ইনিংস খেলা বাভুমাকে ফিরিয়ে সাফল্য পান কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের অফ স্টাম্পের বাইরের খানিকটা লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাভুমা। ডানহাতি ব্যাটারের বিদায়ে ভাঙে মার্করামের সঙ্গে তাঁর ২৫০ বলে ১৪৭ রানের জুটি।


আরো পড়ুন

মার্করামের অনুরোধেই ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হননি বাভুমা

১৯ ঘন্টা আগে
টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম

পাঁচে নেমে লম্বা সময় টিকে থাকলেও সুবিধা করে উঠতে পারেননি ট্রিস্টিয়ান স্টাবস। মিচেল স্টার্কের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হওয়া স্টাবস আউট হয়েছেন ৮ রানে। সাউথ আফ্রিকা যখন জয় থেকে একটু দূরে তখন ফিরে গেছেন মার্করাম। হ্যাজেলউডের স্টাম্পের উপর করা ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে ট্রাভিস হেডকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।


তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে সেঞ্চুরি পাওয়া মার্করাম সাউথ আফ্রিকাকে শিরোপার খুব কাছে নিয়ে আউট হয়েছেন ২০৭ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলে। কাগিসো রাবাদার দুই ইনিংসে ৯ উইকেট নেয়ার পরও সাউথ আফ্রিকার জয়ের নায়ক বনে গেছেন মার্করাম। তিনি ফেরার পর ডেভিড বেডিংহাম ও কাইল ভেরেইনা মিলে প্রোটিয়াদের জয় নিশ্চিত করেন। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে সাউথ আফ্রিকা।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball