আইসিসি হল অব ফেমে ধোনি-হেইডেন-স্মিথ-আমলা

ছবি: আইসিসির হল অব ফেমে মহেন্দ্র সিং ধোনি, ম্যাথু হেইডেন , গ্রায়েম স্মিথ, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, হাশিম আমলা, সারাহ টেলর ও সানা মীর, আইসিসি

এদের সঙ্গে আরও চার কিংবদন্তিকে যুক্ত করেছে আইসিসি। তারা হলেন—নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা, ইংল্যান্ডের সারাহ টেলর এবং পাকিস্তানের নারী ক্রিকেট ইতিহাসের পথপ্রদর্শক সানা মীর।
আইপিএল শেষ করে ধোনি বললেন, ‘সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য চার-পাঁচ মাস সময় আছে’
২৫ মে ২৫
আইসিসির স্বীকৃতি পেয়ে আবেগাপ্লুত ধোনি বলেছেন, ‘হল অব ফেমে সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত। গোটাবিশ্বে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটাররা যে অবদান রাখে, তার স্বীকৃতি জানানো হয় এই সম্মানের মাধ্যমে। সারাজীবন এই সম্মান মনে রাখব।’
২০০৪ সালে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক ধোনির। এরপর তিনি হয়ে ওঠেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক। তার অধিনায়কত্বে ভারত জিতেছে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ও দুবার এশিয়া কাপ। টেস্টে ও ওয়ানডেতে ছিল নেতৃত্বের দৃঢ়তা, ব্যাট হাতে ছিল ধারাবাহিকতা। ৩৫০ ওয়ানডেতে ১০ হাজার ৭৭৩ রান, আর ৯০ টেস্টে চার হাজার ৮৭৬ রান করেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

সানা মীর আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়ে রীতিমতো ইতিহাসই গড়েছেন। তিনিই প্রথম পাকিস্তানি নারী ক্রিকেটার যিনি এই স্বীকৃতি পেলেন। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর পাকিস্তানের হয়ে ১২০টি ওয়ানডে ও ১০৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ছিলেন দলের অধিনায়কও—এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের স্বর্ণপদকজয়ী দলেরও নেতৃত্ব দেন। ২০১৮ সালে একবার উঠে এসেছিলেন ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন ছিলেন সময়ের অন্যতম ভয়ঙ্কর ওপেনার। ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ব্যাটার ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী দলেরও অংশ। আর সাউথ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ১০০টির বেশি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন। তার নেতৃত্বে প্রোটিয়ারা ৫৩টি টেস্ট জেতে, ১৫০ ওয়ানডেতে অধিনায়কত্বও স্মিথের এক রেকর্ড।
হাশিম আমলা ছিলেন সাউথ আফ্রিকার অন্যতম ভরসার ব্যাটার। টেস্টে প্রথম প্রোটিয়া হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন ৫৫টির বেশি সেঞ্চুরি। আর নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরি টেস্টে ৪০০০ রান ও ৩০০ উইকেট নেয়া মাত্র তিনজনের একজন। তার নেতৃত্বে কিউইরা ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্সআপ হয়।
ইংল্যান্ডের সারাহ টেলর নারী ক্রিকেটের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার হিসেবে স্মরণীয়। ২০০৯ ও ২০১৭ সালের দুই বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেটকিপিং ডিসমিসাল সংখ্যা ২৩২, যা এক অনন্য মাইলফলক।