১১ জনের মৃত্যুতে বেঙ্গালুরুর দোষ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি

ছবি: শিরোপা উদযাপনে ব্যস্ত কোহলিরা, ফাইল ফটো

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ জুন আইপিএল শিরোপা জয়ের পরদিন বেঙ্গালুরু শহরে উদ্যাপন আয়োজন করে আরসিবি। সে উৎসবে অনুমতির বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কোনও সঠিক যোগাযোগ করেনি তারা। হঠাৎ উৎসবের ঘোষণা করায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, মনে করেন গাঙ্গুলি
২২ জুন ২৫
ট্রাইবুনালের ভাষায়, 'প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিন থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষের জমায়েতের পুরো দায় আরসিবি-র। তারা পুলিশের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেয়নি। হঠাৎ করে সমাজমাধ্যমে এই উৎসবের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা। তার ফলে এত ভিড় হয়েছিল।'
ঘোষণার সময় এবং প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ট্রাইবুনাল মন্তব্য করেছে, 'হঠাৎ করে কারও অনুমতি ছাড়া একটা উপদ্রব সৃষ্টি করেছে আরসিবি। এত কম সময়ে, মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের পক্ষে সব বন্দোবস্ত করা কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না।'

বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি: আইপিএল শিরোপা-উদযাপনের নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে বিসিসিআই
২২ জুন ২৫
পুলিশের সীমাবদ্ধতাও তুলে ধরা হয় ক্যাটের প্রতিবেদনে, 'পুলিশকর্মীরাও তো মানুষ। তারা তো ইশ্বর বা জাদুকর নন। আলাদিনের মতো প্রদীপ ঘষে কারও মনোকামনা পূর্ণ করার মতো শক্তিও তাদের নেই।'
৪ জুন সকাল থেকেই বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভিড় জমতে থাকে। বিশেষ করে বিধান সৌধ ও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের সামনে লোকে লোকারণ্যর সৃষ্টি হয়। ভিড় সামলাতে না পেরে চিন্নাস্বামীর বাইরে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু ঘটে।
ঘটনার পরে আরসিবি, কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা এবং রাজ্য সরকার একে অপরকে দোষারোপ করে। কয়েকজন আরসিবি শীর্ষকর্তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পুলিশ বিভাগ থেকেও কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই সাসপেনশনের বিরোধিতা করে এক পুলিশ সদস্য ট্রাইবুনালে আবেদন করলে ট্রাইবুনাল এই পর্যবেক্ষণ দেয়।