দুই দিনে নেই ২৮ উইকেট, কামিন্সের মাইলফলকের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপর্যয়

ছবি: উইকেট নেয়ার পর কামিন্সের উচ্ছ্বাস

৫ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি অজিদের প্রথম ইনিংস ২১২ রানে গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। জবাবে ৪ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল প্রোটিয়ারা। তাদের ইনিংস দ্বিতীয় দিনে ১৩৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছে অজিরা।
মার্করামের সেঞ্চুরি, বাভুমার ফিফটিতে শিরোপার অনেক কাছে প্রোটিয়ারা
৩ ঘন্টা আগে
তাদের ইনিংস গুঁড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন প্যাট কামিন্স। তিনি একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। ইনিংস জুড়ে মাত্র ২৮ রান খরচ করেছেন কামিন্স। এদিন তিনি ছুঁয়েছেন ৩০০ উইকেটের মাইলফলকও।
আগের দিন ব্যাট হাতে ৩ রান নিয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং ৮ রান নিয়ে ডেভিড বেডিংহাম ছিলেন উইকেটে। বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ার জন্য এই জুটির ওপরই তাকিয়ে ছিল সাউথ আফ্রিকা। এই জুটি ১১৪ বল খেলে ৬৪ রান যোগ করে।

এরপর কামিন্স এই জুটি ভাঙেন। ৩৬ রান করা বাভুমাকে ফেরান তিনি। দলীয় ৯৪ রানে বাভুমার বিদায়ের পর ৪৪ রান তুলতেই বাকি ৫ উইকেট হারায় সাউথ আফ্রিকা। মূলত অধিনায়কের বিদায়ের পর একের পর এক ব্যাটার আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়েছেন।
ঘরের মাঠে কোহলি-রোহিতকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেবে অস্ট্রেলিয়া
১২ জুন ২৫
কাইল ভেরেইনে তবুও ১৩ রান করেছেন। কিন্তু দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি মার্কো ইয়ানসেন (০), কেশভ মহারাজ (৭), কাগিসো রাবাদারা। ইনিংস সর্বোচ্চ স্কোরার বাভুমার সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়া বেডিংহাম, ১১১ বল খেলে করেছেন ৪৫ রান।
কামিন্সের ৬ উইকেট ছাড়াও ২টি উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, ১টি উইকেট পেয়েছেন জশ হ্যাজেলউড। জবাবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে অজিরাও তারা দিন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে।
১০ ব্যাটারের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন চারজন। ওপেনার মার্নাস ল্যাবুশেন আউট হয়েছেন ২২ রান করে। এর বাইরে স্টিভ স্মিথ ১৩ রান করেছেন। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন অ্যালেক্স ক্যারি। মিচেল স্টার্ক ১৬ ও ন্যাথান লায়ন ১ রান করে অপরাজিত আছেন।
অজিরা এখনও পর্যন্ত ২১৮ রানে এগিয়ে আছে সাউথ আফ্রিকার চেয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামিয়েছেন রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিদি। দুজনে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন জানসেন ও উইয়ান মুল্ডার।